ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি খেলে মারাত্মক ক্ষতি হয়

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১০:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 117

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট : জন্মনিয়ন্ত্রণ ছাড়াও অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ‘সিস্ট’জনীত ব্রণ, ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম’, ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা কমানো ইত্যাদির সারাতে চিকিৎসকরা জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

তবে গবেষণা বলছে এই ধরনের ওষুধ নারীর মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যের আলোকে এই বিষয়ে জানানো হল বিস্তারিত।

জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ কাজ করে হরমোনের মাধ্যমে। তাই এগুলো সেবনের কারণে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

যার ফলাফল হতে পারে অনিয়মিত ও বিলম্বিত ঋতুস্রাব। অনেকেই আবার এই ওষুধগুলো সেবনের পর বমিভাব অনুভব করেন, এমনকি বমি হতেও পারে।

এছাড়াও স্তনের স্পর্শকাতরতা বাড়তে পারে, ব্যথা হতে পারে, শরীরের ওজন বাড়তে পারে, দেখা দিতে পারে ‘মুড সুইং’।

মস্তিষ্কের উপরেও জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ির প্রভাব রয়েছে। ২০১৯ সালে ‘রেডিওলজি সোসাইটি অফ নর্থ আমেরিকা’য় ১০৫তম বার্ষিক সম্মেলনে এবিষয়ক এক গবেষণা উপস্থাপন হয়।

এতে মোট ৫০জন নারীর মস্তিষ্ক ‘স্ক্যান’ করেন গবেষকরা। যাদের মধ্যে ২১জন নিয়মিত জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবন করছিলেন।

যারা জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবন করেছেন তাদের মস্তিষ্কের আশঙ্কাজনক পরিবর্তন লক্ষ করেন গবেষকরা।

গবেষকরা দেখেন, যারা ওষুধ সেবন করছিলেন তাদের মস্তিষ্কের ‘হাইথ্যালামাস’য়ের ঘনত্ব আর যারা ওষুধ সেবন করছিলেন না তাদের ‘হাইপোথ্যালামাস’য়ের ঘনত্বে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে।

‘হাইপোথ্যালামাস’ হল যৌনক্ষমতা, ঘুম চক্র, মেজাজ নিয়ন্ত্রণ, খাওয়ার রুচি ইত্যাদি নিয়্ন্ত্রণের কেন্দ্রবিন্দু।

Tag :

শেয়ার করুন

জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি খেলে মারাত্মক ক্ষতি হয়

আপডেট টাইম : ১০:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট : জন্মনিয়ন্ত্রণ ছাড়াও অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ‘সিস্ট’জনীত ব্রণ, ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম’, ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা কমানো ইত্যাদির সারাতে চিকিৎসকরা জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

তবে গবেষণা বলছে এই ধরনের ওষুধ নারীর মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যের আলোকে এই বিষয়ে জানানো হল বিস্তারিত।

জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ কাজ করে হরমোনের মাধ্যমে। তাই এগুলো সেবনের কারণে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

যার ফলাফল হতে পারে অনিয়মিত ও বিলম্বিত ঋতুস্রাব। অনেকেই আবার এই ওষুধগুলো সেবনের পর বমিভাব অনুভব করেন, এমনকি বমি হতেও পারে।

এছাড়াও স্তনের স্পর্শকাতরতা বাড়তে পারে, ব্যথা হতে পারে, শরীরের ওজন বাড়তে পারে, দেখা দিতে পারে ‘মুড সুইং’।

মস্তিষ্কের উপরেও জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ির প্রভাব রয়েছে। ২০১৯ সালে ‘রেডিওলজি সোসাইটি অফ নর্থ আমেরিকা’য় ১০৫তম বার্ষিক সম্মেলনে এবিষয়ক এক গবেষণা উপস্থাপন হয়।

এতে মোট ৫০জন নারীর মস্তিষ্ক ‘স্ক্যান’ করেন গবেষকরা। যাদের মধ্যে ২১জন নিয়মিত জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবন করছিলেন।

যারা জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবন করেছেন তাদের মস্তিষ্কের আশঙ্কাজনক পরিবর্তন লক্ষ করেন গবেষকরা।

গবেষকরা দেখেন, যারা ওষুধ সেবন করছিলেন তাদের মস্তিষ্কের ‘হাইথ্যালামাস’য়ের ঘনত্ব আর যারা ওষুধ সেবন করছিলেন না তাদের ‘হাইপোথ্যালামাস’য়ের ঘনত্বে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে।

‘হাইপোথ্যালামাস’ হল যৌনক্ষমতা, ঘুম চক্র, মেজাজ নিয়ন্ত্রণ, খাওয়ার রুচি ইত্যাদি নিয়্ন্ত্রণের কেন্দ্রবিন্দু।