মাদক কারবারিদের কাছে জিম্মি এলাকাবাসী
- আপডেট টাইম : ০৮:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
- / 34
খুলনার কয়রায় বেদকাশী ইউনিয়নে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারিদের কাছে জিম্মিতে এলাকাবাসী ও সাধারণ মানুষের জমি দখল।
এলাকার বেড়ি বাঁধ নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত কার্গে সন্ত্রাসীরা তিন লক্ষ টাকা চাঁদা চাইতে গেলে চাঁদা না দেওয়ায় কার্গোটি নদিতে ডুবিয়ে দিয়ে আসে। এমনকি কার্গের কর্মচারীদের ধরে নিয়ে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করে।
দেবাশিস মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, পরবর্তীকালে থানায় কার্গের মালিক মামলা করতে গেলে থানা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা নেননি।
থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাওয়ার ব্যাপারটি জেনে যায় এবং কার্গের মালিককে হুমকি দেওয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে কার্গের মালিক নিরুপায় হয়ে খুলনা দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেন যার তদন্তভার দেওয়া হয় পি বি আই এর উপর মামলা নাং ০৫/২২ পরবর্তীতে যখন পি বি আই মামলার চার্জশীট দেয় অপরাধী হিসেবে এবং কোর্ট গ্রহণ করে আসামিদের ধরার নির্দেশ দেয়।
থানায় ওয়ারেন্ট থানা থাকা শর্তেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো চাঁদাবাজি করা মানুষের জমি জায়গা থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়া সহ তারা দুর্নীতি মূলক সকল ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে।
ভুক্তভোগী প্রশান্ত কুমার মণ্ডল বলেন, এছাড়াও ওয়ারেন্ট থানায় পাঠানোর আগে ০৫/২২ মামলার নিরপেক্ষ সাক্ষীকে উঠিয়ে নিয়ে চাঁদা বাজরা তাদের অত্যাচার নির্যাতন করে।
কোর্টের ওয়ারেন্ট হওয়ার পরে কার্গের মালিকের বাসায় গিয়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ভূমি দস্যুরা সাক্ষীদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয় জামিন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী দেবাশীষ মণ্ডল, প্রশান্ত কুমার মণ্ডল, কনকধর মণ্ডল, দিনের চন্দ্র মণ্ডল, সুকুমার মণ্ডল, আবুল সানা, বারিক গাজী, সহ এলাকাবাসীরা ৩১/১০/২২ তারিখে ০৫/২২ মামলার ধার্য দিনে হাই কোর্টের বেল নিয়ে থাকা চারজন আসামি কোর্টের বারান্দায় উপস্থিত হয়।
কোর্টের বারান্দায় থাকা ছয় নং সাক্ষীকে হরিদাস মণ্ডল, গণেশ বৈদ্য, সোহাগ, মাসুদ রানা হুমকি দিয়ে বলেন, আসামিদের জামিনে বের করে তোদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত গুলি করবো বলে হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ০৫/২২ মামলার এক নং আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং জনগণের জমি থেকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু বাহিনীদের নিয়ে তার মাদক ব্যবসাসহ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমনকি মামলা এর সাক্ষীদের মারার জন্য বাড়ির সামনে ঐ সন্ত্রাসীরা টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। এরা গ্রেফতার হওয়ার পর এখনো তাদের সহযোগী এবং গট ফাদার দের কারণে এলাকার আতংক কাটেনি।
হরিদাস মণ্ডলের সন্ত্রাসীদের সহযোগীরা এলাকায় প্রচার করেছেন আসামিদের জামিন থেকে বের করে নিয়ে এসে দু/দশ জনকে জখম করবে এবং এলাকাবাসীদের কে গ্রাম ছাড়া করা হবে।
অভিযুক্ত আসামি হরিদাস মণ্ডলের মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে কয়রা থানার ওসি এ.বি.এম.এস দোহা, এর কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, এসব আমি জানিনা বলে ফোনটি কেটে দেন।
নিউজ লাইট ৭১