ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক কে প্রাণনাশের হুমকি

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 30
রাজশাহীর বাঘায় স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মী কে প্রাণেমারা সহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছে পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টায় বাঘা পৌর মেয়রের অফিস কক্ষে সাংবাদিক এম ইসলাম দিলদারের সাথে এ  ঘটনাটি ঘটে।
সাংবাদিক এম ইসলাম দিলদার বাঘা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। তিনি দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক ভয়েজ অফ এশিয়া পত্রিকায় বাঘা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
জানাযায়, দুপুর ১২ টার দিকে পৌরসভার হিসাব রক্ষক এর অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন গণমাধ্যম কর্মী এম ইসলাম দিলদার। তিনি দীর্ঘ ৮ মাস আগের দৈনিক ভয়োজ অফ এশিয়া পত্রিকায় ছাপানো বিজ্ঞাপনের বিলের কথা জিজ্ঞেস করলে হিসাব রক্ষক আবুল হাসান  বলেন মেয়র স্যারের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন। সাংবাদিক এম ইসলাম দিলদার মেয়র আঃ রাজ্জাক এর কক্ষে প্রবেশ করে সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে রুমে প্রবেশ করেন। সেখানে আগে থেকেই মেয়র সহ চার পাঁচজন ব্যক্তি বসা রয়েছিলেন । রুমে প্রবেশ করে দরজার পাশে দাড়িয়ে সাংবাদিক মেয়রকে বিনয়ের সাথে বলেন, আংকেল আমার দীর্ঘ সাত-আট মাস আগের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের বিল ছিল। যদি এটা ছাড় করা যেতো আমার জন্য ভালো হয় পত্রিকা অফিস থেকে বার বার আমাকে নক করছে বিলটি পরিশোধের জন্য। আপনি ৭/৮ মাস ধরে আমাকে ১২/১৫ দিন ঘুরাচ্ছেন। মেয়র কথাটি শুনে বলে এখন তো বিজ্ঞাপন বিল দেওয়া হবে না। মেয়রের কথার সাথে সাথে আগেই চেয়ারে বসে থাকা শাহিন মন্ডল ও সাবাজ সাংবাদিককে বলে যে মামা আপনি নির্বাচনের পরে আসেন। সেসময় সাংবাদিক বলেন, আমি তো আপনার সঙ্গে কথা বলছি না মামা আমিতো মেয়র আংকেল এর সাথে সঙ্গে কথা বলছি।এই বাক্যটি শেষ হওয়ার সাথে সাথেই মেয়র রাজ্জাক উচ্চস্বরে ক্ষেপে বলে উঠে সাংবাদিক খুব বেড়ে গেছে ধর তাকে দরজা লাগা তাকে মেরে ফেলা হবে আর পুলিশ ওসি কে এখুনই কল দিচ্ছি শালাকে চাঁদাবাজি মামলা দিয়েদিব।এই বলে মোবাইল ফোনটির নাম্বার টিপতে থাকে আর ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। ঘটনার সময় মেয়র রাজ্জাক এর কথা শুনে সাংবাদিক এম ইসলাম দিলদার নিজ হাতে অফিস কক্ষের দরজা লাগিয়ে বলেন,আমি চেয়ারে বসলাম কি পারেন করেন। পরে পরিবেশ উত্তপ্ত দেখে বসে থাকা শাহিন মন্ডল ও সাবাজ সাংবাদিক এম ইসলাম দিলদার এর হাত ধরে অফিসের বাহিরে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে বলতে থাকে মেয়রের মাথা ঠিক নেই।লক্ষ লক্ষ টাকার হিসাব দিতে হবে নতুন মেয়র যে হবে। নির্বাচন পরে মোবাইলে কল দিয়ে বিজ্ঞাপনের বিল দেওয়া হবে মামা এখন চলে যান।
এ বিষয়ে বাঘা রিপোটার্স ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক এম ইসলাম দিলদার বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে বিভিন্ন দৈনিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় আমার লিখা “বাঘা পৌরসভার গাড়ি মেয়রের মামার পাট বহনে ভাড়ায় চলার অভিযোগ উঠেছে” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করায় মেয়র কে সরকারী বিভিন্ন দপ্তর ঘুড়তে হয়েছে। এর পরে অন্য সাংবাদিকগনও এই খবরটি প্রকাশ করেছে। এর পরে বিভিন্ন দূর্নীতির খবর প্রকাশসহ ৭ কোটি টাকার বাঘা পৌরসভার বরাদ্দের কাজ না করে উধাও হওয়ার খবর প্রকাশ করায়  মেয়র আঃ রাজ্জাকের আমার বিরুদ্ধে বাঘা থানায় চাঁদাবাজি মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।তবে মেয়র  তার দূর্নীতির সত্য কে আড়াল করতে পারেনি। দূর্নীতির খবর প্রকাশের জন্য ক্ষিপ্ত মেয়র রাজ্জাক।
এই ঘটনার জন্য বাঘা পৌর মেয়র আঃ রাজ্জাক মুঠোফোন কল দিলে তিনি বললে, আমি সাংবাদিকের সাথে খারাপ আচারণ করিনি।তবে যতটুকু হয়েছে  আমি এজন্য  দুঃখিত। আমার মাথায় ছিল না এটা ৬মাস আগের বিল। এখন বাঘা পৌরসভার তৌফসিল ঘোষণা হয়েছে এই অবস্থাই আমি কোন বিলে স্বই করতে পারবো না।নির্বাচনের পরে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে আমি সাংবাদিকের বিল দিয়ে দিব।
জহুরুল  ইসলাম / নিউজ লাইট ৭১
Tag :

শেয়ার করুন

সাংবাদিক কে প্রাণনাশের হুমকি

আপডেট টাইম : ০৮:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
রাজশাহীর বাঘায় স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মী কে প্রাণেমারা সহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছে পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টায় বাঘা পৌর মেয়রের অফিস কক্ষে সাংবাদিক এম ইসলাম দিলদারের সাথে এ  ঘটনাটি ঘটে।
সাংবাদিক এম ইসলাম দিলদার বাঘা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। তিনি দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক ভয়েজ অফ এশিয়া পত্রিকায় বাঘা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
জানাযায়, দুপুর ১২ টার দিকে পৌরসভার হিসাব রক্ষক এর অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন গণমাধ্যম কর্মী এম ইসলাম দিলদার। তিনি দীর্ঘ ৮ মাস আগের দৈনিক ভয়োজ অফ এশিয়া পত্রিকায় ছাপানো বিজ্ঞাপনের বিলের কথা জিজ্ঞেস করলে হিসাব রক্ষক আবুল হাসান  বলেন মেয়র স্যারের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন। সাংবাদিক এম ইসলাম দিলদার মেয়র আঃ রাজ্জাক এর কক্ষে প্রবেশ করে সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে রুমে প্রবেশ করেন। সেখানে আগে থেকেই মেয়র সহ চার পাঁচজন ব্যক্তি বসা রয়েছিলেন । রুমে প্রবেশ করে দরজার পাশে দাড়িয়ে সাংবাদিক মেয়রকে বিনয়ের সাথে বলেন, আংকেল আমার দীর্ঘ সাত-আট মাস আগের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের বিল ছিল। যদি এটা ছাড় করা যেতো আমার জন্য ভালো হয় পত্রিকা অফিস থেকে বার বার আমাকে নক করছে বিলটি পরিশোধের জন্য। আপনি ৭/৮ মাস ধরে আমাকে ১২/১৫ দিন ঘুরাচ্ছেন। মেয়র কথাটি শুনে বলে এখন তো বিজ্ঞাপন বিল দেওয়া হবে না। মেয়রের কথার সাথে সাথে আগেই চেয়ারে বসে থাকা শাহিন মন্ডল ও সাবাজ সাংবাদিককে বলে যে মামা আপনি নির্বাচনের পরে আসেন। সেসময় সাংবাদিক বলেন, আমি তো আপনার সঙ্গে কথা বলছি না মামা আমিতো মেয়র আংকেল এর সাথে সঙ্গে কথা বলছি।এই বাক্যটি শেষ হওয়ার সাথে সাথেই মেয়র রাজ্জাক উচ্চস্বরে ক্ষেপে বলে উঠে সাংবাদিক খুব বেড়ে গেছে ধর তাকে দরজা লাগা তাকে মেরে ফেলা হবে আর পুলিশ ওসি কে এখুনই কল দিচ্ছি শালাকে চাঁদাবাজি মামলা দিয়েদিব।এই বলে মোবাইল ফোনটির নাম্বার টিপতে থাকে আর ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। ঘটনার সময় মেয়র রাজ্জাক এর কথা শুনে সাংবাদিক এম ইসলাম দিলদার নিজ হাতে অফিস কক্ষের দরজা লাগিয়ে বলেন,আমি চেয়ারে বসলাম কি পারেন করেন। পরে পরিবেশ উত্তপ্ত দেখে বসে থাকা শাহিন মন্ডল ও সাবাজ সাংবাদিক এম ইসলাম দিলদার এর হাত ধরে অফিসের বাহিরে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে বলতে থাকে মেয়রের মাথা ঠিক নেই।লক্ষ লক্ষ টাকার হিসাব দিতে হবে নতুন মেয়র যে হবে। নির্বাচন পরে মোবাইলে কল দিয়ে বিজ্ঞাপনের বিল দেওয়া হবে মামা এখন চলে যান।
এ বিষয়ে বাঘা রিপোটার্স ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক এম ইসলাম দিলদার বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে বিভিন্ন দৈনিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় আমার লিখা “বাঘা পৌরসভার গাড়ি মেয়রের মামার পাট বহনে ভাড়ায় চলার অভিযোগ উঠেছে” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করায় মেয়র কে সরকারী বিভিন্ন দপ্তর ঘুড়তে হয়েছে। এর পরে অন্য সাংবাদিকগনও এই খবরটি প্রকাশ করেছে। এর পরে বিভিন্ন দূর্নীতির খবর প্রকাশসহ ৭ কোটি টাকার বাঘা পৌরসভার বরাদ্দের কাজ না করে উধাও হওয়ার খবর প্রকাশ করায়  মেয়র আঃ রাজ্জাকের আমার বিরুদ্ধে বাঘা থানায় চাঁদাবাজি মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।তবে মেয়র  তার দূর্নীতির সত্য কে আড়াল করতে পারেনি। দূর্নীতির খবর প্রকাশের জন্য ক্ষিপ্ত মেয়র রাজ্জাক।
এই ঘটনার জন্য বাঘা পৌর মেয়র আঃ রাজ্জাক মুঠোফোন কল দিলে তিনি বললে, আমি সাংবাদিকের সাথে খারাপ আচারণ করিনি।তবে যতটুকু হয়েছে  আমি এজন্য  দুঃখিত। আমার মাথায় ছিল না এটা ৬মাস আগের বিল। এখন বাঘা পৌরসভার তৌফসিল ঘোষণা হয়েছে এই অবস্থাই আমি কোন বিলে স্বই করতে পারবো না।নির্বাচনের পরে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে আমি সাংবাদিকের বিল দিয়ে দিব।
জহুরুল  ইসলাম / নিউজ লাইট ৭১