ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

। মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম পর্ব

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১২:০১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 97

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: মন্থর উইকেটে বল আস্তে আসছে, হুট করেই নিচু হয়ে যাচ্ছে, স্পিনারদের জন্য আছে লোভনীয় টার্ন। এতদিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটের চরিত্র ছিল এমনই। কিন্তু এবারের বিপিএলে ভিন্ন চিত্র। মিরপুরের বাইশ গজে এবার বাউন্স চমৎকার, বল ব্যাটে আসে দারুণভাবে। স্ট্রোক খেলা হচ্ছে সহজ। তাই সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে জয়ের পরও ঢাকা পস্নাটুনের কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলছেন, উইকেট এমন হবে জানলে দলটা অন্যভাবে সাজাতেন তিনি। অর্থাৎ মিরপুরের উইকেট উল্টো ধোঁকা দিয়েছে ঢাকার কোচকে।

বিপিএলে রোববার ও সোমবার বিরতি। মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম পর্ব। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম দিন লড়বে খুলনা-রাজশাহী (দুপুর), চট্টগ্রাম-সিলেট (সন্ধ্যা)। বন্দরনগরীতে বিপিএলের ম্যাচ চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর আবার ঢাকায় ফিরবে টি২০ আসরটি। সিলেটেও আছে বিপিএলের ম্যাচ।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ঢাকায় প্রথম পর্বের খেলা শেষ হয়েছে শনিবার। শুরুর ধাপে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ হয়েছে আটটি। পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে আছে রাজশাহী রয়্যালস। আন্দ্রে রাসেলের দল দুই ম্যাচের দুটিতেই পেয়েছে জয়। তাদের পয়েন্ট চার। সমান চার পয়েন্ট মাশরাফির ঢাকা পস্নাটুন ও মাহমুদউলস্নাহর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। তবে তারা খেলেছে তিনটি করে ম্যাচ। এখনো জয়ের স্বাদ পায়নি সিলেট থান্ডার (৩ ম্যাচ) ও রংপুর রেঞ্জার্স (২ ম্যাচ)। আসরের অপর দুই দল খুলনা টাইগার্স ও কুমিলস্না ওয়ারিয়র্স জিতেছে একটি করে ম্যাচ।

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ব্যাটিংয়ে সবার উপরে ইমরুল কায়েস। চট্টগ্রামের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান তিন ম্যাচে এক ফিফটিতে করেছেন ১১৭ রান। একই দলের জিম্বাবুইয়ান ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটনের রানও ১১৭। তৃতীয় স্থানে আছেন সিলেট থান্ডারের মোহাম্মদ মিঠুন (১১২ রান)।

বোলিংয়ে ঢাকা পস্নাটুনের শ্রীলংকান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৫ উইকেট। খেলেছেন তিনটি ম্যাচ। দুই ম্যাচ খেলে ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন অলক কাপালি (রাজশাহী), সৌম্য সরকার (কুমিলস্না) ও লুইস গ্রেগরি (রংপুর)।

বিপিএলের প্রথম ধাপে মিরপুরে চার দিনে আট ম্যাচে খেলা হয়েছে আলাদা দুটি উইকেটে। এসব ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের দেখা গেছে স্বচ্ছন্দে খেলতে। রংপুর রেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডার একশোর নিচে একবার করে অলআউট হলেও তাতে উইকেটকে দোষ দেওয়ার উপায় নেই। কারণ ওসব ম্যাচে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের দেখা গেছে অনায়াসে শট খেলতে।

১৭০-১৮০ ছাড়িয়েছে একাধিক ইনিংস। বিশেষ করে দেখা মেলেনি অসমান বাউন্সের। উইকেট দেখে তাই খুশি ক্রিকেটাররা। ঢাকার কোচ সালাহউদ্দিন উইকেট দেখে জানান বিস্ময়, ‘আমি যদি জানতাম ঢাকার উইকেট এমন হবে, আমার দল আরেকরকম হতো। আসলে আমি খুব সারপ্রাইজড। প্রশংসার দাবি রাখে যে এমন উইকেট টি২০তে পাওয়া যাচ্ছে এবং খুব ভালো রান হচ্ছে। সত্যি কথা বললে, যদি উইকেট এমন হতো জানতাম, আমার কৌশল ভিন্ন হতো। অবশ্যই কিউরেটরদের বাহবা দিতে হবে। এখানে এত ভালো উইকেটে অনেক দিন আমরা খেলিনি।’

উইকেট সচরাচরের চেয়ে ভিন্ন হবে জানলে কেমন দল হতো তারও একটা ধারণা দিয়েছেন সালাহউদ্দিন। মন্থর উইকেটে খেলতে পটু দেশি ব্যাটসম্যানদের জায়গায় বিদেশি স্ট্রোক-মেকারদের দলে নিতেন ঘরোয়া ক্রিকেটের সফল এই কোচ, ‘হয়তো ধাক্কাটা লোকাল খেলোয়াড়দের ওপর দিয়েই যেত বেশি। কারণ এই উইকেটে রান করাটা একটু সহজ। যারা একটু বেশি স্ট্রোক খেলতে পারে, তাদের জন্য আদর্শ।’

তবে আসরজুড়ে এমন উইকেট থাকলে দেশি ব্যাটসম্যানদেরও সুবিধা দেখছেন সালাহউদ্দিন। তার মতে, ভালো উইকেটে খেলে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারবেন লিটন দাস-মোহাম্মদ মিঠুনরা, ‘আমাদের ছেলেরাও ভালো বোলিংয়ের বিপক্ষে রান করছে। এরকম উইকেটে খেললে আমাদের ছেলেদেরও শটের রেঞ্জ বাড়বে। আগে হতো কি, বিশ্বাস ছিল না যে মারলে যাবে তো (বাউন্ডারিতে)। লিটনকে আমার খুব সেন্সিবল মনে হয়েছে। যেমন উইকেটে যেমন খেলা দরকার, তেমন খেলছে। ইমরুল কায়েস ভালো ব্যাটিং করছে, মিঠুন প্রথম ম্যাচে ভালো করেছে। নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে এমন উইকেটে খেললে।’

Tag :

শেয়ার করুন

। মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম পর্ব

আপডেট টাইম : ১২:০১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: মন্থর উইকেটে বল আস্তে আসছে, হুট করেই নিচু হয়ে যাচ্ছে, স্পিনারদের জন্য আছে লোভনীয় টার্ন। এতদিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটের চরিত্র ছিল এমনই। কিন্তু এবারের বিপিএলে ভিন্ন চিত্র। মিরপুরের বাইশ গজে এবার বাউন্স চমৎকার, বল ব্যাটে আসে দারুণভাবে। স্ট্রোক খেলা হচ্ছে সহজ। তাই সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে জয়ের পরও ঢাকা পস্নাটুনের কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলছেন, উইকেট এমন হবে জানলে দলটা অন্যভাবে সাজাতেন তিনি। অর্থাৎ মিরপুরের উইকেট উল্টো ধোঁকা দিয়েছে ঢাকার কোচকে।

বিপিএলে রোববার ও সোমবার বিরতি। মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম পর্ব। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম দিন লড়বে খুলনা-রাজশাহী (দুপুর), চট্টগ্রাম-সিলেট (সন্ধ্যা)। বন্দরনগরীতে বিপিএলের ম্যাচ চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর আবার ঢাকায় ফিরবে টি২০ আসরটি। সিলেটেও আছে বিপিএলের ম্যাচ।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ঢাকায় প্রথম পর্বের খেলা শেষ হয়েছে শনিবার। শুরুর ধাপে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ হয়েছে আটটি। পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে আছে রাজশাহী রয়্যালস। আন্দ্রে রাসেলের দল দুই ম্যাচের দুটিতেই পেয়েছে জয়। তাদের পয়েন্ট চার। সমান চার পয়েন্ট মাশরাফির ঢাকা পস্নাটুন ও মাহমুদউলস্নাহর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। তবে তারা খেলেছে তিনটি করে ম্যাচ। এখনো জয়ের স্বাদ পায়নি সিলেট থান্ডার (৩ ম্যাচ) ও রংপুর রেঞ্জার্স (২ ম্যাচ)। আসরের অপর দুই দল খুলনা টাইগার্স ও কুমিলস্না ওয়ারিয়র্স জিতেছে একটি করে ম্যাচ।

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ব্যাটিংয়ে সবার উপরে ইমরুল কায়েস। চট্টগ্রামের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান তিন ম্যাচে এক ফিফটিতে করেছেন ১১৭ রান। একই দলের জিম্বাবুইয়ান ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটনের রানও ১১৭। তৃতীয় স্থানে আছেন সিলেট থান্ডারের মোহাম্মদ মিঠুন (১১২ রান)।

বোলিংয়ে ঢাকা পস্নাটুনের শ্রীলংকান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৫ উইকেট। খেলেছেন তিনটি ম্যাচ। দুই ম্যাচ খেলে ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন অলক কাপালি (রাজশাহী), সৌম্য সরকার (কুমিলস্না) ও লুইস গ্রেগরি (রংপুর)।

বিপিএলের প্রথম ধাপে মিরপুরে চার দিনে আট ম্যাচে খেলা হয়েছে আলাদা দুটি উইকেটে। এসব ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের দেখা গেছে স্বচ্ছন্দে খেলতে। রংপুর রেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডার একশোর নিচে একবার করে অলআউট হলেও তাতে উইকেটকে দোষ দেওয়ার উপায় নেই। কারণ ওসব ম্যাচে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের দেখা গেছে অনায়াসে শট খেলতে।

১৭০-১৮০ ছাড়িয়েছে একাধিক ইনিংস। বিশেষ করে দেখা মেলেনি অসমান বাউন্সের। উইকেট দেখে তাই খুশি ক্রিকেটাররা। ঢাকার কোচ সালাহউদ্দিন উইকেট দেখে জানান বিস্ময়, ‘আমি যদি জানতাম ঢাকার উইকেট এমন হবে, আমার দল আরেকরকম হতো। আসলে আমি খুব সারপ্রাইজড। প্রশংসার দাবি রাখে যে এমন উইকেট টি২০তে পাওয়া যাচ্ছে এবং খুব ভালো রান হচ্ছে। সত্যি কথা বললে, যদি উইকেট এমন হতো জানতাম, আমার কৌশল ভিন্ন হতো। অবশ্যই কিউরেটরদের বাহবা দিতে হবে। এখানে এত ভালো উইকেটে অনেক দিন আমরা খেলিনি।’

উইকেট সচরাচরের চেয়ে ভিন্ন হবে জানলে কেমন দল হতো তারও একটা ধারণা দিয়েছেন সালাহউদ্দিন। মন্থর উইকেটে খেলতে পটু দেশি ব্যাটসম্যানদের জায়গায় বিদেশি স্ট্রোক-মেকারদের দলে নিতেন ঘরোয়া ক্রিকেটের সফল এই কোচ, ‘হয়তো ধাক্কাটা লোকাল খেলোয়াড়দের ওপর দিয়েই যেত বেশি। কারণ এই উইকেটে রান করাটা একটু সহজ। যারা একটু বেশি স্ট্রোক খেলতে পারে, তাদের জন্য আদর্শ।’

তবে আসরজুড়ে এমন উইকেট থাকলে দেশি ব্যাটসম্যানদেরও সুবিধা দেখছেন সালাহউদ্দিন। তার মতে, ভালো উইকেটে খেলে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারবেন লিটন দাস-মোহাম্মদ মিঠুনরা, ‘আমাদের ছেলেরাও ভালো বোলিংয়ের বিপক্ষে রান করছে। এরকম উইকেটে খেললে আমাদের ছেলেদেরও শটের রেঞ্জ বাড়বে। আগে হতো কি, বিশ্বাস ছিল না যে মারলে যাবে তো (বাউন্ডারিতে)। লিটনকে আমার খুব সেন্সিবল মনে হয়েছে। যেমন উইকেটে যেমন খেলা দরকার, তেমন খেলছে। ইমরুল কায়েস ভালো ব্যাটিং করছে, মিঠুন প্রথম ম্যাচে ভালো করেছে। নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে এমন উইকেটে খেললে।’