গোলাপি চায়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা
- আপডেট টাইম : ০২:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
- / 25
চা খেতে কমবেশি সবাই-ই পছন্দ করেন। সাধারণত চা বিভিন্ন ফ্লেভার ও রঙের হয়ে থাকে। হোয়াইট টি থেকে শুরু করে গ্রিন টি সবগুলোরই রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা। তবে কখনো কি গোলাপি চা খেয়েছেন? অনেকে ভাবছেন, গোলাপি রঙের আবার চা হয় নাকি! বর্তমানে হিমালয়ের উপত্যকা ছাড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক রান্নাঘরেই পৌঁছে গেছে এই গোলাপি চা।
কাশ্মীরের জনগণের মতে, গোলাপি চা-পানের উপকারিতাও আছে। এর মূল উপকরণগুলো হলো গ্রিন টি, লবণ ও বেকিং সোডা। এই চায়ে লবণ থাকায় পান করলে ডিহাইড্রেশন কম হয়। এ কারণে পাহাড়ি এলাকায় এর ব্যবহার বেড়েছে।
গোলাপি চায়ে লবণ ও বেকিং সোডা ছাড়াও ফ্লেভারের জন্য মেশানো হয় স্টার অ্যানিস। অনেকে আবার মেশান আধা ভাঙা বাদাম। গোলাপি চায়ের স্বাদ ও তৈরির পদ্ধতিও আলাদা।
যেভাবে তৈরি করবেন-
এজন্য প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণমতো পানিতে গ্রিন টি ও এক চিমটি বেকিং সোডা দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে ফুটিয়ে নিন। বেকিং সোডার কারণেই চায়ের রঙ গোলাপিতে পরিণত হয়। তবে এজন্য অপেক্ষা করতে হয়।
গ্রিন টিতে বেকিং সোডা মেশানোর ফলে পানি ফুটে উঠলে এর রঙ প্রথমে গাঢ় বাদামি হয়। এরপর চায়ে গাঢ় মেরুন রং আসতে থাকে। চায়ের রঙ বদল হতেই তা পরিবেশন করা হয় না।
এরপর এই চা এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে বার বার উঁচু-নিচু করে ঢালা হয়। বারবার একই পদ্ধতিতে চা ঢালার কারণে তাতে বাতাস ঢুকে বেশ ফেনা হয়। অনেকটা কফি মেশিনে তৈরি কফির মতো।
লন্ডনের এক চা-বিক্রেতার দাবি, পানীয় তৈরির পর তা উঁচু-নিচু করে ৪ ঘণ্টা ধরে এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে বার বার ঢালা না হলে এর আসল স্বাদই পাওয়া যাবে না!
গোলাপি চা তৈরি করতে হলে দক্ষ হাতের প্রয়োজন। এর পেছনেও আছে বৈজ্ঞানিক যুক্তি। হালকা অ্যাসিডিক এই চায়ে অম্লরোধে সাহায্য করে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট (বেকিং সোডা)।
একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাশ্মীরি চায়ে পলিফেনল অনেকটা ফেনোলসালফথালেইনের মতো কাজ করে। যেটি ফেনল রেড নামেও পরিচিত। চায়ের রঙ বদলে হালকা বেগুনি হওয়া মাত্রই ওই রঙ ধরে রাখতে পাত্রে বরফ বা ঠাণ্ডা পানি ঢালা হয়। এরপর তাতে দুধ মেশালেই তৈরি বিস্ময়কর গোলাপি চা।
নিউজ লাইট ৭১