যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা
- আপডেট টাইম : ০৫:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
- / 89
নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: সিরাজগঞ্জের যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। জানা যায়, সদর উপজেলা সয়দাবাদ ইউনিয়নের খাস বড় শিমুল পঞ্চসোনা, গাছাবাড়ি গ্রামে বঙ্গবন্ধু সেতু দক্ষিণে যমুনা নদীর রান্ধুনীবাড়ি ক্যানেলে দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাকে অবৈধভাবে মাটি নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
মুলিবাড়ি গ্রামের মৃত দারোগ আলীর ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগও দাখিল করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, বড়শিমুল পঞ্চসোনায় আর খতিয়ান-১২, জেএল নং-২১৩, দাগ নং-৫৯৫, ৬১২,৭১২, ৯১৩, ৯২১ ও ৯৩৫ দাগে অবৈধভাবে বালু নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা।
প্রতিটি ট্রাকে বালু ভর্তি হলে প্রভাবশালীরা পাচ্ছে ৪০০ টাকা। আর নিজ খরচে ট্রাকের ড্রাইভাররা বালু ভর্তি করে নিয়ে বিভিন্ন জায়গা বিক্রি করছে।
রোববার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, সয়দাবাদ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আজিজ মণ্ডলের নেতৃত্বে আ.লীগ নেতা পঞ্চসোনা গ্রামের আয়ুব মণ্ডল, বেলাল মণ্ডল, সারটিয়া গ্রামের রজব, শফিকুল, কুদ্দুস মেম্বার, পুনর্বাসন গ্রামের দানিব মোল্লাসহ ১০-১৫ জন সবসময়ে লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান করেন। গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলেই হামলা চালায়।
এই ভয়ে গ্রামবাসীও প্রতিবাদ করতে পারছেন না। বর্তমান বালু উত্তোলনের জায়গা গাছাবাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনী বাড়ি বালু উত্তোলনে দায়ে গত ১৭ ডিসেম্বর বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত-ই জাহানের নেতৃত্বে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল জরিমানা ও ট্রাক জব্দ করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন বলেন, গাছাবাড়ি সদর উপজেলায় অবস্থিত হওয়ায় বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন না। আবারো সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারও কোনো তদারকি করছেন না। প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলন করেই যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে আবাদি জমিগুলো ধ্বংসের মুখে পড়ছে।
সয়দাবাদ ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. মইন উদ্দিন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো কিছু জানা নেই। তবে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।