ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি না থাকলে বাংলাদেশ আজও স্বাধীন হত কিনা সন্দেহ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:১৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 109

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি না থাকলে বাংলাদেশ আজও স্বাধীন হত কিনা সন্দেহ। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) কলকাতায় এসে এই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভি। কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস আয়োজিত ৪ দিনের বিজয় উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানে এদিন কলকাতায় ছিলেন তিনি। ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া উপদূতাবাস ভবনে এই অনুষ্ঠান চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের সূচনা করে গওহর রিজভি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গেই স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু করেছিল আফ্রিকার কয়েকটি দেশ। তাদের কয়েকটি এখনও স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধির নেতৃত্বে ভারতীয় সেনাবাহিনী যেভাবে মুক্তিকামী বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তা অনস্বীকার্য। সেই থেকে দুদেশের সম্পর্ক সুপ্রতিবেশীর মতো বললে কম বলা হয়। একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রয়চৌধুরী এবং ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, দ্য ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল মহম্মদ আব্দুর রশীদ। এদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয় বীর প্রতীক মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেককে।

তিনদিনের অনুষ্ঠানসূচিতে রয়েছে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোকচিত্রের প্রদর্শনী, তথ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। এ ছাড়াও প্রতিদিন দুই দেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিক আলোচনা। কলকাতায় এবার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ হল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সব শিল্পীই এসেছেন বাংলাদেশ থেকে। চারদিনের অনুষ্ঠানের এই শিল্পীরাই যে মাতিয়ে রাখবেন এবার বাংলার দর্শক-শ্রোতাদের, এর আগাম আভাস দিয়ে রাখলেন দুই বাংলায় জনপ্রিয় বাংলাদেশের দুই প্রথিতযশা শিল্পী অদিতি মহসিন এবং সৈয়দ আবদুল হাদী। এই দুই শিল্পীর পরিবেশনার সময় কিছুক্ষণের জন্য দর্শকরা ভুলে গিয়েছিলেন ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে কলকাতাও গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। অদিতির পরিবেশন করা রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং  সৈয়দ আবদুল হাদীর একের পর এক জনপ্রিয় গান যেন এপার বাংলায় মাঘের সূচনা করে দিয়ে গেল। স্রেফ এই কারণেই কলকাতাবাসী বহুদিন মনে রাখবে এই দুই শিল্পীকে। এই দুজন ছাড়াও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আরও রয়েছেন- মীর বরকত (আবৃতি), আসগর আলীম, ইয়াসমিন মুশতারি, মহম্মদ আব্দুল হালিম খান, গোলাম সারোয়ার (আবৃতি), এটিএন নিউজের শিল্পীবৃন্দ, ঝুমা খন্দকার, মাহবুবুর রহমান সবুজ, ফাহমিদা নবী প্রমুখ। এ ছাড়াও বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে উপদূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের বিশেষ সাংস্কৃতিক উপস্থাপন।

Tag :

শেয়ার করুন

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি না থাকলে বাংলাদেশ আজও স্বাধীন হত কিনা সন্দেহ

আপডেট টাইম : ১১:১৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি না থাকলে বাংলাদেশ আজও স্বাধীন হত কিনা সন্দেহ। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) কলকাতায় এসে এই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভি। কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস আয়োজিত ৪ দিনের বিজয় উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানে এদিন কলকাতায় ছিলেন তিনি। ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া উপদূতাবাস ভবনে এই অনুষ্ঠান চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের সূচনা করে গওহর রিজভি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গেই স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু করেছিল আফ্রিকার কয়েকটি দেশ। তাদের কয়েকটি এখনও স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধির নেতৃত্বে ভারতীয় সেনাবাহিনী যেভাবে মুক্তিকামী বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তা অনস্বীকার্য। সেই থেকে দুদেশের সম্পর্ক সুপ্রতিবেশীর মতো বললে কম বলা হয়। একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রয়চৌধুরী এবং ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, দ্য ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল মহম্মদ আব্দুর রশীদ। এদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয় বীর প্রতীক মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেককে।

তিনদিনের অনুষ্ঠানসূচিতে রয়েছে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোকচিত্রের প্রদর্শনী, তথ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। এ ছাড়াও প্রতিদিন দুই দেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিক আলোচনা। কলকাতায় এবার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ হল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সব শিল্পীই এসেছেন বাংলাদেশ থেকে। চারদিনের অনুষ্ঠানের এই শিল্পীরাই যে মাতিয়ে রাখবেন এবার বাংলার দর্শক-শ্রোতাদের, এর আগাম আভাস দিয়ে রাখলেন দুই বাংলায় জনপ্রিয় বাংলাদেশের দুই প্রথিতযশা শিল্পী অদিতি মহসিন এবং সৈয়দ আবদুল হাদী। এই দুই শিল্পীর পরিবেশনার সময় কিছুক্ষণের জন্য দর্শকরা ভুলে গিয়েছিলেন ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে কলকাতাও গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। অদিতির পরিবেশন করা রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং  সৈয়দ আবদুল হাদীর একের পর এক জনপ্রিয় গান যেন এপার বাংলায় মাঘের সূচনা করে দিয়ে গেল। স্রেফ এই কারণেই কলকাতাবাসী বহুদিন মনে রাখবে এই দুই শিল্পীকে। এই দুজন ছাড়াও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আরও রয়েছেন- মীর বরকত (আবৃতি), আসগর আলীম, ইয়াসমিন মুশতারি, মহম্মদ আব্দুল হালিম খান, গোলাম সারোয়ার (আবৃতি), এটিএন নিউজের শিল্পীবৃন্দ, ঝুমা খন্দকার, মাহবুবুর রহমান সবুজ, ফাহমিদা নবী প্রমুখ। এ ছাড়াও বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে উপদূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের বিশেষ সাংস্কৃতিক উপস্থাপন।