দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুট আবার স্বরুপে ধরা দিয়েছে
- আপডেট টাইম : ০৫:৫৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
- / 21
দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুট আবার স্বরুপে ধরা দিয়েছে। পদ্মা সেতু চালুরপর এই নৌরুটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ ছিল না। কিন্তু প্রিয় জনের সাথে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভীড় বেড়েছে। কর্মমুখী মানুষ ফিরতে শুরু করেছে কর্মস্থলে। প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে দক্ষিণাঞ্চলের কর্মমুখী মানুষের পদচারনায় মুখরিত দৌলতদিয়া ঘাট। এতে করে ভীর বাড়ছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। গণপরিবহনের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তিগত ছোট গাড়ী মোটর সাইকেল, মাহিন্দ্র ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সায় পায়ে হেটে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে ঢাকামুখি মানুষ।
শুক্রবার দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, সময় বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ঢাকামুখি যানবাহনের চাপ। পাশাপাশি যাত্রীদের চাপও বাড়ছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে। এদিকে বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় আটক পড়ে শতাধিক যাত্রীবাহী যানবাহন। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকার পরও সীমিত সংখ্যক ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করায় যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো নদী পারের অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘণ্টা দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়ে থাকতে হচ্ছে।
বেলা এগারোটা দিকে দৌলতদিয়া প্রান্তের ফেরি ঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। এছাড়াও ফেরিতে যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি অধিক সংখ্যক মোটর সাইকেল পারাপার হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকলে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই কর্মস্থলে ফিরতে পারতেন। এদিকে যানবাহনের চাপ কম থাকার দোহাই দিয়ে পর্যাপ্ত ফেরি থাকা সত্যেও মাত্র ১২টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হলেও পরবর্তীতে ফেরি বৃদ্ধি করে ১৭ টি করা হয়।
একাধিক যাত্রী জানান, পরিবারের সাথে ঈদ করে কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরছেন। গণপরিবহনসহ ছোট গাড়ীতে কর্মস্থলে যাবার উদ্দেশ্যে ঘাটে এসে পৌঁছেছে। এছাড়া দৌলতদিয়া ঘাটে ভোগান্তি কম, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার এ ঘাট দিয়ে পারাপারে আর কোন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না তাদের। তাছাড়া আগের মত ৭/৮ ঘণ্টা সিরিয়ালে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। তবে আজকে অনেক যাত্রী হওয়ার কারণে দৌলতদিয়া নৌরুট আবের স্বরুপে ফিরে এসেছে। যাত্রীর চাপ বেড়েছে।
বাস চালকরা জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে আগের মত আর ভোগান্তি না থাকলেও টিসি কর্তৃপক্ষে গাফিলতিতে ভোগান্তি রয়েই গেছে। ফেরির সংখ্যা কম থাকায় এখন দেড় থেকে দুই ঘন্টা ঘাটে বসে থাকতে হচ্ছে।
দৌলতদিয়ার বিআইডব্লিউটিসির ঘাট ব্যবস্থাপক সৃথাপক শিহাবউদ্দিন জানান, সকাল থেকে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ১৭টি ফেরি যানবাহন পারাপার করেছে। তবে ঘাটে ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রী ও যানবাহন পার হচ্ছে।
নিউজ লাইট ৭১