সব মুক্তিযোদ্ধাদের আওয়ামী লীগ করতে হবে; নয়তো স্বতন্ত্র থাকতে হবে
- আপডেট টাইম : ০৯:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯
- / 95
নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: ফটিকছড়িতে কোনো মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি-জামায়াত করতে পারবে না উল্লেখ করে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী এমপি বলেছেন, সব মুক্তিযোদ্ধাদের আওয়ামী লীগ করতে হবে; নয়তো স্বতন্ত্র থাকতে হবে। অন্যথায় আগামীতে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাসহ সব রকম সুযোগ-সুবিধা বন্ধের ব্যবস্থা করা হবে।
১৪ দলীয় জোটের এ নেতা বলেন, ‘বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করছে এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন-সুযোগ সুবিধা প্রদান করে সম্মানিত করছে। আর খালেদা জিয়া সরকার একদিকে নিজামী-মুজাহিদ গংদের প্রতিষ্ঠিত করেছে, অন্যদিকে দেশের সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা নানাভাবে অসম্মানিত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তবুও কিছু আদর্শহীন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দানকারী বিএনপি-জামায়াতকে সমর্থন করে; যা অত্যন্ত দুঃখ ও লজ্জাজনক।’
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় টাকার বিনিময়ে যারা রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে তাদেরও শাস্তি দাবি করেন নজিবুল বশর এমপি। এছাড়া সরকারের চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানাকেও স্বাগত জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদুল আরেফীনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব, ভাইস চেয়ারম্যান ছালামত উল্লাহ চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী, ফটিকছড়ি থানার ওসি বাবুল আকতার, ভূজপুর থানার ওসি শেখ আব্দুল্লাহ ও ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র ইসমাঈল হোসেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলার ২৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে সম্মাননা তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
এর আগে সোমবার সূর্যোদয়ের পর উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা-সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সকাল ৯টা থেকে উপজেলা প্রশাসনের ব্যাপক আয়োজনে ফটিকছড়ি সরকারি করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ, নানা ধরণের ডিসপ্লে প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।