স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বন্ধুর মতো
- আপডেট টাইম : ০৩:৪২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০
- / 93
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বন্ধুর মতো। একজন আরেক জনকে সব কথা অকপটে বলতে পারবেন। হিসাব করে স্ত্রীকে কেউ কথা বলেন না। তবু স্ত্রীর সঙ্গে কিছু কথা না বলাই ভালো। যা আপনার দাম্পত্যে ঝামেলা সৃষ্টি করবে। নিউজ লাইট ৭১ এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা তেমন ছয় কথা-
তুমি স্বার্থপর: স্বামী ও স্ত্রী একে অপরকে কখনই বলবেন না যে তুমি এত স্বার্থপর কেন? স্ত্রী যদি আপনার পছন্দমতো কাজ না করে ও তাকে দোষী মনে হতে পারে। যদি সে সত্যিই স্বার্থপরের মতো আচরণ করে থাকে, তবু তাকে এ কথা বলতে যাবেন না।
তোমাকে বিয়ে করা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল: স্ত্রী যদি কোনো ভুল করে, তবে কখনই বলবেন না- তোমাকে বিয়ে করা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। ঝগড়ার সময় এ ধরনের কথাগুলোই সম্পর্ক আরও তিক্ত করে তুলতে পারে।
খাওয়া নিয়ে কোনো কথা নয়: না বুঝে বা বুঝেই স্ত্রীর খাবার খাওয়া নিয়ে স্বামী দু-চারটা কথা বলেন অনেক সময়। সাধারণ আদব কেতার মধ্যে এটি পড়ে। কোনো মানুষকে তাঁর খাওয়ার বিষয়ে কিছু বলা উচিত নয়। কেউ বেশি খান, কেউ কম একেক জনের খাদ্যাভ্যাস একেক রকম। সেটা মাথায় রাখতে হবে। স্ত্রীর প্রতি সচেতন থাকলে বুঝিয়ে খুবই বিনয়ের সঙ্গে বলবেন। কোনোভাবেই যেন ব্যঙ্গ না হয়।
সুন্দর করে সাজতে পারো না: এ ধরনের কথা স্ত্রীকে কখনোই বলবেন না। কারণ এতে করে সে মনে কষ্ট পায়। তাকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন।
আমার মায়ের মতো করো: ধরেন, একদিন শখ করে স্ত্রী ইলিশ মাছ রান্না করলেন। খেতে খেতে আপনি বললেন, আমার মায়ের মতো হয়নি। মায়ের কাছ থেকে শিখে নিয়ো। সাধারণত স্ত্রীরা এ ধরনের কথা মেনে নিতে পারেন না। শাশুড়ির সঙ্গে নিজের তুলনা করলে গুরুত্ব কমে যাচ্ছে কি না, এ ধরনের একটা জটিলতা তৈরি হয় তাঁর মধ্যে। তাই স্বামীকে মনে রাখতে হবে, যাঁর প্রশংসা তাঁর সামনে তাঁকে করুন। কাউকে ছোট করে নয়।
সারা দিন কী করছো, কিছু তো করতে পারো না: অনেক স্বামীর মুখে এ ধরনের কথা শোনা যায়। গৃহিণী তো বটেই, নিস্তার মেলে না কর্মজীবী নারীরও। সহযোগিতা না করে ঘরে ফিরে কোনো কোনো স্বামী বলেন, অন্যের বউ সবই সামলায়। তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না। তোমার মায়ের মতো হয়েছ।
এগুলো বলা মানে হলো, আপনার মনমানসিকতা কতটা নিচু, তার প্রকাশ করে।
নিউজ লাইট ৭১