ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিকা গেলো ডাস্টবিনে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 34

টিকার ডোজ জমা করে রাখা সিরিঞ্জ (ছবি : সংগৃহীত)

ভায়াল (বোতল) থেকে করোনা টিকার ডোজ সিরিঞ্জে জমা রেখে শিক্ষার্থীদের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান অভিভাবকরা। এরপর সিরিঞ্জে জমা রাখা শতাধিক টিকার ডোজ বাতিল করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০-২৫ ডোজ টিকা নষ্ট হয়েছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, যখন পুশ করা হয় ঠিক তখনই ভায়াল থেকে সিরিঞ্জে দিয়ে টিকার ডোজ নেওয়ার কথা। কিন্তু বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দায়িত্বে থাকা নার্সরা একসঙ্গে শতাধিক সিরিঞ্জে ডোজ ভরে জমা রেখে তারপর টিকা পুশ করছিলেন। সোমবার বিষয়টি দেখে কয়েকজন অভিভাবক প্রতিবাদ জানান। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিরিঞ্জে ভরা টিকাগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেন।

টিকা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স ফেরদৌসি আক্তার বলেন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা না থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ কার্যক্রমে যারা যুক্ত আছেন তারা শুরু থেকেই ভায়াল থেকে টিকা সিরিঞ্জে ভরে জমা রেখে একের পর এক পুশ করেন বিধায় আমরাও একই নিয়ম পালন করেছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ভায়াল থেকে সিরিঞ্জে টিকার ওষুধ বের করে সঙ্গে সঙ্গে পুশ করার নিয়ম। ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় নার্সরা সিরিঞ্জগুলো ভরে রেখেছিল বলে শুনেছি। এর পরও দায়িত্বরতদের শোকজ করা হয়েছে। তাদের লিখিত বক্তব্য পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কতগুলো টিকার ডোজ নস্ট হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ ডোজের বেশি নয়।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. কবির হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। কিছুক্ষণ আগে জেনেছি, কেন এমন হলো এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

টিকা গেলো ডাস্টবিনে

আপডেট টাইম : ০৪:০৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ভায়াল (বোতল) থেকে করোনা টিকার ডোজ সিরিঞ্জে জমা রেখে শিক্ষার্থীদের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান অভিভাবকরা। এরপর সিরিঞ্জে জমা রাখা শতাধিক টিকার ডোজ বাতিল করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০-২৫ ডোজ টিকা নষ্ট হয়েছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, যখন পুশ করা হয় ঠিক তখনই ভায়াল থেকে সিরিঞ্জে দিয়ে টিকার ডোজ নেওয়ার কথা। কিন্তু বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দায়িত্বে থাকা নার্সরা একসঙ্গে শতাধিক সিরিঞ্জে ডোজ ভরে জমা রেখে তারপর টিকা পুশ করছিলেন। সোমবার বিষয়টি দেখে কয়েকজন অভিভাবক প্রতিবাদ জানান। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিরিঞ্জে ভরা টিকাগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেন।

টিকা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স ফেরদৌসি আক্তার বলেন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা না থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ কার্যক্রমে যারা যুক্ত আছেন তারা শুরু থেকেই ভায়াল থেকে টিকা সিরিঞ্জে ভরে জমা রেখে একের পর এক পুশ করেন বিধায় আমরাও একই নিয়ম পালন করেছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ভায়াল থেকে সিরিঞ্জে টিকার ওষুধ বের করে সঙ্গে সঙ্গে পুশ করার নিয়ম। ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় নার্সরা সিরিঞ্জগুলো ভরে রেখেছিল বলে শুনেছি। এর পরও দায়িত্বরতদের শোকজ করা হয়েছে। তাদের লিখিত বক্তব্য পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কতগুলো টিকার ডোজ নস্ট হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ ডোজের বেশি নয়।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. কবির হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। কিছুক্ষণ আগে জেনেছি, কেন এমন হলো এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজ লাইট ৭১