ঢাকা
০৮:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাজশাহীর ভারতীয় ভিসা অফিসে দালালচক্রের সদস্য আটক
ডেস্ক রিপোর্ট :
- আপডেট টাইম : ০১:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০২২
- / 25
রাজশাহীস্থ ভারতীয় ভিসা অফিসের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূনীতির অভিযোগ নতুন নয়। একাধিকবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে ভারতীয় ভিসা অফিসের নানান অনিয়ম দূনীতির চিত্র। এবারে এক ভিসা প্রত্যাশীর নিকট থেকে ভিসা অফিসে প্রবেশ করিয়ে দেয়ার বিনিময়ে ৫০০ টাকা ঘুষ লেনদেনের সময় জনতার হাতে ধরা খেয়েছে এক দালাল সদস্য।
সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১টার সময় নগরীর বর্ণালী মোড়ে ভারতীয় ভিসা অফিসের প্রবেশ গেটের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে দালাল চক্রের এ সদস্যকে আটক করে নগরীর শিরোইল ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
আটক ব্যাক্তির নাম শহিদুল ইসলাম (৩৫)। তিনি নগরীর হড়গ্রাম লিলি সিনেমা হলমোড় এলাকার মাইনুল ইসলামের ছেলে। শহিদুল ভারতীয় ভিসা অফিসের ভবন মালিকের গাড়ি চালক বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে ভারতীয় ভিসা প্রত্যাশীদের থেকে অবৈধভাবে প্রকাশ্যে টাকা গ্রহণ করছিলেন শহিদুল। এসময় তীব্র জনরোষে পড়েন তিনি। পরে ভিসা প্রত্যাশীরা হট্টোগোল শুরু করলে ভিসা সেন্টারের গেট বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
গনমাধ্যমকর্মীরা এবিষয়ে কথা বলার জন্য অফিসের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। ধীরে ধীরে সেখানে আরও গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত হলে তারা উপায় না দেখে গেটে তালা লাগিয়ে ভেতরে চলে যান। গনমাধ্যমকর্মীরা সেখানকার দ্বায়িত্বরত ইনচার্জের সাথে কথা বলতে চাইলেও তাদের কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
পরে রাজশাহীস্থ ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব সাহা’র মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে, হাতেনাতে টাকা নেওয়া ও জনগণের হট্টোগোলের কারনে অভিযুক্ত দালাল সদস্যকে আটক করে ভারতীয় ভিসা অফিসে দ্বায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। পরে তাকে বোয়ালিয়া থানার শিরোইল পুলিশ ফাঁড়িতে নেয়া হয়।
এবিষয়ে শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল্লাহ কাইসার বলেন, শহীদুল নামের একজনকে আটক করেছি। আপাতত তাকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, ভিসা সেন্টারের বিল্ডিং মালিকের ড্রাইভার হিসেবে রয়েছেন।
সে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে দালালচক্রের সাথে জড়িত কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ এখনো চলমান। পূর্ণাঙ্গ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এসব বিষয়ে জানা যাবে। আপাতত তাকে বোয়ালিয়া থানায় পাঠানো হবে। মামলা হবে কিনা তা ওসি স্যার দেখবেন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
জহুরুল ইসলাম/ নিউজ লাইট ৭১
Tag :
শেয়ার করুন
