জীবাণু থেকে বাঁচতে স্যানিটাইজার প্রয়োজন
- আপডেট টাইম : ০৬:০৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১
- / 76
আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হলেও করোনার আবির্ভাবে এর ব্যবহার বেড়েছে দ্বিগুণ। জীবাণুর সাথে লড়তে স্যানিটাইজার এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে জীবাণু থেকে বাঁচতে স্যানিটাইজার প্রয়োজনীয় হলেও, এই স্যানিটাইজারের কারনেই শিশুদের চোখে এবং ত্বকে দেখা দিচ্ছে নানা সমস্যা।
‘আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনই তথ্য মিলেছে।
তবে কী বলছে গবেষণা?
গবেষণায় বলা হয়েছে, শিশুদের চোখের এবং ত্বকের সমস্যা মারাত্মক ভাবে বেড়ে যাতে পারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের কারণে। গবেষনার সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৯ সালে যত জন শিশুকে চোখে বিষক্রিয়ার কারণে চিকিৎসা করানো হয়েছিল, তার মধ্যে মাত্র ১.৩ শতাংশের ক্ষেত্রেই বিষক্রিয়ার কারণ ছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কিন্তু ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি। তবে শুধু চোখের নয়, স্যানিটাইজারের কারণে বাড়ছে ত্বকের সমস্যাও।
তবে এই গবেষনার দাবি কতোটুকু সত্যি?
এ বিষয়ে ভারতীয় শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ বলেন, ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারে এবং এই মাত্রা অনেক কড়া। কোভিডের কারণে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হলেও এটি শিশুদের চোখ আর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
তিনি আরও বলেন, এখন প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে শিশুরা ভুল করে স্যানিটাইজার খেয়ে ফেলে। যেটা তাদের শরীরের ভাল-মন্দ সব ব্যাকটেরিয়াকেই মেরে ফেলে। যার কারনেই শরীরের ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, এখন নিয়মিত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হয়। শিশুরা নিজের খেয়ালে মুখে বা চোখে হাত দিলে স্যানিটাইজার চোখে বা মুখে চলে গেলে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে।
এই ক্ষতিকর দিকটি বিবেচনা করে ধীরে ধীরে স্যানিটাইজারের ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে এবং বাজারে যত স্যানিটাইজার পাওয়া যায় সেগুলোর গুণমানের বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখতে হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
তবে এ ক্ষেত্রে স্যানিটাইজারের বিকল্প কী হতে পারে?
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্যানিটাইজারের বিকল্প হতে পারে গ্লাভস। গ্লাভসের ব্যবহারে স্যানিটাইজারের ব্যবহার কম হবে যার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কাও কমবে।
নিউজ লাইট ৭১