চোরাই গার্মেন্টস পণ্য উদ্ধার
- আপডেট টাইম : ১২:০১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / 32
কুমিল্লা সদরের দক্ষিণ থানা এলাকা থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের রপ্তানিযোগ্য চোরাই গার্মেন্টস পণ্য উদ্ধারসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় বিপুল পরিমাণ কিটস পোশাক সামগ্রী ও ১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভোলার বাসিন্দা মো. হিমেল ওরফে দুলাল (৩৮) ও আবুল কালাম (৪০), কুমিল্লার মো. মহসিন আলী ওরফে বাবু (৩১) ও বগুড়ার মো. আলামিন (৩০)।
বুধবার রাতে কুমিল্লা সদরের দক্ষিণ থানাধীন বেলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৪ কোটি টাকার চোরাই ৪৫৭ কার্টন গার্মেন্টস সামগ্রী, একটি কাভার্ড ভ্যানসহ তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪ এর একটি দল। তবে ঘটনাস্থল থেকে চালকসহ ৩-৪ জন পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, আশুলিয়া ও গাজীপুর থেকে বিভিন্ন দেশে রপ্তানিযোগ্য গার্মেন্টস পণ্য চুরির সঙ্গে জড়িত। মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত চালকদের যোগসাজশে কয়েক বছর ধরে গার্মেন্টস পণ্য কাভার্ড ভ্যান থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় চুরি করে স্থানীয় মার্কেটে কম দামে বিক্রি করছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, চক্রটি কাভার্ড ভ্যানের চালকের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করে বিভিন্ন লোভ দেখানোর পাশাপাশি চুরি করা পণ্য বিক্রির টাকার অংশ দেয়ার কথা বলে রাজি করায়। নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিকটবর্তী নির্জন এলাকায় কাভার্ড ভ্যান পার্কিং করা হতো। পরে চক্রের মূলহোতা সিরাজুলের নির্দেশে গ্রেপ্তার চারজন এবং পলাতক সহযোগী নুর জামানসহ অন্যরা মিলে বিশেষ কৌশলে কাভার্ড ভ্যানের সিলগালা তালা না খুলে কাভার্ড ভ্যানের পাশের ওয়ালের নাট-বল্টু খুলে প্রত্যেক কার্টনের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মালামাল সরিয়ে আগের মতো প্যাকিং করে রেখে দিত। এতে ফ্যাক্টরি মালিক ও বন্দর কর্তৃপক্ষ কারো সন্দেহ হতো না। কার্টনের মালামালের ওয়েট ঠিক রাখতে ঝুট কার্টনের ভেতরে রেখে প্যাকিং করতো। ফলে বন্দরে স্ক্যানিং কিংবা ওয়েট মেশিনে কোন ধরনের অনিয়ম পরিলক্ষিত হতো না।
র্যাব জানায়, মালামাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে বন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া ফ্যাক্টরি মালিকের দায়িত্ব, তাই মালামাল চুরি যাওয়ার কারণে ফ্যাক্টরি মালিকদের আবারও মালামাল চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানোর সময় ও অর্থের প্রচুর ক্ষতি হয়। বিদেশি ক্রেতা সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে মালামাল ডেলিভারি না পাওয়ার কারণে মূল্য পরিশোধ করত না এবং পরবর্তীতে ক্রেতারা ক্রয়াদেশ দিত না। ফলে দিন দিন দেশের গার্মেন্টস সেক্টর প্রচুর লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছিল।
নিউজ লাইট ৭১