ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থার্টিফার্স্ট ঘিরে বাড়াবাড়ি-উচ্ছৃঙ্খলতা, প্রচ্ছন্ন হুমকি এবং গুজব ঠেকাতে কঠোর প্রশাসন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 99

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: আর মাত্র কিছু সময়। পুরাতনকে পেছনে ফেলে সবাই আলিঙ্গন করবে নতুন বছর ২০২০-কে। ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। সবার বক্তব্য প্রায় একই। বাড়াবাড়ি-উচ্ছৃঙ্খলতা, প্রচ্ছন্ন হুমকি এবং গুজব ঠেকাতে কঠোর প্রশাসন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহর উদযাপনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ওই সময় কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি-উচ্ছৃঙ্খলতা যাতে না হয় সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা সদস্যরা ইতোমধ্যে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হুমকি নেই।

তবে এ রাতে রাস্তা বন্ধ করে বা অন্যকে কষ্ট দিয়ে যাতে কোনো অনুষ্ঠান না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এদিকে, ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজধানীতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঘরোয়াভাবে কেউ কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলেও পুলিশকে অবহিত করতে হবে।

সেখানে পুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। আর নিরাপত্তাজনিত কারণেই উন্মুক্ত স্থানে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।

কারণ উন্মুক্ত স্থানে নিরাপত্তা বিধান করা একটু কঠিনই। কারণ, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট কোনো হুমকি না থাকলেও উন্মুক্ত স্থানের ক্ষেত্রে তো প্রচ্ছন্ন হুমকি থাকে।

তাই এমন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরীতে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ ও উৎসব করা যাবে না। এছাড়া কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি-পটকা ফোটানো যাবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর স্টিকার ও পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর সব বার বন্ধ থাকবে। মাদকসেবনের বৈধতা ছাড়া কাউকে যেন পাঁচ তারকা হোটেলে অ্যালাও না করা হয় সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এবার মাদক সেবন করে কেউ বেপরোয়া যানবাহন চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডিএমপি। পাশাপাশি অ্যালকোহল টেস্টের জন্য গুলশান, বনানী ও হাতিরঝিলসহ একাধিক এলাকায় কিটসহ পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করবে।

একইসঙ্গে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্রও বহন করা যাবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবার রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের ৩১ ডিসেম্বর (আজ) রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় ফেরার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে গুজবের বিষয়ে সতর্ক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ( র‌্যাব)। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই বলেও আশ্বস্ত করেছে বাহিনীটি।

র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, ইংরেজি বর্ষবিদায় ও নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। গুজব ঠেকাতে সোস্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হবে। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

গতকাল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটের হুমকি অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে। মশা ও মাছি ঠেকাতে মশারির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, যেন মশা-মাছি কোনোভাবে প্রবেশ করতে না পারে। সে ব্যবস্থা আমরা করবো।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ইংরেজি নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতি নয়, আমাদের সংস্কৃতি বাংলা নববর্ষ? তবে বিশ্বায়নের যুগে আমরাও এর বাইরে নই।

যে কারণে এখানেও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপিত হবে। আমরা উৎসব উদযাপন করবো, আনন্দ করবো কিন্তু এই উদযাপন যেন অন্য কারো বেদনার কারণ, বিরক্তির কারণ না হয়ে যায়।

থার্টি ফার্স্টে সন্ধ্যার পর ঢাবিতে বহিরাগত নিষিদ্ধ
ইংরেজি নববর্ষের আগের দিন সন্ধ্যার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

থার্টি ফার্স্ট নাইটে বর্ষবরণ উদযাপনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে গতকাল সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মঙ্গলবার (আজ) রাত ৮টার পরে হাতিরঝিল এলাকায় জনসাধারণের অবস্থান করা যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইটের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

কূটনৈতিক পাড়ায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার বাসিন্দাদের রাত ৮টার মধ্যে এলাকায় ফিরতে অনুরোধ জানান তিনি। শফিকুল বলেন, সন্ধ্যা ৬টার পর সব বার বন্ধ থাকবে।

তবে পাঁচ তারকা হোটেল বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে না। কেউ যাতে মদ বা অ্যালকোহল পান করে জোরে গাড়ি চালাতে না পারে সেজন্য মোড়ে মোড়ে অ্যালকোহল কিট নিয়ে অবস্থান করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পরীক্ষা করা হবে।

আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রও বহন করা যাবে না বলে ডিএমপি কমিশনার জানান।

নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো ধরনের হুমকি নেই। তবে একটি পক্ষ এই আচার-অনুষ্ঠানকে অবৈধ মনে করে। তাই প্রচ্ছন্ন হুমকি সবসময় থাকে। সেজন্য জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই সব সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে।

Tag :

শেয়ার করুন

থার্টিফার্স্ট ঘিরে বাড়াবাড়ি-উচ্ছৃঙ্খলতা, প্রচ্ছন্ন হুমকি এবং গুজব ঠেকাতে কঠোর প্রশাসন

আপডেট টাইম : ১১:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: আর মাত্র কিছু সময়। পুরাতনকে পেছনে ফেলে সবাই আলিঙ্গন করবে নতুন বছর ২০২০-কে। ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। সবার বক্তব্য প্রায় একই। বাড়াবাড়ি-উচ্ছৃঙ্খলতা, প্রচ্ছন্ন হুমকি এবং গুজব ঠেকাতে কঠোর প্রশাসন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহর উদযাপনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ওই সময় কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি-উচ্ছৃঙ্খলতা যাতে না হয় সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা সদস্যরা ইতোমধ্যে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হুমকি নেই।

তবে এ রাতে রাস্তা বন্ধ করে বা অন্যকে কষ্ট দিয়ে যাতে কোনো অনুষ্ঠান না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এদিকে, ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজধানীতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঘরোয়াভাবে কেউ কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলেও পুলিশকে অবহিত করতে হবে।

সেখানে পুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। আর নিরাপত্তাজনিত কারণেই উন্মুক্ত স্থানে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।

কারণ উন্মুক্ত স্থানে নিরাপত্তা বিধান করা একটু কঠিনই। কারণ, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট কোনো হুমকি না থাকলেও উন্মুক্ত স্থানের ক্ষেত্রে তো প্রচ্ছন্ন হুমকি থাকে।

তাই এমন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরীতে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ ও উৎসব করা যাবে না। এছাড়া কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি-পটকা ফোটানো যাবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর স্টিকার ও পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর সব বার বন্ধ থাকবে। মাদকসেবনের বৈধতা ছাড়া কাউকে যেন পাঁচ তারকা হোটেলে অ্যালাও না করা হয় সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এবার মাদক সেবন করে কেউ বেপরোয়া যানবাহন চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডিএমপি। পাশাপাশি অ্যালকোহল টেস্টের জন্য গুলশান, বনানী ও হাতিরঝিলসহ একাধিক এলাকায় কিটসহ পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করবে।

একইসঙ্গে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্রও বহন করা যাবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবার রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের ৩১ ডিসেম্বর (আজ) রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় ফেরার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে গুজবের বিষয়ে সতর্ক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ( র‌্যাব)। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই বলেও আশ্বস্ত করেছে বাহিনীটি।

র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, ইংরেজি বর্ষবিদায় ও নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। গুজব ঠেকাতে সোস্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হবে। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

গতকাল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটের হুমকি অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে। মশা ও মাছি ঠেকাতে মশারির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, যেন মশা-মাছি কোনোভাবে প্রবেশ করতে না পারে। সে ব্যবস্থা আমরা করবো।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ইংরেজি নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতি নয়, আমাদের সংস্কৃতি বাংলা নববর্ষ? তবে বিশ্বায়নের যুগে আমরাও এর বাইরে নই।

যে কারণে এখানেও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপিত হবে। আমরা উৎসব উদযাপন করবো, আনন্দ করবো কিন্তু এই উদযাপন যেন অন্য কারো বেদনার কারণ, বিরক্তির কারণ না হয়ে যায়।

থার্টি ফার্স্টে সন্ধ্যার পর ঢাবিতে বহিরাগত নিষিদ্ধ
ইংরেজি নববর্ষের আগের দিন সন্ধ্যার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

থার্টি ফার্স্ট নাইটে বর্ষবরণ উদযাপনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে গতকাল সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মঙ্গলবার (আজ) রাত ৮টার পরে হাতিরঝিল এলাকায় জনসাধারণের অবস্থান করা যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইটের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

কূটনৈতিক পাড়ায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার বাসিন্দাদের রাত ৮টার মধ্যে এলাকায় ফিরতে অনুরোধ জানান তিনি। শফিকুল বলেন, সন্ধ্যা ৬টার পর সব বার বন্ধ থাকবে।

তবে পাঁচ তারকা হোটেল বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে না। কেউ যাতে মদ বা অ্যালকোহল পান করে জোরে গাড়ি চালাতে না পারে সেজন্য মোড়ে মোড়ে অ্যালকোহল কিট নিয়ে অবস্থান করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পরীক্ষা করা হবে।

আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রও বহন করা যাবে না বলে ডিএমপি কমিশনার জানান।

নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো ধরনের হুমকি নেই। তবে একটি পক্ষ এই আচার-অনুষ্ঠানকে অবৈধ মনে করে। তাই প্রচ্ছন্ন হুমকি সবসময় থাকে। সেজন্য জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই সব সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে।