ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ. লীগের সম্মেলন: আলোচনায় জয় ও পুতুল!

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:১২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 135

নিউজ লাইট ৭১ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলন সামনে রেখে দলে নেতৃত্ব পরিবর্তনের ইস্যুতে নানা আলোচনা হচ্ছে। সবার মুখে একটি কথা, দলে নতুন কে আসছেন, কে বাদ পড়ছেন? এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

গুঞ্জনে এও শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই সন্তান প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় ও অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামও। ২০-২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসার খবর শোনা যাচ্ছে।

তবে তারা নিজ থেকে এখনো এমন আগ্রহের কথা দলের কোনো মহলে বা সংবাদমাধ্যমে জানাননি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি।

গত ১৭ নভেম্বর রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এক নম্বর সদস্য হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বেশিরভাগই চান বঙ্গবন্ধুর এই দুই উত্তরসূরি দলের নেতৃত্বে আসুক। তারা বলছেন, জয় ও পুতুল দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হলে দলের নেতৃত্ব আরও সংগঠিত হবে। এর সুফলও ভোগ করবে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতা মনে করেন, বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজনীতি করতে হলে বিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি তথা কূটনৈতিক বিষয়ে স্পষ্ট ধারণাসম্পন্ন মানুষের নেতৃত্বে আসা জরুরি। এসব বিষয়ে জয় ও পুতুল দুজনেই যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন।

তবে জয় ও পুতুল একই সঙ্গে নেতৃত্বে না এলেও তাদের কোনো একজন আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি একান্তই পার্টির সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত। তবে তাদেরও ইচ্ছার ব্যাপার আছে। তারা রাজনীতিতে আসবেন কিনা সেটাও জানার ব্যাপার আছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা শেখ হাসিনা এবং খালা শেখ রেহানার সঙ্গে লন্ডনে থাকায় বেঁচে যান জয়। পরে মায়ের সঙ্গে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় মেলে তার। শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতেই। পড়াশোনা করেন ভারতের নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ ও তামিলনাড়ুর পালানি হিলেসর কোডাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। এরপর বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স, পদার্থ এবং গণিতে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি টেক্সাস ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আরেকটি ব্যাচেলর ডিগ্রি অব সায়েন্স অর্জন করেন। সব শেষে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর করেন।

২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন জয়ই। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর জয়কে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে অবৈতনিক উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়।

অপরদিকে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল মনস্তত্বে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়।

তিনি ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক ২০১৪ সালে ডব্লিউএইচও অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সৃষ্টিশীল নারী নেতৃত্বের একশজনের তালিকায়ও স্থান করে নিয়েছেন তিনি।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশে অটিজমবিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন। সেই সঙ্গে তার পরিচালিত ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। তার উদ্যোগেই ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজমের মতো অবহেলিত একটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী অংশ নেন।

তার অক্লান্ত চেষ্টায় বাংলাদেশে ‘নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজ্যাবিলিটি ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩’ পাস করা হয়। সেই সঙ্গে তার দেওয়া পরামর্শের ভিত্তিতেই জাতিসংঘ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যাবলীতে অটিজমের বিষয়টি তিনিই সংযুক্ত করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অটিজম বিষয়ে ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও কাজ করছেন তিনি। এছাড়া আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) একজন ট্রাস্টিও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

Tag :

শেয়ার করুন

আ. লীগের সম্মেলন: আলোচনায় জয় ও পুতুল!

আপডেট টাইম : ০২:১২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলন সামনে রেখে দলে নেতৃত্ব পরিবর্তনের ইস্যুতে নানা আলোচনা হচ্ছে। সবার মুখে একটি কথা, দলে নতুন কে আসছেন, কে বাদ পড়ছেন? এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

গুঞ্জনে এও শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই সন্তান প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় ও অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামও। ২০-২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসার খবর শোনা যাচ্ছে।

তবে তারা নিজ থেকে এখনো এমন আগ্রহের কথা দলের কোনো মহলে বা সংবাদমাধ্যমে জানাননি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি।

গত ১৭ নভেম্বর রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এক নম্বর সদস্য হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বেশিরভাগই চান বঙ্গবন্ধুর এই দুই উত্তরসূরি দলের নেতৃত্বে আসুক। তারা বলছেন, জয় ও পুতুল দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হলে দলের নেতৃত্ব আরও সংগঠিত হবে। এর সুফলও ভোগ করবে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতা মনে করেন, বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজনীতি করতে হলে বিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি তথা কূটনৈতিক বিষয়ে স্পষ্ট ধারণাসম্পন্ন মানুষের নেতৃত্বে আসা জরুরি। এসব বিষয়ে জয় ও পুতুল দুজনেই যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন।

তবে জয় ও পুতুল একই সঙ্গে নেতৃত্বে না এলেও তাদের কোনো একজন আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি একান্তই পার্টির সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত। তবে তাদেরও ইচ্ছার ব্যাপার আছে। তারা রাজনীতিতে আসবেন কিনা সেটাও জানার ব্যাপার আছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা শেখ হাসিনা এবং খালা শেখ রেহানার সঙ্গে লন্ডনে থাকায় বেঁচে যান জয়। পরে মায়ের সঙ্গে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় মেলে তার। শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতেই। পড়াশোনা করেন ভারতের নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ ও তামিলনাড়ুর পালানি হিলেসর কোডাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। এরপর বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স, পদার্থ এবং গণিতে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি টেক্সাস ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আরেকটি ব্যাচেলর ডিগ্রি অব সায়েন্স অর্জন করেন। সব শেষে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর করেন।

২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন জয়ই। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর জয়কে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে অবৈতনিক উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়।

অপরদিকে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল মনস্তত্বে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়।

তিনি ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক ২০১৪ সালে ডব্লিউএইচও অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সৃষ্টিশীল নারী নেতৃত্বের একশজনের তালিকায়ও স্থান করে নিয়েছেন তিনি।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশে অটিজমবিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন। সেই সঙ্গে তার পরিচালিত ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। তার উদ্যোগেই ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজমের মতো অবহেলিত একটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী অংশ নেন।

তার অক্লান্ত চেষ্টায় বাংলাদেশে ‘নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজ্যাবিলিটি ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩’ পাস করা হয়। সেই সঙ্গে তার দেওয়া পরামর্শের ভিত্তিতেই জাতিসংঘ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যাবলীতে অটিজমের বিষয়টি তিনিই সংযুক্ত করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অটিজম বিষয়ে ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও কাজ করছেন তিনি। এছাড়া আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) একজন ট্রাস্টিও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।