আক্রমণে কৃষকের মাথায় হাত
- আপডেট টাইম : ০৬:২৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
- / 29
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার কাচালং নদীর পূর্ব পাড়ে বন্যহাতির আক্রমণের শিকার বিভিন্ন এলাকার জন সাধারণ।
গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৭টা ৩০ মিনিটে বগাচতর ইউনিয়নের শিাবারেগা ও দক্ষিণ মারিশ্যাচর এলাকার অনেকের বিভিন্ন সবজি বাগান তচনচ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়।
দক্ষিণ মারিশ্যাচরের কৃষক আব্দুল মালেক জানান, বিভিন্ন দিক থেকে ঋণ করে তিনি মোট এক হাজার থলা শশার চারা রোপণ করেছিলো, কিন্তু যখন ফল দেওয়া শুরু হলো হাতি এসে গত রাতে একহাজার থলা শশা সব গুলো খেয়ে ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে, এক টাকার ফলও বিক্রি করার সুযোগ হয়নি। এমতাবস্থায় সে মানুষিকভাবে চিন্তিত কিভাবে সংসার চালাবে, কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবে।
তিনি বলেন, এখানে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি, যার একটি টাকাও তুলতে পারিনি।
কৃষক সুফিয়ান বলেন, গত রাতে বন্যহাতি আমার প্রায় দুই লক্ষ টাকার মত ফসলাদি নষ্ট করে। আমরা প্রতিনিয়ত হাতির জ্বালাতনের শিকার। রাতে আঁধারে এসে ঘর বাড়ি ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি করে যাচ্ছে।
একই রাতে মো. সুফিয়ান, মোহাম্মদ আলী, নুর নবীসহ বেশ কয়েকজনের করলা, চিচিঙ্গা, লাউসহ বিভিন্ন সবজি বাগান ভাঙচুর করে বন্যহাতি। এতে করে ঋণ করে চাষ করে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।
এলাকাবাসীরা বলছেন, দুর্গম এলাকা রাত হলে অন্ধকার, সেই সুযোগে হাতি ইচ্ছামত অত্যাচার করার সুযোগ পায়। আমরা হাতির এ অত্যাচার থেকে মুক্তি চাই।
৪নং বগাতচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার বলেন, আমাদের এসব এলাকায় বন্যহাতি সবসময় সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করছে।আমাদের হাতির আক্রমণ থেকে কিছুটা বাঁচার উপায় খুঁজে বের করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকা গুলো দুর্গম এলাকা, এখানে রাত হলেই অন্ধকারে নিঝুম হয়ে যায়। যদি বিদ্যুৎ চলে আসতো তাহলে হয়তো আমরা এই হাতির অত্যাচার থেকে কিছুটা মুক্তি পেতাম। আমাদের এ সব এলাকার সাধারণ মানুষের দাবি যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এলাকাগুলো বিদ্যুতের আওতায় আনা হোক।
নিউজ লাইট ৭১