ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ব্যারিস্টার সুমন প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসতে মামলা করেন’

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯
  • / 149

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও মোয়াজ্জেম হোসেন। ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সেই সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন আদালতে কান্না করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে দেয়া বক্তব্যে ওসি মোয়াজ্জেম বলেন, ‘সামাজিক, রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন আমার বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসতে মামলা করেন তিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের ডাইং ডিক্লারেশন গ্রহণের ব্যবস্থা করি। কিন্তু বাদী আমার বিরুদ্ধে শুধু মামলাই করেছে। তিনি নুসরাতের হত্যাকারীদের বিচারের জন্য কোনো ভূমিকা রাখেননি। উনি (বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন) আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলের একটি পোস্ট হোল্ড করেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসার জন্য শুধু রাজনৈতিকভাবে ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবানের উদ্দেশ্যে এ মামলা করেছেন। আমি এ মামলার মাধ্যমে বড় সাজা পেয়েই গেছি। আমার ছেলে স্কুলে যেতে পারে না। আমার মেয়ে এবং তার মা শয্যাশায়ী। আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি ১০টি খুন করলেও এমন সাজা হয়তো আমার হতো না। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। ’

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্যে এসব কথা বলেন আসামি সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।

তবে তার এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে মামলার বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, ‘সারা দেশের ওসিরা যেন নারীদের সম্মান করেন, থানা যেন মানুষের নিরাপদ স্থান হয়, যেন ৪৮০ থানার ওসিরা মোয়াজ্জেমের ভাগ্য দেখে তা বিবেচনায় ওনারা আরও সচেতন হন, এজন্য আমি মামলা করি।’

Tag :

শেয়ার করুন

‘ব্যারিস্টার সুমন প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসতে মামলা করেন’

আপডেট টাইম : ০৯:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সেই সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন আদালতে কান্না করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে দেয়া বক্তব্যে ওসি মোয়াজ্জেম বলেন, ‘সামাজিক, রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন আমার বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসতে মামলা করেন তিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের ডাইং ডিক্লারেশন গ্রহণের ব্যবস্থা করি। কিন্তু বাদী আমার বিরুদ্ধে শুধু মামলাই করেছে। তিনি নুসরাতের হত্যাকারীদের বিচারের জন্য কোনো ভূমিকা রাখেননি। উনি (বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন) আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলের একটি পোস্ট হোল্ড করেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসার জন্য শুধু রাজনৈতিকভাবে ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবানের উদ্দেশ্যে এ মামলা করেছেন। আমি এ মামলার মাধ্যমে বড় সাজা পেয়েই গেছি। আমার ছেলে স্কুলে যেতে পারে না। আমার মেয়ে এবং তার মা শয্যাশায়ী। আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি ১০টি খুন করলেও এমন সাজা হয়তো আমার হতো না। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। ’

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্যে এসব কথা বলেন আসামি সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।

তবে তার এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে মামলার বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, ‘সারা দেশের ওসিরা যেন নারীদের সম্মান করেন, থানা যেন মানুষের নিরাপদ স্থান হয়, যেন ৪৮০ থানার ওসিরা মোয়াজ্জেমের ভাগ্য দেখে তা বিবেচনায় ওনারা আরও সচেতন হন, এজন্য আমি মামলা করি।’