ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুড়িগঙ্গা দূষণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৪:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / 100

ছবি: সংগৃহীত

কেরানীগঞ্জের ৩০টি ওয়াশিং প্লান্টসহ বুড়িগঙ্গার পানি দূষণের জন্য দায়ী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও কারখানার বিরুদ্ধে মামলা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গার পানিতে বা নদী তীরে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেন ময়লা-আবর্জনা ফেলতে না পারে, সে বিষয়ে তদারকীর ব্যবস্থা করতে ঢাকার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কেরানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই ৩০টি ওয়াশিং প্লান্ট হচ্ছে- আহামদ হোসেন ওয়াশিং, আমেনা ওয়াশিং, সানমুন ওয়াশিং, ইডেন ওয়াশিং, বিসমিল্লাহ ওয়াশিং, লোটাস ওয়াশিং, গ্লোবাল ওয়াশিং, রুবেল ওয়াশিং, আনুষ্কা ওয়াশিং, সততা ওয়াশিং, চঞ্জল ওয়াশিং, আব্দুর রব ওয়াশিং, ঢাকা ওয়াশিং, আজান ওয়াশিং, নিউ সাহারা ওয়াশিং, দোহার ওয়াশিং, রিলেটিভ ওয়াশিং, নিউনাশা ওয়াশিং, ইউনিক ওয়াশিং, মৌ ওয়াশিং, সেতু ওয়াশিং, কোয়ালিটি ওয়াশিং, জুয়েনা ওয়াশিং, কামাল ওয়াশিং, ওয়াটার কালার ওয়াশিং, পারজোয়ার ওয়াশিং, জিএম ওয়াশিং, কুমিল্লা ওয়াশিং, আছিয়া ওয়াশিং ও লিলি ওয়াশিং।

বুড়িগঙ্গা দূষণ রোধে জনস্বার্থে করা এক রিটের রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় রোববার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম। রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হোসেন।

এর আগে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে এইচআরপিবির পক্ষে ২০১০ সালে একটি রিট করা হয়। সে রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১১ সালের ১ জুন তিন দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য ফেলা বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং বুড়িগঙ্গা নদীতে সংযুক্ত সব পয়ঃপ্রণালির লাইন (সুয়ারেজ) ও শিল্পকারখানার বর্জ্য নিঃসরণের লাইন ছয় মাসের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

ওইসব নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল সম্পূরক আবেদন করে এইচআরপিবি। সে আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এম খানকে তলব করে হাইকোর্ট।

পরে গত বছরের ৪ মার্চ তাকসিম এম খান আদালতে হাজির হয়ে রায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। পরবর্তীতে ১৮ আগস্ট ও ৭ সেপ্টেম্বর ওয়াসার পক্ষ থেকে আরো দুটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হলেও রায় ও আদেশ বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি না থাকায় তা গ্রহণ করেনি আদালত।

এরপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওয়াসার এমডি পক্ষে আরও একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হলে আদালত সেটিও গ্রহণ করেনি। সেদিনই আদালত পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের পরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, কেরানিগঞ্জ থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়ে বলে দুই সপ্তাহের মধ্যে বুড়িগঙ্গার দক্ষিণ পাশে নদী ও নদী তীরে ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্য ফেলা ও স্তুপ করা বন্ধ করে ১৫ দিনের মধ্যে আদেশ প্রতিপালনের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

বুড়িগঙ্গা দূষণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ

আপডেট টাইম : ০৫:৩৪:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

কেরানীগঞ্জের ৩০টি ওয়াশিং প্লান্টসহ বুড়িগঙ্গার পানি দূষণের জন্য দায়ী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও কারখানার বিরুদ্ধে মামলা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গার পানিতে বা নদী তীরে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেন ময়লা-আবর্জনা ফেলতে না পারে, সে বিষয়ে তদারকীর ব্যবস্থা করতে ঢাকার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কেরানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই ৩০টি ওয়াশিং প্লান্ট হচ্ছে- আহামদ হোসেন ওয়াশিং, আমেনা ওয়াশিং, সানমুন ওয়াশিং, ইডেন ওয়াশিং, বিসমিল্লাহ ওয়াশিং, লোটাস ওয়াশিং, গ্লোবাল ওয়াশিং, রুবেল ওয়াশিং, আনুষ্কা ওয়াশিং, সততা ওয়াশিং, চঞ্জল ওয়াশিং, আব্দুর রব ওয়াশিং, ঢাকা ওয়াশিং, আজান ওয়াশিং, নিউ সাহারা ওয়াশিং, দোহার ওয়াশিং, রিলেটিভ ওয়াশিং, নিউনাশা ওয়াশিং, ইউনিক ওয়াশিং, মৌ ওয়াশিং, সেতু ওয়াশিং, কোয়ালিটি ওয়াশিং, জুয়েনা ওয়াশিং, কামাল ওয়াশিং, ওয়াটার কালার ওয়াশিং, পারজোয়ার ওয়াশিং, জিএম ওয়াশিং, কুমিল্লা ওয়াশিং, আছিয়া ওয়াশিং ও লিলি ওয়াশিং।

বুড়িগঙ্গা দূষণ রোধে জনস্বার্থে করা এক রিটের রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় রোববার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম। রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হোসেন।

এর আগে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে এইচআরপিবির পক্ষে ২০১০ সালে একটি রিট করা হয়। সে রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১১ সালের ১ জুন তিন দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য ফেলা বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং বুড়িগঙ্গা নদীতে সংযুক্ত সব পয়ঃপ্রণালির লাইন (সুয়ারেজ) ও শিল্পকারখানার বর্জ্য নিঃসরণের লাইন ছয় মাসের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

ওইসব নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল সম্পূরক আবেদন করে এইচআরপিবি। সে আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এম খানকে তলব করে হাইকোর্ট।

পরে গত বছরের ৪ মার্চ তাকসিম এম খান আদালতে হাজির হয়ে রায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। পরবর্তীতে ১৮ আগস্ট ও ৭ সেপ্টেম্বর ওয়াসার পক্ষ থেকে আরো দুটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হলেও রায় ও আদেশ বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি না থাকায় তা গ্রহণ করেনি আদালত।

এরপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওয়াসার এমডি পক্ষে আরও একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হলে আদালত সেটিও গ্রহণ করেনি। সেদিনই আদালত পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের পরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, কেরানিগঞ্জ থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়ে বলে দুই সপ্তাহের মধ্যে বুড়িগঙ্গার দক্ষিণ পাশে নদী ও নদী তীরে ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্য ফেলা ও স্তুপ করা বন্ধ করে ১৫ দিনের মধ্যে আদেশ প্রতিপালনের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

নিউজ লাইট ৭১