শারীরিক ঘনিষ্ঠের দ্বন্দেই খুন হয় রাকিব
- আপডেট টাইম : ০৩:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২
- / 29
বগুড়ায় টাকার বিনিময়ে এক নারীর সাথে তিন বন্ধুর শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়া নিয়ে দ্বন্দের জেরে খুন হয় কিশোর রাকিব হাসান (১৫)। এই ঘটনায় নিহতের বন্ধুসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই বগুড়া।
শনিবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যা ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সজীব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হিয়াতপুর গ্রামের এক কিশোর (১৫) ও একই এলাকার আহসান হাবীব সজীব (২০)।
রোববার সকাল ১১টায় পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এসপি জানান, বগুড়ার সোনাতলার লাহিড়ীপাড়া গ্রামে গত শুক্রবার সকাল ১১টায় অজ্ঞাত এক কিশোরের লাশ পাওয়া যায়। পরে জানা যায় সেই কিশোরের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হিয়াতপুর গ্রামে। এই ঘটনায় নিহতের ভাই বেলাল হোসেন সোনাতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
নিহত রাকিব ও গ্রেপ্তারকৃত দুইজনের বাড়ি একই এলাকায়। এইজন্য তাদের মধ্যে ঘনিষ্ট বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। গত মাসের ৩১তারিখ গ্রেপ্তাকৃত সজীব রাকিবকে জানায়, এক মেয়েকে টাকার বিনিময়ে শারিরীকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য সোনাতলার চমরগাছা লাহিড়ীপাড়া এলাকার পতিত জমিতে নিয়ে আসা হবে। কথা অনুযায়ী ওইদিন রাত সাড়ে ৮টায় সজীব নিহত রাকিব গ্রেপ্তারকৃত অপর কিশোরকে নিয়ে সোনাতলা এলাকায় যায়।
সেখানে পৌঁছে গ্রেপ্তার সজীব ও নিহত রাকিবের মধ্যে সবার আগেকে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হবে এই নিয়ে তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে সজীব গ্রেপ্তারকৃত ওই কিশোরের কাছে থাকা একটি লাঠি দিয়ে রাকিবের মাথায় আঘাত করে। আঘাত পেয়ে রাকিব মাটিতে লুটিয়ে পড়লে এলোপাতাড়ি ভাবে তার মাথায় আরও কয়েকবার আঘাত করে। এর কিছুক্ষণ পর সজীব রাকিবকে ডাক দিলে সে সাড়া দেয় না। একপর্যায়ে তিনি রাকিবের গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে লাশটি টেনে হেঁচড়ে একটি ডোবায় ফেলে ও কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
এসপি আরও জানান, কিশোর রাকিবের লাশ উদ্ধারের পর থেকে তদন্তে নামে পিবিআই। পরে স্থানীয়ভাবে নানারকম তথ্য-উপাত্ত ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়।
নিউজ লাইট ৭১