বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক এখন বিয়ে কথা বললে সে রাজি হচ্ছে না
- আপডেট টাইম : ১০:৫১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯
- / 133
নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: বিয়ের দাবিতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় সাগর (৩৫) নামের এক যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী (২৫)।
অন্যদিকে সাগর তার নববধূকে নিয়ে বর্তমানে শশুরবাড়িতে রয়েছেন। সাগর জারুলিয়া গ্রামের আবদুর নুর মিয়ার ছেলে এবং অনশনকারী প্রেমিকার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর থানায়।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে থেকে উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের জারুলিয়া গ্রামে এসে ওই তরুণী অনশন করছেন।
ওই তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে আমার সঙ্গে বহুবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এখন বিয়ের কথা বললে সে রাজি হচ্ছে না। আমাকে বিয়ে না করে অন্য এক তরুণীকে বিয়ে করেছে বলে শুনেছি। তাই বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি। সাগর আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার আর কোনাে উপায় থাকবে না।
এর আগে অনশনকারী তরুণী গত শুক্রবার চুনারুঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণীর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সাগরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে তারা মুঠোফোনে যোগাযোগ চালিয়ে যান। এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্কটি প্রেমে রূপ নেয়।
প্রেমিকাকে সাগর জানান, চুনারুঘাট বাজারে তার রকমারি নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি মাঝেমধ্যে ওই তরুণীকে চুনারঘাটে আসতে বলতেন।
তারই জেরে গত ১৫ অক্টোবর ওই তরুণী চুনারুঘাট আসেন। সেখানে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাগর তার প্রেমিকাকে একটি বাড়িতে নিয়ে একসঙ্গে ঘুমান।
ব্যবসায়িক ব্যস্ততার অজুহাতে পরে তাকে কোর্টে নিয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন সাগর।
গত কয়েকদিন আগে সাগর ওই তরুণীকে বিয়ে করতে পারবেন না জানিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
খোঁজ নিয়ে তরুণী জানতে পারেন, সাগর অন্য এক নারীকে বিয়ে করেছেন।
সাগরের বিয়ের খবর শুনে ভুক্তভোগী তরুণী প্রথমে সাগরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রকমারি দোকানে আসেন। সেখানে সাগরকে না পেয়ে শনিবার বিকেলে তার গ্রামের বাড়ি জারুলিয়ায় এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন।
ভুক্তভোগী প্রেমিকা বলেন, গত তিন মাস ধরে সাগরের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এখন সাগর আমাকে বিয়ে না করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছে। আমার দাবি, সাগরসহ তার পরিবারের লোকজনকে এ বিষয়টির সুরাহা করে দিতে হবে। তা না করা পর্যন্ত আমার অনশন চলবে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘উভয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য মিনারা বেগমের জিম্মায় ওই তরুণীকে রাখা হয়েছে। বিষয়টির সমাধানের লক্ষে সোমবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসবেন বলে জানান তিনি।