ঈদকে ঘিরে আমাদের সবার আগে চিন্তার বিষয় হলো মাংস সংরক্ষণের বিষয়টি
- আপডেট টাইম : ০৬:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১
- / 59
কোরবানির ঈদকে ঘিরে আমাদের সবার আগে চিন্তার বিষয় হলো মাংস সংরক্ষণের বিষয়টি। কারণ সঠিক পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ না করলে মাংসের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। আর সবাইকে মাংস দেওয়ার পরও অনেক মাংস থেকে যায়। তবে আর্দ্রতা, আলো, তাপ, জীবাণু, অক্সিজেন প্রভৃতির প্রভাবে পচনে হাত থেকে সঠিক উপায়ে মাংস সংরক্ষণ করা উচিত। তা না হলে এসব মাংস তাজা, স্বাস্থ্যকর ও খাওয়ার উপযোগী থাকে না।
মাংস সংরক্ষণের সঠিক উপায়-
প্রথমেই মাংস সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ পরিষ্কার করতে হবে। ফলে ফ্রিজে জমে থাকা ময়লা ও জীবাণু মাংস নষ্ট করতে পারবে না।
তবে ফ্রিজ পরিষ্কারের পরে ফ্রিজে নতুন করে বরফ জমাতে হবে। এতে করে মাংস দ্রুত ঠাণ্ডা হবে এবং মান ভালো থাকবে।
মাংস কাটার পর সাথে সাথে ফ্রিজে মাংস না রাখাই ভালো। কারণ মাংস অনেকটা গরম থাকে এসময়। তাই তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ করা উচিত।
মাংসে যদি অতিরিক্ত রক্ত থাকে তাহলে অবশ্যই রক্ত ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। তারপর পরিষ্কার ব্যাগে ভরে মাংস সংরক্ষণ করতে হবে।
মাংস যখন রাখা হবে তখন একটি প্যাকেটের মাঝে কাগজ দিয়ে আরেকটি প্যাকেট রাখতে হবে।এতে দীর্ঘদিন ফ্রিজে থাকলে একটির সাথে আরেকটি প্যাকেট আটকে যাবে না। ফ্রিজ থেকে সহজেই মাংসের প্যাকেট বের করে নিতে পারবেন।
ফ্রিজের তাপমাত্রা একদম কমিয়ে দিতে হবে মাংস রাখার পরে। কারণ এতে করে তাড়াতাড়ি মাংস জমবে।ফ্রিজে গরুর মাংস এবং খাসির মাংস পাঁচ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায়। তবে কলিজা বেশিদিন ফ্রিজে না রাখাই ভালো। এতে স্বাদ ও গুন নষ্ট হয়ে যায়।
নিউজ লাইট ৭১