ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বয়স জালিয়াতি শতাধিক সুবিধাভোগীর ভাতা বাতিল

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
  • / 25

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বয়স জালিয়াতির অভিযোগে বয়স্ক ভাতার তালিকাভুক্ত চারশ ১৩ জন সুবিধাভোগীর ভাতা বাতিল করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম-ঠিকানা সঠিক থাকলেও বয়সের গরমিল পাওয়া গেছে। সম্প্রতি সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিজস্ব সফটওয়্যারের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতার সুবিধাভোগীদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে অনলাইনে সংরক্ষণ করতে গিয়ে এসব প্রতারণা ধরা পড়ে। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বয়স্ক ভাতা পেতে নারীদের বয়স কমপক্ষে ৬২ ও পুরুষদের ৬৫ বছর হতে হবে। একজন ভাতাভোগী মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা পান। সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ভাতাভোগীদের নামে বই ইস্যু করা হয়। ভাতাভোগীরা নিজেদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ভাতার টাকা পান। এসব ভাতাভোগীর তালিকা ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে তৈরি করে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে জমা দেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে তাদের সঠিক বয়স নির্ধারণ করে ভাতার আওতায় আনেন সমাজসেবা কার্যালয়। বয়স জালিয়াতি করে অনেকেই বয়স্ক ভাতার আওতায় এসেছেন। যারা বয়স চুরি করে ভাতাভোগী হয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে নতুনদের তালিকাভুক্তির কাজ চলমান রয়েছে। এ উপজেলায় বয়স্ক ভাতার সুবিধাভোগীর তালিকায় রয়েছেন মোট ছয় হাজার তিনশ ৪৪ জন। তার মধ্যে বাংলাবাজার ইউনিয়নে ৪৫, নরসিংপুর ইউনিয়নে একশ ছয়জন, দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নে ৪৮ জন, মান্নারগাও ইউনিয়নে ২৩ জন, পান্ডারগাও ইউনিয়নে ৬০ জন, দোহালিয়া ইউনিয়নে ৩৩ জন, লক্ষীপুর ইউনিয়নে ৩৬ জন, বোগলাবাজার ইউনিয়নে ২৯ জন ও সুরমা ইউনিয়নে ৩৩ জন বয়স্ক ভাতাভোগীর বয়স জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এলাকার কয়েকজন জানান, সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবা কার্যালয়ের লোকজনের যোগসাজশে তারা বয়স জালিয়াতি করে ভাতাভুক্ত হয়েছেন। তারা পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ ঘষামাজা অথবা ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে বয়স বাড়িয়ে ভাতাভুক্ত হয়েছেন। বয়স জালিয়াতি করে ভাতার তালিকাভুক্ত হওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তত পাঁচ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। বয়স নিয়ে সমস্যা থাকায় অনলাইনে তাদের ডাটা এন্ট্রি হয়নি। এখন তারা ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। দোয়ারাবাজার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, এনআইডি চালু হওয়ার পূর্ব থেকেই ভাতাভোগীদের অনিয়ম চলে আসছিল। বয়স জালিয়াতি করে অনেকেই বয়স্ক ভাতার আওতায় এসেছেন। যারা বয়স চুরি করে ভাতাভোগী হয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে নতুনদের তালিকাভুক্তির কাজ চলমান রয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button
Tag :

শেয়ার করুন

বয়স জালিয়াতি শতাধিক সুবিধাভোগীর ভাতা বাতিল

আপডেট টাইম : ০৫:২৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বয়স জালিয়াতির অভিযোগে বয়স্ক ভাতার তালিকাভুক্ত চারশ ১৩ জন সুবিধাভোগীর ভাতা বাতিল করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম-ঠিকানা সঠিক থাকলেও বয়সের গরমিল পাওয়া গেছে। সম্প্রতি সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিজস্ব সফটওয়্যারের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতার সুবিধাভোগীদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে অনলাইনে সংরক্ষণ করতে গিয়ে এসব প্রতারণা ধরা পড়ে। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বয়স্ক ভাতা পেতে নারীদের বয়স কমপক্ষে ৬২ ও পুরুষদের ৬৫ বছর হতে হবে। একজন ভাতাভোগী মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা পান। সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ভাতাভোগীদের নামে বই ইস্যু করা হয়। ভাতাভোগীরা নিজেদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ভাতার টাকা পান। এসব ভাতাভোগীর তালিকা ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে তৈরি করে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে জমা দেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে তাদের সঠিক বয়স নির্ধারণ করে ভাতার আওতায় আনেন সমাজসেবা কার্যালয়। বয়স জালিয়াতি করে অনেকেই বয়স্ক ভাতার আওতায় এসেছেন। যারা বয়স চুরি করে ভাতাভোগী হয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে নতুনদের তালিকাভুক্তির কাজ চলমান রয়েছে। এ উপজেলায় বয়স্ক ভাতার সুবিধাভোগীর তালিকায় রয়েছেন মোট ছয় হাজার তিনশ ৪৪ জন। তার মধ্যে বাংলাবাজার ইউনিয়নে ৪৫, নরসিংপুর ইউনিয়নে একশ ছয়জন, দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নে ৪৮ জন, মান্নারগাও ইউনিয়নে ২৩ জন, পান্ডারগাও ইউনিয়নে ৬০ জন, দোহালিয়া ইউনিয়নে ৩৩ জন, লক্ষীপুর ইউনিয়নে ৩৬ জন, বোগলাবাজার ইউনিয়নে ২৯ জন ও সুরমা ইউনিয়নে ৩৩ জন বয়স্ক ভাতাভোগীর বয়স জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এলাকার কয়েকজন জানান, সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবা কার্যালয়ের লোকজনের যোগসাজশে তারা বয়স জালিয়াতি করে ভাতাভুক্ত হয়েছেন। তারা পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ ঘষামাজা অথবা ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে বয়স বাড়িয়ে ভাতাভুক্ত হয়েছেন। বয়স জালিয়াতি করে ভাতার তালিকাভুক্ত হওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তত পাঁচ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। বয়স নিয়ে সমস্যা থাকায় অনলাইনে তাদের ডাটা এন্ট্রি হয়নি। এখন তারা ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। দোয়ারাবাজার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, এনআইডি চালু হওয়ার পূর্ব থেকেই ভাতাভোগীদের অনিয়ম চলে আসছিল। বয়স জালিয়াতি করে অনেকেই বয়স্ক ভাতার আওতায় এসেছেন। যারা বয়স চুরি করে ভাতাভোগী হয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে নতুনদের তালিকাভুক্তির কাজ চলমান রয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button