ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের স্বস্তি মুশফিকের ব্যাটে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯
  • / 89

নিউজ লাইট ৭১- ২ রানে নেই ২ উইকেট, বাংলাদেশের জন্য আরও ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছিল। ১৩ রানে তাদের ৪ উইকেট তুলে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল ভারত। দুই দিনেই হারের শঙ্কায় পড়েছিল সফরকারীরা। তবে সব শঙ্কা দূর করে দলকে স্বস্তিতে রাখলেন মুশফিকুর রহিম। তার অপরাজিত ফিফটিতে ছন্দে ফিরেছে বাংলাদেশ।
বিরাট কোহলির ২৭তম সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩৪৭ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ১০৬ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে ২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েও তারা দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ১৫২ রানে। সফরকারীরা ৪ উইকেট হাতে রেখে ৮৯ রানে পিছিয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দল রানের খাতা খোলার আগেই প্রথম ওভারে ইশান্ত শর্মার বলে এলবিডাব্লিউ হন সাদমান ইসলাম। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। ডাক মেরে বিদায় নেন। ভারতের ডানহাতি পেসার পরের ওভারে ফেরান মুমিনুল হককে। বাংলাদেশের অধিনায়কের ব্যাটে লেগে বল সহজে ঋদ্ধিমান সাহার গ্লাভসে ধরা পড়ে। গোলাপি বলের দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলেন মুমিনুল। প্রথম বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে ভারতের বিপক্ষে এই লজ্জার রেকর্ড গড়লেন তিনি।
৭ রানে ২ উইকেটে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। শেষ সেশনের দ্বিতীয় বলে আরও একটি উইকেটের পতন। মাত্র ৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৬ রান করে উমেশ যাদবের শিকার হন মোহাম্মদ মিঠুন, ক্যাচ দেন মোহাম্মদ সামিকে। পরের ওভারে ইশান্ত তার তিন নম্বর উইকেট তুলে নেন ইমরুল কায়েসকে (১৫) স্লিপে বিরাট কোহলির ক্যাচ বানিয়ে।
মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তোলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। দুজনের জুটি পঞ্চাশ পার করে। কিন্তু ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে দৌড়ে একটি রান নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান মাহমুদউল্লাহ। মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসায় স্বস্তিবোধ না করায় মাঠের বাইরে চলে যান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৪১ বলে ৭ চারে ৩৯ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন তিনি। আহত হওয়ার আগে মুশফিকের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৬৯ রানের।
মাহমুদউল্লাহ চলে গেলেও ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকেন মুশফিক। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৫১ রানের জুটি গড়ার পথে ২১তম ফিফটি করেন তিনি। ৫৪ বলে ৯ চারে দিবা-রাত্রির টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হাফসেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এর চার বল পর ইশান্তের শিকার হন মিরাজ, ২২ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ১৫ রান করে কোহলিকে ক্যাচ দেন লিটন দাসের বদলি জায়গা পাওয়া এই ব্যাটসম্যান।
৩১তম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এলবিডাব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার আউট দিলে নির্দ্বিধায় ডিআরএস নেন মুশফিক। বল তার গ্লাভস ছুঁয়ে প্যাডে লাগায় সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়। তখন ৫৯ রানে খেলছিলেন মুশফিক।
তার সঙ্গে ১৯ রানের জুটি গড়ে তাইজুল ইসলাম আউট হলে দিনের শেষ হয়। ২৪ বলে ১ চারে ১১ রান করেন নাঈম হাসানের বদলি হয়ে দলে জায়গা পাওয়া তাইজুল। মুশফিক ৭০ বলে ১০ চারে ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এই ইনিংসে ইশান্ত ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের সফল বোলার। দুটি পান উমেশ।

Tag :

শেয়ার করুন

বাংলাদেশের স্বস্তি মুশফিকের ব্যাটে

আপডেট টাইম : ০৯:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১- ২ রানে নেই ২ উইকেট, বাংলাদেশের জন্য আরও ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছিল। ১৩ রানে তাদের ৪ উইকেট তুলে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল ভারত। দুই দিনেই হারের শঙ্কায় পড়েছিল সফরকারীরা। তবে সব শঙ্কা দূর করে দলকে স্বস্তিতে রাখলেন মুশফিকুর রহিম। তার অপরাজিত ফিফটিতে ছন্দে ফিরেছে বাংলাদেশ।
বিরাট কোহলির ২৭তম সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩৪৭ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ১০৬ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে ২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েও তারা দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ১৫২ রানে। সফরকারীরা ৪ উইকেট হাতে রেখে ৮৯ রানে পিছিয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দল রানের খাতা খোলার আগেই প্রথম ওভারে ইশান্ত শর্মার বলে এলবিডাব্লিউ হন সাদমান ইসলাম। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। ডাক মেরে বিদায় নেন। ভারতের ডানহাতি পেসার পরের ওভারে ফেরান মুমিনুল হককে। বাংলাদেশের অধিনায়কের ব্যাটে লেগে বল সহজে ঋদ্ধিমান সাহার গ্লাভসে ধরা পড়ে। গোলাপি বলের দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলেন মুমিনুল। প্রথম বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে ভারতের বিপক্ষে এই লজ্জার রেকর্ড গড়লেন তিনি।
৭ রানে ২ উইকেটে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। শেষ সেশনের দ্বিতীয় বলে আরও একটি উইকেটের পতন। মাত্র ৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৬ রান করে উমেশ যাদবের শিকার হন মোহাম্মদ মিঠুন, ক্যাচ দেন মোহাম্মদ সামিকে। পরের ওভারে ইশান্ত তার তিন নম্বর উইকেট তুলে নেন ইমরুল কায়েসকে (১৫) স্লিপে বিরাট কোহলির ক্যাচ বানিয়ে।
মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তোলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। দুজনের জুটি পঞ্চাশ পার করে। কিন্তু ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে দৌড়ে একটি রান নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান মাহমুদউল্লাহ। মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসায় স্বস্তিবোধ না করায় মাঠের বাইরে চলে যান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৪১ বলে ৭ চারে ৩৯ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন তিনি। আহত হওয়ার আগে মুশফিকের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৬৯ রানের।
মাহমুদউল্লাহ চলে গেলেও ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকেন মুশফিক। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৫১ রানের জুটি গড়ার পথে ২১তম ফিফটি করেন তিনি। ৫৪ বলে ৯ চারে দিবা-রাত্রির টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হাফসেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এর চার বল পর ইশান্তের শিকার হন মিরাজ, ২২ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ১৫ রান করে কোহলিকে ক্যাচ দেন লিটন দাসের বদলি জায়গা পাওয়া এই ব্যাটসম্যান।
৩১তম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এলবিডাব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার আউট দিলে নির্দ্বিধায় ডিআরএস নেন মুশফিক। বল তার গ্লাভস ছুঁয়ে প্যাডে লাগায় সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়। তখন ৫৯ রানে খেলছিলেন মুশফিক।
তার সঙ্গে ১৯ রানের জুটি গড়ে তাইজুল ইসলাম আউট হলে দিনের শেষ হয়। ২৪ বলে ১ চারে ১১ রান করেন নাঈম হাসানের বদলি হয়ে দলে জায়গা পাওয়া তাইজুল। মুশফিক ৭০ বলে ১০ চারে ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এই ইনিংসে ইশান্ত ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের সফল বোলার। দুটি পান উমেশ।