‘কোভিড-১৯ সারা বিশ্বে যখন ছড়িয়ে পড়ছে, এটি যাতে শিশুদের পড়াশোনাকে ব্যাহত করতে না পারে, সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে আমরা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই।’ বলেন হেনরিয়েটা।
সুপারিশগুলো হলো-
১. স্কুলগুলো পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে বর্তমানে প্রায় ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত। এজন্য স্কুল খোলা রাখার সুপারিশ করে সংস্থাটি।
কোভিড-১৯ ঝুঁকি প্রশমনের ব্যবস্থাগুলোই স্কুলগুলোকে খোলা রাখতে সাহায্য করে- বলছে ইউনিসেফ। সুপারিশে বলা হয়, ডিজিটাল সংযুক্তির পেছনে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে পারলেই কোনো শিশু পেছনে পড়ে থাকবে না। প্রতিটি শিশুকে স্কুলে ফিরিয়ে আনতে আমাদের জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি কমিউনিটির প্রান্তিক শিশুদের ওপর বিশেষ লক্ষ্য রেখে কিছু বিষয়ে বিস্তৃত সহায়তা করা। যেমন- শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ঘাটতি পূরণে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়া, মানসিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সহায়তা, সুরক্ষা এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদান।
শিক্ষক ও স্কুলকর্মীদের অবিলম্বে টিকা দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সুপারিশে। প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মী এবং উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়ার পরই শিক্ষক এবং স্কুল কর্মীদের অগ্রাধিকার দেয়া উচিত বলে মনে করে ইউনিসেফ।
এ সংক্রান্ত সুপারিশে সশরীরে স্কুলে যাওয়ার জন্য টিকাদানকে পূর্বশর্ত না করার আহ্বান জানিয়েছে শিশুর অধিকার ও উন্নয়নে কাজ করা বিশ্ব সংস্থাটি। সুপারিশে নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেছেন, অগ্রাধিকারপ্রাপ্য জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি সুরক্ষিত করার পর এবং টিকার যথেষ্ট প্রাপ্তি নিশ্চিত হলে ইউনিসেফ শিশুদের টিকাদানকে সমর্থন করে।
সশরীরে স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে করোনা টিকার শর্ত আরোপ করলে তা শিশুদের শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ না পাওয়া এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে বলে মনে করে ইউনিসেফ। টিকা ছাড়াই স্কুলগুলো খোলা রাখার সুপারিশ করে ইউনিসেফ বলছে , করোনা নিয়ন্ত্রণ কৌশল যাতে পড়াশোনা ও সামাজিক জীবনের অন্য দিকগুলোতে শিশুদের অংশগ্রহণকে সহজতর করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
নিউজ লাইট ৭১