ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে ব্যবসা করতে গেলেও ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১
  • / 78

অনলাইনে ব্যবসায় প্রতারণা বন্ধ ও ক্রেতাদের আস্থা তৈরি জন্য “ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১” শীর্ষক একটি খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ফেসবুকে ব্যবসা করতে গেলেও ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। 

একই সঙ্গে রয়েছে পণ্যের অর্ডার থেকে শুরু করে গ্রাহকের হাত অবধি পৌঁছাতে বিভিন্ন নিয়মকানুন যা ভোক্তার স্বার্থকে সংরক্ষণ করে। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। 

আগামী মাসেই এ বিষয়ক একটি নির্দেশনা জারি হতে যাচ্ছে বলে গণমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান।  

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ই-ক্যাবের ১৩০০ সদস্য ছাড়াও আরও ৫ লাখেরও বেশি ক্ষুদ্র ই-কমার্স ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ব্যবসা করছেন। এসব ব্যবসায়ীদের প্রত্যেক্যের তথ্যপ্রাপ্তি, ভ্যাট নিবন্ধন, কর আদায়ের পাশাপাশি ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণে দ্রুত ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে।  

যেহেতু ই-কমার্স ক্যাটাগরিতে এখনও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু শুরু হয়নি তাই ফেসবুকভিত্তিক পাঁচ লাখ ই-কমার্স ট্রেড লাইসেন্স নিতে হলে তাদের আইটি বা সফটওয়্যার ক্যাটাগরিতে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। এ জন্য ফি দিতে হবে ১১০০ থেকে ১৫০০ টাকা। তবে এলাকা ও ব্যবসার ধরনভেদে ট্রেড লাইসেন্স ফি ভিন্ন হতে পারে। 

এর বাইরে ভ্যাট, সাইনবোর্ড ট্যাক্স, ফিজিক্যাল ভিজিট ট্যাক্সসহ প্রায় চার হাজার টাকার মতো খরচ হবে। এতে সরকারের আয় হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এছাড়া, প্রতিবছর ট্রেড লাইসেন্স আবার নবায়ন করতে হবে। 

নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি ম্যানের কাছে, সর্বোচ্চ পাঁচ দিনের মধ্যে একই শহরে এবং ১০ দিনের মধ্যে ভিন্ন শহরে বা গ্রামে পণ্য ডেলিভারি করতে হবে। অন্যথায় ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বা অন্য যে কোন আদালতে মামলা করতে পারবেন।

এই নির্দেশিকার বিধান প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে কর্তৃপক্ষ বিক্রেতা বা মার্কেটপ্লেসের ট্রেড লাইসেন্স বা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট নিবন্ধন বাতিল করা এবং সংশ্লিষ্ট মার্কেটপ্লেস নিষিদ্ধ করাসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনসহ দেশে প্রচলিত সংশ্লিষ্ট সব আইন এই নির্দেশিকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলেও জানানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। নতুন এই সেক্টরকে এখনই কঠোর নীতিমালার বেড়াজালে আটকে দিলে এর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

ফেসবুকে ব্যবসা করতে গেলেও ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে

আপডেট টাইম : ০৬:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১

অনলাইনে ব্যবসায় প্রতারণা বন্ধ ও ক্রেতাদের আস্থা তৈরি জন্য “ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১” শীর্ষক একটি খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ফেসবুকে ব্যবসা করতে গেলেও ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। 

একই সঙ্গে রয়েছে পণ্যের অর্ডার থেকে শুরু করে গ্রাহকের হাত অবধি পৌঁছাতে বিভিন্ন নিয়মকানুন যা ভোক্তার স্বার্থকে সংরক্ষণ করে। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। 

আগামী মাসেই এ বিষয়ক একটি নির্দেশনা জারি হতে যাচ্ছে বলে গণমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান।  

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ই-ক্যাবের ১৩০০ সদস্য ছাড়াও আরও ৫ লাখেরও বেশি ক্ষুদ্র ই-কমার্স ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ব্যবসা করছেন। এসব ব্যবসায়ীদের প্রত্যেক্যের তথ্যপ্রাপ্তি, ভ্যাট নিবন্ধন, কর আদায়ের পাশাপাশি ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণে দ্রুত ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে।  

যেহেতু ই-কমার্স ক্যাটাগরিতে এখনও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু শুরু হয়নি তাই ফেসবুকভিত্তিক পাঁচ লাখ ই-কমার্স ট্রেড লাইসেন্স নিতে হলে তাদের আইটি বা সফটওয়্যার ক্যাটাগরিতে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। এ জন্য ফি দিতে হবে ১১০০ থেকে ১৫০০ টাকা। তবে এলাকা ও ব্যবসার ধরনভেদে ট্রেড লাইসেন্স ফি ভিন্ন হতে পারে। 

এর বাইরে ভ্যাট, সাইনবোর্ড ট্যাক্স, ফিজিক্যাল ভিজিট ট্যাক্সসহ প্রায় চার হাজার টাকার মতো খরচ হবে। এতে সরকারের আয় হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এছাড়া, প্রতিবছর ট্রেড লাইসেন্স আবার নবায়ন করতে হবে। 

নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি ম্যানের কাছে, সর্বোচ্চ পাঁচ দিনের মধ্যে একই শহরে এবং ১০ দিনের মধ্যে ভিন্ন শহরে বা গ্রামে পণ্য ডেলিভারি করতে হবে। অন্যথায় ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বা অন্য যে কোন আদালতে মামলা করতে পারবেন।

এই নির্দেশিকার বিধান প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে কর্তৃপক্ষ বিক্রেতা বা মার্কেটপ্লেসের ট্রেড লাইসেন্স বা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট নিবন্ধন বাতিল করা এবং সংশ্লিষ্ট মার্কেটপ্লেস নিষিদ্ধ করাসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনসহ দেশে প্রচলিত সংশ্লিষ্ট সব আইন এই নির্দেশিকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলেও জানানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। নতুন এই সেক্টরকে এখনই কঠোর নীতিমালার বেড়াজালে আটকে দিলে এর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

নিউজ লাইট ৭১