ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১২:৩১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯
  • / 126

বাজারে এসেছে চীন ও মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। সপ্তাহখানেক ধরে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে দেশি জাতের মুড়ি কাটা (কলি ছাড়া) পেঁয়াজ। আগামী সপ্তাহে বন্দরে পৌঁছাবে মিসর থেকে এস আলম গ্রুপের আমদানি করা ১৫ হাজার টন পেঁয়াজ। এর পরপরই আসবে তুরস্ক থেকে বড় দুটি চালান। ভারতের পেঁয়াজও আসতে পারে অল্প সময়ের মধ্যেই।

এসব খবর ও প্রশাসনের তদারকিতে বড় লোকসানের ভয়ে আমদানিকারকদের তাগাদায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। ফলে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ২২ টাকা ও মিয়ানমারেরটা ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামবাজারের প্রায় সব আড়তে গত দেড় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল। তবে সেই পরিমাণ বিক্রি হয়নি। আড়তদাররা জানান, দুই দিন ধরে দাম কমায় পাইকাররা অল্প করে কিনছেন। পাইকাররা জানান, দাম কমতির দিকে থাকায় তারা সতর্কতা অবলম্বন করছেন। শ্যামবাজারে এদিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, মিয়ানমারেরটা ৮০-৮৫, মিসরেরটা ৮৫ ও চীনেরটা ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। আগের দিনের চেয়ে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে এই বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০-১২২ টাকা ও মিয়ানমারেরটা ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। 

শ্যামবাজারের মেসার্স আলী ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক সুজন নিউজ লাইট ৭১ কে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাত থেকে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাড়তি পেঁয়াজ বাজারে ঢzকছে। এর প্রভাবে দাম কমছে। আমদানিকারকরা তাগাদা দিচ্ছেন যত দ্রুত সম্ভব পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে। আগামী সপ্তাহে দাম আরও অনেক কমবে।’

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি জাতের মুড়ি কাটা (কলি ছাড়া) পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা দামে। ক্রেতাদের আগ্রহও আছে এই পেঁয়াজে। কলিসহ পেঁয়াজও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়বে, দামও কমবে।

আমাদের চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস জানায়, বর্তমানে জেনি এন্টারপ্রাইজ ও এন এস ইন্টারন্যাশনাল নামের দুটি কোম্পানি মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। তবে এর পরিমাণ অনেক কম।

জানতে চাইলে এস আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আকতার হোসেন বলেন, আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে এস আলম গ্রুপের আমদানি করা মিসরের ১৫ হাজার টন পেঁয়াজ। আড়ত পর্যায়ে এর কেজিপ্রতি দাম পড়তে পারে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা।

এ ছাড়া আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে বাজারে আসবে তুরস্ক থেকে সিটি গ্রুপ ও মেঘনা গ্রুপের আমদানি করা ১০ হাজার টন পেঁয়াজ। সিটি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) বিশ্বজিৎ সাহা জানান, তারা আড়তদারদের ৪১-৪২ টাকা দামে পেঁয়াজ সরবরাহ করবেন।

এসব পেঁয়াজ বাজারে এলে চলতি মাসেই খুচরা পর্যায়ে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন ক্রেতারা।

Tag :

শেয়ার করুন

পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে

আপডেট টাইম : ১২:৩১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯

বাজারে এসেছে চীন ও মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। সপ্তাহখানেক ধরে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে দেশি জাতের মুড়ি কাটা (কলি ছাড়া) পেঁয়াজ। আগামী সপ্তাহে বন্দরে পৌঁছাবে মিসর থেকে এস আলম গ্রুপের আমদানি করা ১৫ হাজার টন পেঁয়াজ। এর পরপরই আসবে তুরস্ক থেকে বড় দুটি চালান। ভারতের পেঁয়াজও আসতে পারে অল্প সময়ের মধ্যেই।

এসব খবর ও প্রশাসনের তদারকিতে বড় লোকসানের ভয়ে আমদানিকারকদের তাগাদায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। ফলে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ২২ টাকা ও মিয়ানমারেরটা ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামবাজারের প্রায় সব আড়তে গত দেড় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল। তবে সেই পরিমাণ বিক্রি হয়নি। আড়তদাররা জানান, দুই দিন ধরে দাম কমায় পাইকাররা অল্প করে কিনছেন। পাইকাররা জানান, দাম কমতির দিকে থাকায় তারা সতর্কতা অবলম্বন করছেন। শ্যামবাজারে এদিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, মিয়ানমারেরটা ৮০-৮৫, মিসরেরটা ৮৫ ও চীনেরটা ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। আগের দিনের চেয়ে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে এই বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০-১২২ টাকা ও মিয়ানমারেরটা ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। 

শ্যামবাজারের মেসার্স আলী ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক সুজন নিউজ লাইট ৭১ কে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাত থেকে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাড়তি পেঁয়াজ বাজারে ঢzকছে। এর প্রভাবে দাম কমছে। আমদানিকারকরা তাগাদা দিচ্ছেন যত দ্রুত সম্ভব পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে। আগামী সপ্তাহে দাম আরও অনেক কমবে।’

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি জাতের মুড়ি কাটা (কলি ছাড়া) পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা দামে। ক্রেতাদের আগ্রহও আছে এই পেঁয়াজে। কলিসহ পেঁয়াজও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়বে, দামও কমবে।

আমাদের চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস জানায়, বর্তমানে জেনি এন্টারপ্রাইজ ও এন এস ইন্টারন্যাশনাল নামের দুটি কোম্পানি মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। তবে এর পরিমাণ অনেক কম।

জানতে চাইলে এস আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আকতার হোসেন বলেন, আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে এস আলম গ্রুপের আমদানি করা মিসরের ১৫ হাজার টন পেঁয়াজ। আড়ত পর্যায়ে এর কেজিপ্রতি দাম পড়তে পারে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা।

এ ছাড়া আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে বাজারে আসবে তুরস্ক থেকে সিটি গ্রুপ ও মেঘনা গ্রুপের আমদানি করা ১০ হাজার টন পেঁয়াজ। সিটি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) বিশ্বজিৎ সাহা জানান, তারা আড়তদারদের ৪১-৪২ টাকা দামে পেঁয়াজ সরবরাহ করবেন।

এসব পেঁয়াজ বাজারে এলে চলতি মাসেই খুচরা পর্যায়ে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন ক্রেতারা।