আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা এত সোজা নয়
- আপডেট টাইম : ০৯:২০:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
- / 34
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা এত সোজা নয়। একটা সরকার ইচ্ছা করলেই যে জনগণের উন্নয়ন করতে পারে, আওয়ামী লীগ সেটা প্রমাণ করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পারে। আইয়ুব খানকে উৎখাত করেছি; ইয়াহিয়া খানকে যুদ্ধে পরাজিত করে উৎখাত করেছি; জিয়া যেখানেই গেছে, আন্দোলন তার বিরুদ্ধে হয়েছে; এরশাদকে উৎখাত করেছি; খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোট চুরির পর তাকে উৎখাত করা হয়েছে, আবার ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিল, সেটাও বাতিল হয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগ পারে। আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা এত সোজা নয়।
রোববার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-বিএনপি, বাম রাজনীতি সব এক প্লাটফর্মে এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের রাজনীতিটা এক হয়ে যায় কীভাবে। তিনি বলেন, কোথায় বামপন্থি আর কোথায় ডানপন্থি। যারা বামপন্থী তারা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। বাম, স্বল্পবাম ও অতিবাম সবাই এখন জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে মিলে গেছে। এজন্যই বলা হয়, কী বিচিত্র বাংলাদেশ!
সরকারপ্রধান বলেন, মানুষের শক্তি আর বিশ্বাসই আওয়ামী লীগকে বার বার ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে। ’৭৫-এর পরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারা চেয়েছে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখছে।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই বাঙালির এখন জাতীয়তাবোধ তৈরি হয়েছে। স্বাধীনতার পর একটি দেশকে উন্নত করার ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়েছিলেন জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন বলেই মাত্র ৯ মাসে সংবিধান তৈরি করেছিলেন।
তিনি বলেন, মার্কিন সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সমর্থন দিলেও তাদের জনগণ বাংলাদেশের পক্ষে ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা সহযোগিতা করেছিল, তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি সবাইকে অনুরোধ করে বলেন, আমাদেরকে তো সাশ্রয়ী হতে হবে। আমি আশা করি দেশের মানুষ সাশ্রয়ী হবে। তারা নিজেদের স্বার্থেই তা করবে। আমাদের আগাম সাবধানতা নিতে হবে। যাতে কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়। দেশটাকে যাতে ধ্বংস না করতে পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
নিউজ লাইট ৭১