ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রথম টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:০২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • / 29

সংগৃহীত

নতুন বছরে যেন নতুন রূপ দেখাচ্ছে টাইগাররা। ব্যাটিং-বোলিং উভয় দিয়েই চাপে রেখে স্বাগতিকদের। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম ৩ দিন দাপট দেখানো টাইগাররা মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে খানিকটা পথ হারিয়ে বসেছিল।

পথ হারিয়ে বিপথে যাওয়া দলকে আবার স্বপ্নের সাগরে ভাসান এবাদত হোসেন। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নিজের জাত চেনানোর পাশাপাশি জয়ের সুবাতাস পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।

ক্যারিয়ারের ১১ নম্বরে টেস্ট খেলতে নামা এবাদত হোসেন যেন কড়া বার্তা দিলেন। কেন তাকে টেস্ট দলে রাখা হয় নিয়মিত সেটারই জানান দিলেন।

টেস্টে এটাই এবাদতের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এখন পর্যন্ত ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আগের সর্বোচ্চ ৯১ রানে ৩ উইকেট।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে কিউইদের ৩২৮ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। পরে নিজেরা স্কোর বোর্ডে ৪৫৮ রান তোলে। এতে ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে কিউইরা। চতুর্থ দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে কিউইদের সংগ্রহ ১৪৭ রান। এতে ১৭ রানের লিড পেয়েছে তারা। এই লিড বড় করতে বুধবার ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিন রস টেলর ৩৭ এবং রচিন রবীন্দ্র ৬ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করবেন।

এদিন ৬৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে ধারাবাহিক টম লাথাম ১৪ এবং আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ে আউট হন ১৩ রান করে। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উইল ইয়ং এবং টেলর। এই পার্টনারশিপ ভাঙতে মরিয়া হয়ে পরে সফরকারীরা। উইকেটের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ নষ্ট করে দুটো। তবে দুজনেই অল্পতে আটকে ফেলার সহজ সুযোগ এসেছিল। ফিল্ডাররা ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হয় এতে কিছুটা হতাশই দেখা গিয়েছিল মুমিনুল হক বাহিনীদের।

ইয়ং-টেলরের পার্টনারশিপ চিন্তার সৃষ্টি দিয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে। পরে ত্রাতা হয়ে আসেন এবাদত। নিজের ১৩ ও ১৪ নম্বর ওভারে জুটি ভাঙার পাশাপাশি তুলে নেন আরো ২ উইকেট। শুরু করেন ফিফটি করে শতকের দিকে ছোটা ইয়ংকে। ৬৯ রান করা এই ওপেনার বোল্ড হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান হেন্রি নিকোলসকে রানের খাতাই খুলতে দেননি এবাদত। শূন্য রানে ফিরিয়েছেন বোল্ড করে।

নিজের পরের ওভারে ফেরান টম ব্লানডেলকে। লেগ বিফোরের ফাদে পড়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন ব্লানডেল। পরে দিনের বাকিটা সময় দলকে আর কোন বিপদে পড়তে দেননি রস টেলর। রাচিনকে সঙ্গে নিয়ে দিন শেষ করেন তিনি। চতুর্থ দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে কিইউদের সংগ্রহ ১৪৭ রান।

নিউজ লাইট ৭১

 

 

Tag :

শেয়ার করুন

প্রথম টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ০২:০২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

নতুন বছরে যেন নতুন রূপ দেখাচ্ছে টাইগাররা। ব্যাটিং-বোলিং উভয় দিয়েই চাপে রেখে স্বাগতিকদের। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম ৩ দিন দাপট দেখানো টাইগাররা মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে খানিকটা পথ হারিয়ে বসেছিল।

পথ হারিয়ে বিপথে যাওয়া দলকে আবার স্বপ্নের সাগরে ভাসান এবাদত হোসেন। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নিজের জাত চেনানোর পাশাপাশি জয়ের সুবাতাস পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।

ক্যারিয়ারের ১১ নম্বরে টেস্ট খেলতে নামা এবাদত হোসেন যেন কড়া বার্তা দিলেন। কেন তাকে টেস্ট দলে রাখা হয় নিয়মিত সেটারই জানান দিলেন।

টেস্টে এটাই এবাদতের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এখন পর্যন্ত ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আগের সর্বোচ্চ ৯১ রানে ৩ উইকেট।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে কিউইদের ৩২৮ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। পরে নিজেরা স্কোর বোর্ডে ৪৫৮ রান তোলে। এতে ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে কিউইরা। চতুর্থ দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে কিউইদের সংগ্রহ ১৪৭ রান। এতে ১৭ রানের লিড পেয়েছে তারা। এই লিড বড় করতে বুধবার ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিন রস টেলর ৩৭ এবং রচিন রবীন্দ্র ৬ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করবেন।

এদিন ৬৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে ধারাবাহিক টম লাথাম ১৪ এবং আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ে আউট হন ১৩ রান করে। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উইল ইয়ং এবং টেলর। এই পার্টনারশিপ ভাঙতে মরিয়া হয়ে পরে সফরকারীরা। উইকেটের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ নষ্ট করে দুটো। তবে দুজনেই অল্পতে আটকে ফেলার সহজ সুযোগ এসেছিল। ফিল্ডাররা ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হয় এতে কিছুটা হতাশই দেখা গিয়েছিল মুমিনুল হক বাহিনীদের।

ইয়ং-টেলরের পার্টনারশিপ চিন্তার সৃষ্টি দিয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে। পরে ত্রাতা হয়ে আসেন এবাদত। নিজের ১৩ ও ১৪ নম্বর ওভারে জুটি ভাঙার পাশাপাশি তুলে নেন আরো ২ উইকেট। শুরু করেন ফিফটি করে শতকের দিকে ছোটা ইয়ংকে। ৬৯ রান করা এই ওপেনার বোল্ড হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান হেন্রি নিকোলসকে রানের খাতাই খুলতে দেননি এবাদত। শূন্য রানে ফিরিয়েছেন বোল্ড করে।

নিজের পরের ওভারে ফেরান টম ব্লানডেলকে। লেগ বিফোরের ফাদে পড়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন ব্লানডেল। পরে দিনের বাকিটা সময় দলকে আর কোন বিপদে পড়তে দেননি রস টেলর। রাচিনকে সঙ্গে নিয়ে দিন শেষ করেন তিনি। চতুর্থ দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে কিইউদের সংগ্রহ ১৪৭ রান।

নিউজ লাইট ৭১