ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৃহকর্তা সঙ্গে ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ রয়েছে- এমন সন্দেহে গৃহকর্মীকে খুন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:২৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 31

গৃহকর্তা সৈয়দ জসীমুলের সঙ্গে ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ রয়েছে- এমন সন্দেহে গৃহকর্মী পারভীনকে খুন করেন গৃহকর্ত্রী সৈয়দা সামিনা হাসান। তাকে গুলশানের নিকেতনের বাসায় খুন করা হয়। এরপর লাশ ঝাউবনে ফেলে দেয়া হয় বলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

রোববার আগারগাঁও পিবিআই কার্যালয়ে বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩ দিন আগে তুরাগ থানার দিয়াবাড়ির ঝাউবন এলাকায় পারভীনের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে পাওয়া যায়। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার আদ্যোপান্ত বেরিয়ে আসে।

পারভীনের স্বামীর নাম মোমিনুল হক। জীবিকার সন্ধানের ৬ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন তিনি। স্বামী রিকশা চালালেও পারভীন গৃহকর্ত্রীর কাজ করতেন। গুলশানের নিকেতনে জসীমুলের বাসায় ৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরি নেন। তবে তাকে বেতন দেয়া হতো ১ হাজার টাকা করে।

এরমধ্যে গৃহকর্ত্রী সামিনার সন্দেহ হয় গৃহকর্তার সঙ্গে পারভীনের ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ আছে। তিনি অনেক দিন ধরেই সন্দেহ করে আসছিলেন। এরপরই সামিনা পারভীনকে খুনের পরিকল্পনার করেন।

এরপর ১ ডিসেম্বর নিকেতনের বাসায় সামিনা পারভীনকে প্রথমে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। তিনি অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়লে তার বুকে চাপ দেন সামিনা। বুকের হাড় ভেঙে গেলে ঘটনাস্থলেই পারভীনের মৃত্যু হয়। পরে লাশ গুম করার জন্য ওই ঝাউবনে ফেলে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

গৃহকর্তা সঙ্গে ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ রয়েছে- এমন সন্দেহে গৃহকর্মীকে খুন

আপডেট টাইম : ০২:২৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

গৃহকর্তা সৈয়দ জসীমুলের সঙ্গে ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ রয়েছে- এমন সন্দেহে গৃহকর্মী পারভীনকে খুন করেন গৃহকর্ত্রী সৈয়দা সামিনা হাসান। তাকে গুলশানের নিকেতনের বাসায় খুন করা হয়। এরপর লাশ ঝাউবনে ফেলে দেয়া হয় বলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

রোববার আগারগাঁও পিবিআই কার্যালয়ে বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩ দিন আগে তুরাগ থানার দিয়াবাড়ির ঝাউবন এলাকায় পারভীনের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে পাওয়া যায়। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার আদ্যোপান্ত বেরিয়ে আসে।

পারভীনের স্বামীর নাম মোমিনুল হক। জীবিকার সন্ধানের ৬ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন তিনি। স্বামী রিকশা চালালেও পারভীন গৃহকর্ত্রীর কাজ করতেন। গুলশানের নিকেতনে জসীমুলের বাসায় ৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরি নেন। তবে তাকে বেতন দেয়া হতো ১ হাজার টাকা করে।

এরমধ্যে গৃহকর্ত্রী সামিনার সন্দেহ হয় গৃহকর্তার সঙ্গে পারভীনের ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ আছে। তিনি অনেক দিন ধরেই সন্দেহ করে আসছিলেন। এরপরই সামিনা পারভীনকে খুনের পরিকল্পনার করেন।

এরপর ১ ডিসেম্বর নিকেতনের বাসায় সামিনা পারভীনকে প্রথমে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। তিনি অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়লে তার বুকে চাপ দেন সামিনা। বুকের হাড় ভেঙে গেলে ঘটনাস্থলেই পারভীনের মৃত্যু হয়। পরে লাশ গুম করার জন্য ওই ঝাউবনে ফেলে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিউজ লাইট ৭১