কোহলি হুমকি মানছেন
- আপডেট টাইম : ১০:২৬:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯
- / 117
টি২০ সিরিজে একদম বিবর্ণ ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তিন ম্যাচের একটাতেও সমীহ জাগানো বোলিং করতে পারেননি। সেই সঙ্গে অনেক রান বিলিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। সবশেষ টেস্টেও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ছন্দ ফিরে পেতে সংগ্রাম করছেন বাঁহাতি এই পেসার। তবুও টেস্ট সিরিজের আগে আলাদা করে তার কথাই বললেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বাঁহাতি পেসারদের বিপক্ষে নিয়মিত খেলার অনভ্যস্ততা থেকে টেস্ট সিরিজে মুস্তাফিজকে হুমকি মনে করছেন তিনি।
টি২০ সিরিজের তিন ম্যাচে ৯.৫ ওভার বল করে ৯১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন মুস্তাফিজ। কেবল মার খাওয়া আর উইকেট না পাওয়া-ই নয়, ব্যাটসম্যানদের ধন্দেও ফেলতে পারেননি তিনি। তার বোলিংয়ে ছিল না কোনো ধার। ইন্দোরে প্রথম টেস্টে তাকে নামানো হবে কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কিন্তু মুস্তাফিজের নিষ্প্রভ টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স ভারত অধিনায়ক কোহলি আমলেই আনছেন না। মুস্তাফিজকে তিনি মাপছেন তার যোগ্যতা-সামর্থ্য দিয়ে, ‘সে খুব ভালো একজন বোলার। সে লাল বলেও বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছে। আমরা সাধারণত যাদের খেলি সব বাঁহাতি পেসারই তাদের চেয়ে আলাদা ধরনের বোলার। ওর দিকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। কারণ, আমাদের দলে না থাকায় বাঁহাতি পেসার আমরা তেমন একটা খেলি না। এটা চ্যালেঞ্জ হবে, তবে আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি।’
টেস্টে ভারতের পেস আক্রমণে আছেন ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদবরা। এদের প্রত্যেকেই ডানহাতি পেসার। স্কোয়াডে বাঁহাতি পেসার না থাকায় অনুশীলনে মানসম্পন্ন বাঁহাতি পেস খুব একটা খেলা হয় না ভারতের। এই জায়গাতেই মুস্তাফিজকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ দেখছেন কোহলি, ‘আমাদের দলে যেহেতু বাঁহাতি পেসার খুব একটা নেই, কাজেই এটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আপনাকে এসব চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগোতে হবে। এর মানে এই না যে বাঁহাতি পেসারদের বিপক্ষে আমরা কুঁকড়ে যাই। একটু বেশি কঠিন লাগে, কারণ আমরা বেশি বাঁহাতি পেস খেলি না। সেদিক দিয়ে ও আমাদের জন্য হুমকি। বাংলাদেশের জন্য মূল খেলোয়াড় (ফিজ)। সে আইপিএল খেলার কারণে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সম্পর্কে জানে। আমরাও তাকে খেলেছি। তবু আমার মনে হয় বাড়তি সতর্ক থাকা লাগবে।’
সবশেষ সিরিজে নিজেদের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁদিয়ে ছেড়েছে ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল প্রোটিয়ারা, দুটিতে হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। ঘরের মাঠে অদম্য এই ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে বাংলাদেশ বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কিনা, ম্যাচের আগের দিন এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল বিরাট কোহলির কাছে। জবাবে ভারতীয় দলনেতা সরাসরি ‘হঁ্যা’ বা ‘না’ বোধক উত্তর দেননি। তবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, যেহেতু বাংলাদেশ ও ভারতের কন্ডিশন প্রায় একই রকমের, সেহেতু ইন্দোরে সিরিজের প্রথম টেস্টে মুমিনুল হকের দলের কাছ থেকে লড়াই আশা করছেন তিনি।
যদিও শক্তির বিচারে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবধান বিস্তর। নিজেদের সবশেষ টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে আফগানিস্তানের কাছে। তাছাড়া খেলাটা হচ্ছে কোহলিদের চেনা আঙিনায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই হট ফেভারিট তকমা তাদের গায়ে। তারপরও বাংলাদেশকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার কথা বলেছেন কোহলি, ‘তারা একই ধরনের কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত। তাই আমরা নিশ্চিতভাবেই মনে করি যে তারা তাদের গেম-পস্ন্যানটা জানে, কী করা প্রয়োজন সেটা তারা জানে। ফল নিজেদের পক্ষে আনতে আমরাদের ভালো খেলতে হবে যেভাবে আমরা আগের সব ম্যাচ খেলেছি। তাই আমরা কোনোকিছুই হালকাভাবে নিচ্ছি না। আমরা বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান-বোলারকেই হালকাভাবে নিচ্ছি না। যখন ওরা ভালো খেলে তখন খুব চৌকস দল হয়ে ওঠে। ওদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। ওরা নিজেদের গেম পস্ন্যানটা জানে, ওরা জানে কি করতে হবে। ফল পেতে আমাদের ভালো খেলতে হবে, যেমনটা আগের প্রতিটা ম্যাচে খেলেছি। আমরা আমাদের প্রক্রিয়া ঠিক রেখে এগোবো।’