ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 31

ছবি: নিউজ লাইট ৭১

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে মাদক কারবারিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় মাদক কারবারি আজমের গুদামঘরে মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা, দুটি ওয়ান শুটারগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

রোববার দুপুরে নগরীর চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কর্ণফুলী থানার শাহমীরপুর গ্রামের মৃত সুলতান আহমদের ছেলে মো. আজম উদ্দিন চৌধুরী (২৬) ও মো. আব্দুল নুরের ছেলে মো. ছৈয়দ নুর প্রকাশ রুবেল হোসেন (৩০)।

সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, চার পাঁচদিন ধরে টেকনাফ-উখিয়াসহ মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, বিয়ার ও সিগারেটের বিশাল চালান জব্দ করা হয়। এ সময় ওই এলাকা থেকে ইয়াবার একটি বড় চালানও জব্দ করা হয়। এসব চালান থেকে মাদক ডিলার সম্পর্কে আমরা তথ্য পাই। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় নগরীর কর্ণফুলী থানার শাহমিরপুর বাদামতল এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করি। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে গ্রেপ্তার আজিমের গুদামঘরের মাটির নিচে লুকানো ২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা ও পানির নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো পলিব্যাগে লুকিয়ে রাখা দুটি ওয়ানশুটারগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, পাঁচ ছয় বছর আগে থেকে ইয়াবা ব্যবসায় সাথে জড়িয়ে পড়ে তারা। শুরুর দিকে ইয়াবা বহনের কাজ করলেও পরে তারা বড় চালান পেয়ে নিজেরা ব্যবসা শুরু করে। এর মধ্যে নিজের বাড়িতে মাটির নিচে ইয়াবা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এনে রাখে। পরে সেখান থেকে খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে ছোট ছোট প্যাকেটে করে ইয়াবার চালান সরবরাহ করত। অস্ত্রগুলো দিয়ে তারা স্থানীয়ভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার, প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানো, মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবহার করতো। উদ্ধার অস্ত্র-গোলাবারুদ বাঁশখালীর কথিত অস্ত্র ব্যবসায়ী শহিদ এবং ছৈয়দের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।

তিনি আরও বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে সাগরপথে মিয়ানমার থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ করে পরে তা দেশের বিভিন্ন জায়গায় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। উদ্ধার ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। গ্রেপ্তারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

 

facebook sharing button
twitter sharing button
messenger sharing button
Tag :

শেয়ার করুন

দুই লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০৫:৩৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে মাদক কারবারিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় মাদক কারবারি আজমের গুদামঘরে মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা, দুটি ওয়ান শুটারগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

রোববার দুপুরে নগরীর চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কর্ণফুলী থানার শাহমীরপুর গ্রামের মৃত সুলতান আহমদের ছেলে মো. আজম উদ্দিন চৌধুরী (২৬) ও মো. আব্দুল নুরের ছেলে মো. ছৈয়দ নুর প্রকাশ রুবেল হোসেন (৩০)।

সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, চার পাঁচদিন ধরে টেকনাফ-উখিয়াসহ মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, বিয়ার ও সিগারেটের বিশাল চালান জব্দ করা হয়। এ সময় ওই এলাকা থেকে ইয়াবার একটি বড় চালানও জব্দ করা হয়। এসব চালান থেকে মাদক ডিলার সম্পর্কে আমরা তথ্য পাই। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় নগরীর কর্ণফুলী থানার শাহমিরপুর বাদামতল এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করি। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে গ্রেপ্তার আজিমের গুদামঘরের মাটির নিচে লুকানো ২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা ও পানির নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো পলিব্যাগে লুকিয়ে রাখা দুটি ওয়ানশুটারগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, পাঁচ ছয় বছর আগে থেকে ইয়াবা ব্যবসায় সাথে জড়িয়ে পড়ে তারা। শুরুর দিকে ইয়াবা বহনের কাজ করলেও পরে তারা বড় চালান পেয়ে নিজেরা ব্যবসা শুরু করে। এর মধ্যে নিজের বাড়িতে মাটির নিচে ইয়াবা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এনে রাখে। পরে সেখান থেকে খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে ছোট ছোট প্যাকেটে করে ইয়াবার চালান সরবরাহ করত। অস্ত্রগুলো দিয়ে তারা স্থানীয়ভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার, প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানো, মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবহার করতো। উদ্ধার অস্ত্র-গোলাবারুদ বাঁশখালীর কথিত অস্ত্র ব্যবসায়ী শহিদ এবং ছৈয়দের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।

তিনি আরও বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে সাগরপথে মিয়ানমার থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ করে পরে তা দেশের বিভিন্ন জায়গায় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। উদ্ধার ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। গ্রেপ্তারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

 

facebook sharing button
twitter sharing button
messenger sharing button