ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলের জালে ১২ কেজির বোয়াল

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২
  • / 32

চলনবিল অধ্যাসিতু সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ১২ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ।

শুক্রবার ভোরের দিকে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া এলাকায় মাছটি আটকা পড়ে। বোয়ালটি স্থানীয় মান্নাননগর বাজারে নিলে নিলামে ১ হাজার টাকা কেজি দরে ১২ হাজার টাকায় স্থানীয়রা কিনে নেন।

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য ইব্রাহীম হোসেনের বাবা আলহাজ্ব মজিবর রহমান (মজু হাজী)সহ কয়েকজন চলনবিলের গোমানী নদীতে জাল ফেলে বসে ছিলেন। জাল তুলতেই সবাই দেখতে পান, বড় একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে। আর এসব বড় বড় বোয়াল মাছকে পীরের মাছ বলা হয়।

তিনি আরো বলেন, সাধারণত এই সময়ে অনেক বৃষ্টিপাত হয়। তাই বড় বড় বোয়ালা মাছ ডিম ছাড়ার জন্য নদীর পানিতে লাফালাফি করে। আর পানির সাথে জমির মধ্যে উঠে আসে, ঠিক সেই সময়ে জেলেরা বিভিন্ন ফাদ দিয়ে মাছগুলো শিকার করেন।

হামকুড়িয়া গ্রামের আলহাজ্ব মজিবর রহমান (মজু হাজী) জানান, বিলের পানিতে শখের বসে মাছ ধরতে যাই। পরে ১২ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ শিকার করেছি। আমাদের অঞ্চলের মানুষ প্রতি বছরই এই সময়গুলো বড় বড় মাছ শিকারের জন্য খালের মধ্যে জালসহ নানান মাছ ধরার উপকরণ নিয়ে যায়।

এ দিকে প্রায় ১২ কেজি ওজনের বোয়াল মাছ দেখতে উৎসুক অনেকেই ভিড় করেন। পরে নিলামে ডাক তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১ হাজার কেজি দরে ১২ হাজার টাকায় বোয়ালটি স্থানীয়রা ক্রয় করেন।

তাড়াশ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ বলেন, এখন একটা মাছ ১৫ হাজার থেকে ২০হাজার ডিম ছাড়বে। কিন্ত লোভ সামলাতে না পেরে মানুষ রাতে আধারে মাছ শিকার করছে। জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। প্রতিদিন অভিযান চলছে ডিমওয়ালা মাছ শিকারী বিরুদ্ধে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

জেলের জালে ১২ কেজির বোয়াল

আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২

চলনবিল অধ্যাসিতু সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ১২ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ।

শুক্রবার ভোরের দিকে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া এলাকায় মাছটি আটকা পড়ে। বোয়ালটি স্থানীয় মান্নাননগর বাজারে নিলে নিলামে ১ হাজার টাকা কেজি দরে ১২ হাজার টাকায় স্থানীয়রা কিনে নেন।

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য ইব্রাহীম হোসেনের বাবা আলহাজ্ব মজিবর রহমান (মজু হাজী)সহ কয়েকজন চলনবিলের গোমানী নদীতে জাল ফেলে বসে ছিলেন। জাল তুলতেই সবাই দেখতে পান, বড় একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে। আর এসব বড় বড় বোয়াল মাছকে পীরের মাছ বলা হয়।

তিনি আরো বলেন, সাধারণত এই সময়ে অনেক বৃষ্টিপাত হয়। তাই বড় বড় বোয়ালা মাছ ডিম ছাড়ার জন্য নদীর পানিতে লাফালাফি করে। আর পানির সাথে জমির মধ্যে উঠে আসে, ঠিক সেই সময়ে জেলেরা বিভিন্ন ফাদ দিয়ে মাছগুলো শিকার করেন।

হামকুড়িয়া গ্রামের আলহাজ্ব মজিবর রহমান (মজু হাজী) জানান, বিলের পানিতে শখের বসে মাছ ধরতে যাই। পরে ১২ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ শিকার করেছি। আমাদের অঞ্চলের মানুষ প্রতি বছরই এই সময়গুলো বড় বড় মাছ শিকারের জন্য খালের মধ্যে জালসহ নানান মাছ ধরার উপকরণ নিয়ে যায়।

এ দিকে প্রায় ১২ কেজি ওজনের বোয়াল মাছ দেখতে উৎসুক অনেকেই ভিড় করেন। পরে নিলামে ডাক তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১ হাজার কেজি দরে ১২ হাজার টাকায় বোয়ালটি স্থানীয়রা ক্রয় করেন।

তাড়াশ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ বলেন, এখন একটা মাছ ১৫ হাজার থেকে ২০হাজার ডিম ছাড়বে। কিন্ত লোভ সামলাতে না পেরে মানুষ রাতে আধারে মাছ শিকার করছে। জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। প্রতিদিন অভিযান চলছে ডিমওয়ালা মাছ শিকারী বিরুদ্ধে।

নিউজ লাইট ৭১