ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মা ও নবজাতকের মৃত্যুতে চিকিৎসকদের অবহেলা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
  • / 114

নিউজ লাইট ৭১-রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্বজনরা। মৃত নারীর নাম আসমা বেগম (৩০)। ১৮ নভেম্বর সোমবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ওই হাসপাতালের লেভার রুমে ডেলিভারীর সময় তাদের মৃত্যু হয়। পরে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায় পুলিশ। তিন মেয়ের জননী ছিলেন আসমা।

মৃত আসমার স্বামী ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন জানান, তাদের বাড়ি বরিশাল হিজলা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে। বরিশালে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী গত ১৭ নভেম্বর সন্তান সম্ভাবা আসমাকে মগবাজার আদ-দ্বীন হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা। পরে চিকিৎসকরা তাদের জানায় প্রথমে দেখা হবে তার নরমালে ডেলিভারি হয় কিনা। যদি না হয় পরবর্তিতে তার সিজার করা হবে। এরপর সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় আসমাকে ইনজেকশন দিয়ে প্রসব বেদনা উঠিয়ে লেবার রুমে নিয়ে যায়। এসময় স্বজনরা তার সিজার করার কথা বলেন চিকিৎসকদের। তবে তারা তখনও সিজার করতে রাজি হননি। নরমালেই ডেলিভারি হবে বলে জানায়। এরপর লেভার রুমে সাড়ে ৭ ঘণ্টা চেষ্টা করে চিকিৎসকরা। এসময় আসমার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে রাত আড়াইটার দিকে আসমা একটি মৃত মেয়ে বাচ্চা প্রসব করে মারা যান।

আরিফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, প্রথমেই যদি আসমার সিজার করা হতো তাহলে বাচ্চা ও মা কেউই মারা যেতেনো। চিকিৎসকদের অবহেলা ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। আমরা রমনা থানায় মামলা করেছি। রমনা থানার এসআই দুলাল চন্দ্র কুন্ড বলেন, বাচ্চা ডেলিভারির সময় আসমা ও তার মেয়ে বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ থাকায় দুটি মৃতদেহের উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। পরে পরিবারের কাছে মৃতদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান এসআই।

Tag :

শেয়ার করুন

মা ও নবজাতকের মৃত্যুতে চিকিৎসকদের অবহেলা

আপডেট টাইম : ০৮:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১-রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্বজনরা। মৃত নারীর নাম আসমা বেগম (৩০)। ১৮ নভেম্বর সোমবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ওই হাসপাতালের লেভার রুমে ডেলিভারীর সময় তাদের মৃত্যু হয়। পরে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায় পুলিশ। তিন মেয়ের জননী ছিলেন আসমা।

মৃত আসমার স্বামী ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন জানান, তাদের বাড়ি বরিশাল হিজলা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে। বরিশালে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী গত ১৭ নভেম্বর সন্তান সম্ভাবা আসমাকে মগবাজার আদ-দ্বীন হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা। পরে চিকিৎসকরা তাদের জানায় প্রথমে দেখা হবে তার নরমালে ডেলিভারি হয় কিনা। যদি না হয় পরবর্তিতে তার সিজার করা হবে। এরপর সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় আসমাকে ইনজেকশন দিয়ে প্রসব বেদনা উঠিয়ে লেবার রুমে নিয়ে যায়। এসময় স্বজনরা তার সিজার করার কথা বলেন চিকিৎসকদের। তবে তারা তখনও সিজার করতে রাজি হননি। নরমালেই ডেলিভারি হবে বলে জানায়। এরপর লেভার রুমে সাড়ে ৭ ঘণ্টা চেষ্টা করে চিকিৎসকরা। এসময় আসমার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে রাত আড়াইটার দিকে আসমা একটি মৃত মেয়ে বাচ্চা প্রসব করে মারা যান।

আরিফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, প্রথমেই যদি আসমার সিজার করা হতো তাহলে বাচ্চা ও মা কেউই মারা যেতেনো। চিকিৎসকদের অবহেলা ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। আমরা রমনা থানায় মামলা করেছি। রমনা থানার এসআই দুলাল চন্দ্র কুন্ড বলেন, বাচ্চা ডেলিভারির সময় আসমা ও তার মেয়ে বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ থাকায় দুটি মৃতদেহের উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। পরে পরিবারের কাছে মৃতদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান এসআই।