ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 39

মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে গোমস্তাপুর উপজেলার আমের বাগানগুলো। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে এ যেন বাগান মালিকদের সোনায় সহাগা। অন্যান্য প্রতিটি গাছে আসতে শুরু করেছে মুকুলের মোহ। এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হবে বলে কৃষি বিভাগ ধারণা করছেন।

অন্যদিকে বাগান মালিকরা এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন। এবার উপজেলায় ৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমির বিপরীতে ৩৮ হাজার ৪৭৫ মেট্রিকট্রন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ, ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা বাতাস। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মন ও প্রাণকে বিমোহিতসহ মুকুলের আশেপাশে মৌমাছির আনাগোনা। অনেকেই মুকুল রক্ষা করতে বাগান মালিকরা পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে গাছে গাছে ওষুধ স্প্রে করতে দেখা যাচ্ছে। অনেক আমবাগান মালিক বলছেন এ বছর আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর উপজেলায় ৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে আমগাছ রয়েছে। এর মধ্যে ফজলি ৯৮৫ হেক্টর, আশ্বিনা  ১ হাজার ২’শ ৩০ হেক্টর, ল্যাংড়া ৩৯৫ হেক্টর, খিরসাপাত ২৫৫ হেক্টর, গোপাল ভোগ ২’শ ২০ হেক্টর, আমরুপালি ২’শ ৯০ হেক্টর, মল্লিকা ০৫ হেক্টর, লক্ষণভোগ ১৯৫ হেক্টর, বোম্বাই ১৫ হেক্টর, উন্নত জাত ৩’শ ৭৫ হেক্টর ও গুটি ২৭৫ হেক্টর জমিতে আম গাছ রয়েছে।

আম বাগান মালিক সাইদুল ইসলাম ও মারুফ আহমেদ রাজিব বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া ভাল থাকায়, বাগানের গাছে গাছে মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। তার বাগানে গত কয়েক সপ্তাহ থেকে বেশির ভাগ গাছে মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। পোকা-মাকড় ও অন্যান্য রোগবালাই থেকে মুকুল রক্ষা করতে প্রাথমিক পর্যায়ে পরিচর্যা শুরু করা হয়েছে। বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ না হলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি ধারণা করছেন।

আম ব্যবসায়ী মাসুদ জানান, আম বাগানে মুকুল আসার পর থেকেই তিনি গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুলে রোগবালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন।

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন, এখন পর্যন্ত উপজেলার আম গাছগুলো মুকুল এসেছে শতকরা ১০% জমিতে। উপজেলা কৃষি বিভাগ ও উপসহকারী কৃষি সহকারী কর্মকর্তারা কৃষকদের মোট ৩টি স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রথমে মুকুল আসার আগে ও পরে এবং মুকুল মটর দানা বাধার সময় একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যাতে হপার পোকাসহ অন্যান্য রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমন না হয়। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে গোমস্তাপুর উপজেলায় আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৭৫ মেট্রিকট্রন।
তবে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ

আপডেট টাইম : ০৭:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে গোমস্তাপুর উপজেলার আমের বাগানগুলো। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে এ যেন বাগান মালিকদের সোনায় সহাগা। অন্যান্য প্রতিটি গাছে আসতে শুরু করেছে মুকুলের মোহ। এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হবে বলে কৃষি বিভাগ ধারণা করছেন।

অন্যদিকে বাগান মালিকরা এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন। এবার উপজেলায় ৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমির বিপরীতে ৩৮ হাজার ৪৭৫ মেট্রিকট্রন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ, ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা বাতাস। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মন ও প্রাণকে বিমোহিতসহ মুকুলের আশেপাশে মৌমাছির আনাগোনা। অনেকেই মুকুল রক্ষা করতে বাগান মালিকরা পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে গাছে গাছে ওষুধ স্প্রে করতে দেখা যাচ্ছে। অনেক আমবাগান মালিক বলছেন এ বছর আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর উপজেলায় ৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে আমগাছ রয়েছে। এর মধ্যে ফজলি ৯৮৫ হেক্টর, আশ্বিনা  ১ হাজার ২’শ ৩০ হেক্টর, ল্যাংড়া ৩৯৫ হেক্টর, খিরসাপাত ২৫৫ হেক্টর, গোপাল ভোগ ২’শ ২০ হেক্টর, আমরুপালি ২’শ ৯০ হেক্টর, মল্লিকা ০৫ হেক্টর, লক্ষণভোগ ১৯৫ হেক্টর, বোম্বাই ১৫ হেক্টর, উন্নত জাত ৩’শ ৭৫ হেক্টর ও গুটি ২৭৫ হেক্টর জমিতে আম গাছ রয়েছে।

আম বাগান মালিক সাইদুল ইসলাম ও মারুফ আহমেদ রাজিব বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া ভাল থাকায়, বাগানের গাছে গাছে মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। তার বাগানে গত কয়েক সপ্তাহ থেকে বেশির ভাগ গাছে মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। পোকা-মাকড় ও অন্যান্য রোগবালাই থেকে মুকুল রক্ষা করতে প্রাথমিক পর্যায়ে পরিচর্যা শুরু করা হয়েছে। বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ না হলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি ধারণা করছেন।

আম ব্যবসায়ী মাসুদ জানান, আম বাগানে মুকুল আসার পর থেকেই তিনি গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুলে রোগবালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন।

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন, এখন পর্যন্ত উপজেলার আম গাছগুলো মুকুল এসেছে শতকরা ১০% জমিতে। উপজেলা কৃষি বিভাগ ও উপসহকারী কৃষি সহকারী কর্মকর্তারা কৃষকদের মোট ৩টি স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রথমে মুকুল আসার আগে ও পরে এবং মুকুল মটর দানা বাধার সময় একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যাতে হপার পোকাসহ অন্যান্য রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমন না হয়। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে গোমস্তাপুর উপজেলায় আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৭৫ মেট্রিকট্রন।
তবে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান।

নিউজ লাইট ৭১