ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এই নির্বাচনকে ‘ক্যাশ’ করে রাজনীতিবিদ হওয়ার চেষ্টা করা বৃথা : শাকিব খান

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:১৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৯
  • / 135

এবারের নির্বাচন উৎসব মুখর পরিবেশে হবার কথা ছিল কিন্তু সেটা হয় নি। এর কারণ অধিকতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। শুধু তাই নয় বললেন,  এই নির্বাচনকে ‘ক্যাশ করে’ কিছু মানুষ দেশবাসীর নিকট নিজেদের চেহারা পরিচিত করার চেষ্টা করছে। যার পেছনে রাজনীতিবিদ হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছা রয়েছে ইঙ্গিত করে শাকিব বললেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে আসলে রাজনীতিবিদ হওয়ার চেষ্টা করাটাই বৃথা।’ 

কড়া পুলিশি নিরাপত্তার প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘প্রশাসনের এতো চাপ এতো চাপ যে এটা জাতীয় নির্বাচনকেও হার মানিয়েছে। এতো সেফটি সিকিউরিটি এতো কিছু, আমাদের শিল্পী সমিতির নির্বাচন সবাই দেখেছিল, আমাদের সেই নির্বাচনগুলো ছিল উৎসব মুখর। আমি খবর দেখলাম সোহেলরানা সাহেবকে ঢুকতে প্রবলেম করতেছে, তার সাথে যারা আসতেছে তাকে ঢুকতে প্রবলেম করতেছে। এই তো বছরের অর্জন, এই ইলেকশন দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির আমূল পরিবর্তন হয়ে যাবে? কিছুই হবে না, এই এসোশিয়েশনের মূল্যায়নই বাঁ কতটুকু?’

প্রযোজক সমিতির লবিতে দাঁড়িয়ে শুক্রবার গণমাধ্যমের সাথে এসব কথা বলেন এ সময়ের জনপ্রিয় এই শীর্ষ নায়ক। সাংবাদিকদের সাথে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন তিনি। এ সময় শাকিব এই নির্বাচনের উদ্দেশ্য লক্ষ্য ও কিছু ‘সুযোগ সন্ধানী’ মানুষের প্রসঙ্গ টেনে আনেন।

শাকিব বলেন, ‘এখানে যারা নির্বাচিত হয়ে আসে তারা নিজেদের মধ্যে কেউ যদি কখনো বিপদে আপদে পাশে এসে দাঁড়ায়, এইতো। বড় ধরনের সাহায্য সহযোগিতা তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই করছে। সংগঠনের নির্বাচনগুলো হয় মূলত যারা আর্থিক অনটনে আছে তাদের পাশে দাঁড়ানো, একত্র ভথাকার জন্য। এফডিসি কেন্দ্রিক ইলেকশন  উৎসবমুখর হয়। এই নিয়ে দুবার দেখলাম, এবার দেখলাম এর আগের বার দেখেছি। আমার মনে হয় এমন থাকলে ইলেকশন উৎসবমুখর থাকবে না।’

শাকিব বলেন, ‘এখানে দুই বছর পরপর নির্বাচন হয়। অনেকেই আসেন, অনেক নতুন, অনেক পুরনো শিল্পী আসেন। একটা গেট টুগেদার হয়। সবার সাথে সবার দেখা হয়, একটা হইচই হয় , আনন্দফূর্তি হয়। এটা তো এমন কোনো নির্বাচন নয়, এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হয়ে যায়নি যে এতো প্রশাসনের চাপ থাকবে। গত বছরও দেখেছি এফডিসিতে লম্বা লাইন, লাইন ধরে মানুষজন ঢুকছে। শর্ত দেওয়া হচ্ছে আপনার পাশে কে? তাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না, এইবারও সেইম দেখলাম।  আরে আমার এফডিসি এটা।  আমি কাকে জবাবদিহী করতে যাবো। এটা আমার ঘর, আমার সাথে যিনি রয়েছেন তিনিও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।’  

এফডিসিকে সৃজনশীলতা চর্চার স্থান উল্লেখ করে শাকিব বলেন, ‘এফডিসি শিল্প চর্চার স্থান এখানে কবিতা আবৃত্তি হবে, গান হবে, গল্প হবে। এখানে শিল্পের চর্চা হবে। শিল্পের সবচেয়ে বড় মাধ্যম এটা। এখানে রাজনীতি চর্চা কেন হবে, এটা তো রাজনৈতিক অঙ্গন নয়। রাজনীতি করার জায়গা আছে তো, রাজনীতি করার লোক আছে। এখানে কেউ রাজনৈতিক নেতা হতে আসে না। আখানে আসে শিল্পীরা। সব জায়গায় রাজনীতি হয় না। এখানে সুন্দর গানের কথা হবে সুন্দর গল্পের কথা হবে। এখন তো গান গল্পের কথা হয় না। এখন শুধু পলিটিকসের কথাই হয়। এখানে এখন মারামারি কাটাকাটি এই সেই গত দুই বছর ধরে এসবই হচ্ছে।’ 

আপনি কেন ভোট দিতে এসেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে শাকিব বলেন, ‘আমি নিজেকে মনে করি যে আমি চলচ্চিত্রের লোক। এই সংগঠনের আমি দুই বছর প্রেসিডেন্ট ছিলাম। বহু শিল্পীরাই আছে, অনেক ভাই আছে, অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীরা আছে যারা  যারা মুখিয়ে থাকে তারা বলে ভাই আপনি না আসলে ভোট দিতে যাবো না কিংবা বলে ভাই এটা এমন হচ্ছে ওরকম হচ্ছে কমপ্লেইনের কিছু জায়গা তো থাকে। সিনিয়রদের মধ্যে অনেককেই তো অনেক সময় পায় না। ধরেন এক সময় রাজ্জাক আঙ্কেল ছিলেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ধরেন ফারুক ভাই আছেন, কিন্তু এখন উনি ব্যস্ত, আলমগীর সাহেব আছেন। যাকেই পায় সিনিয়র লেভেলের কমপ্লেনগুলো জানায়। অনেকেই বলেন আসেন এই হচ্ছে, ওই হচ্ছে। বিষয়টা আপনি দেখেন- এজন্যই আমাদের আসা।’

যেহেতু ভোট দিয়েছেন সেহেতু প্রত্যাশা তো থাকবেই, নির্বাচিত কমিটির কাছে প্রত্যাশা কী? প্রশ্নের জবাবে শাকিব সেই পূর্বের কথাগুলোই বললেন। বললেন, ‘এই সংগঠন দিয়ে আমূল পরিবর্তন সম্ভব না। চলচ্চিত্র নিয়ে আমাদের যদি কোনো দাবি থাকে তাহলে সেটা তো আমরা তথ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বলবো, মাননীইয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বলবো। কিন্তু এই নির্বাচন নিইয়ে এতো সিরিয়াস হবার কিছু নেই। তবে হ্যাঁ সবাই আগের মট সুন্দর করে, মিলেমিশে থাকুক এটাই চাই। যেই পাশ করে আসুক সবাই ভাই ভাই, কেউ রাজনীতিবিদ না, রাজনীতিবিদ হওয়ার চেষ্টা করাটাও বৃথা।’

অন্যান্য দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রসঙ্গে এনে শাকিব বলেন, ‘এটা অপ্রিয় হলেও সত্য। আমি দেশে-বিদেশে কাজ করেছি। সেখানে কিন্তু এসোশিয়েশন এতো সক্রিয় না। গোটা ভারতে একটাই সংগঠন ইমপা। আপনারা কি কখনো শুনেছেন হলিউডের শিল্পীরা পিকনিকে যায়, কিংবা বলিউডের শিল্পীরা? শাহরুখ খান কিংবা অমিতাভ বচ্চন ভোটে দাঁড়িয়েছেন শিল্পীরা ভোট দিতে যাচ্ছেন কখনো শুনেছেন? বলিউডের কোনো পিকনিক আছে? এসোশিয়েশনগুলো হয়েছে একটা আনন্দের জন্য, একটা পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য, নিজেদের উন্নয়নের জন্য সংগঠন করেছেন।’ 

শাকিব খান সাংবাদিকদের দায়ী করে বলেন, ‘গতবারও দেখেছি, এবারও দেখছি বাংলাদেশের যত টিভি ক্যামেরা আছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লাইভ করছে, যত প্রেস মিডিয়া আছে, এই সংবাদ প্রচার করছে। স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষের এই নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সবার কিউরিসিটি আছে, আর সেই অর্থে সারাক্ষণ টিভিতে দেখাচ্ছে। মনে হয় পুর দেশের মধ্যে একটা উৎসব চলছে। যার যার পছন্দের তারকারা এই হচ্ছে ওই হচ্ছে। সেখানে এই জায়গাটাকে ক্যাশ (সুযোগ কাজে লাগিয়ে) করে যেহেতু একটা দিন দেশের মানুষের দৃষ্টি একদিকে, সেহেতু কিছু নোংরা পলিটিকস ঢুকে গেছে। তারা এসে ইলেকশন করবে তারা এসে প্রার্থী হবে,ম তাদের ওপর দেশের মানুষের চোখ থাকবে দেশের মানুষ তাদের চিনবে। কাজে চিনুক আর না কাজে চিনুক- অকাজে তো ঠিকই দেখল।’

Tag :

শেয়ার করুন

এই নির্বাচনকে ‘ক্যাশ’ করে রাজনীতিবিদ হওয়ার চেষ্টা করা বৃথা : শাকিব খান

আপডেট টাইম : ১১:১৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

এবারের নির্বাচন উৎসব মুখর পরিবেশে হবার কথা ছিল কিন্তু সেটা হয় নি। এর কারণ অধিকতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। শুধু তাই নয় বললেন,  এই নির্বাচনকে ‘ক্যাশ করে’ কিছু মানুষ দেশবাসীর নিকট নিজেদের চেহারা পরিচিত করার চেষ্টা করছে। যার পেছনে রাজনীতিবিদ হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছা রয়েছে ইঙ্গিত করে শাকিব বললেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে আসলে রাজনীতিবিদ হওয়ার চেষ্টা করাটাই বৃথা।’ 

কড়া পুলিশি নিরাপত্তার প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘প্রশাসনের এতো চাপ এতো চাপ যে এটা জাতীয় নির্বাচনকেও হার মানিয়েছে। এতো সেফটি সিকিউরিটি এতো কিছু, আমাদের শিল্পী সমিতির নির্বাচন সবাই দেখেছিল, আমাদের সেই নির্বাচনগুলো ছিল উৎসব মুখর। আমি খবর দেখলাম সোহেলরানা সাহেবকে ঢুকতে প্রবলেম করতেছে, তার সাথে যারা আসতেছে তাকে ঢুকতে প্রবলেম করতেছে। এই তো বছরের অর্জন, এই ইলেকশন দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির আমূল পরিবর্তন হয়ে যাবে? কিছুই হবে না, এই এসোশিয়েশনের মূল্যায়নই বাঁ কতটুকু?’

প্রযোজক সমিতির লবিতে দাঁড়িয়ে শুক্রবার গণমাধ্যমের সাথে এসব কথা বলেন এ সময়ের জনপ্রিয় এই শীর্ষ নায়ক। সাংবাদিকদের সাথে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন তিনি। এ সময় শাকিব এই নির্বাচনের উদ্দেশ্য লক্ষ্য ও কিছু ‘সুযোগ সন্ধানী’ মানুষের প্রসঙ্গ টেনে আনেন।

শাকিব বলেন, ‘এখানে যারা নির্বাচিত হয়ে আসে তারা নিজেদের মধ্যে কেউ যদি কখনো বিপদে আপদে পাশে এসে দাঁড়ায়, এইতো। বড় ধরনের সাহায্য সহযোগিতা তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই করছে। সংগঠনের নির্বাচনগুলো হয় মূলত যারা আর্থিক অনটনে আছে তাদের পাশে দাঁড়ানো, একত্র ভথাকার জন্য। এফডিসি কেন্দ্রিক ইলেকশন  উৎসবমুখর হয়। এই নিয়ে দুবার দেখলাম, এবার দেখলাম এর আগের বার দেখেছি। আমার মনে হয় এমন থাকলে ইলেকশন উৎসবমুখর থাকবে না।’

শাকিব বলেন, ‘এখানে দুই বছর পরপর নির্বাচন হয়। অনেকেই আসেন, অনেক নতুন, অনেক পুরনো শিল্পী আসেন। একটা গেট টুগেদার হয়। সবার সাথে সবার দেখা হয়, একটা হইচই হয় , আনন্দফূর্তি হয়। এটা তো এমন কোনো নির্বাচন নয়, এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হয়ে যায়নি যে এতো প্রশাসনের চাপ থাকবে। গত বছরও দেখেছি এফডিসিতে লম্বা লাইন, লাইন ধরে মানুষজন ঢুকছে। শর্ত দেওয়া হচ্ছে আপনার পাশে কে? তাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না, এইবারও সেইম দেখলাম।  আরে আমার এফডিসি এটা।  আমি কাকে জবাবদিহী করতে যাবো। এটা আমার ঘর, আমার সাথে যিনি রয়েছেন তিনিও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।’  

এফডিসিকে সৃজনশীলতা চর্চার স্থান উল্লেখ করে শাকিব বলেন, ‘এফডিসি শিল্প চর্চার স্থান এখানে কবিতা আবৃত্তি হবে, গান হবে, গল্প হবে। এখানে শিল্পের চর্চা হবে। শিল্পের সবচেয়ে বড় মাধ্যম এটা। এখানে রাজনীতি চর্চা কেন হবে, এটা তো রাজনৈতিক অঙ্গন নয়। রাজনীতি করার জায়গা আছে তো, রাজনীতি করার লোক আছে। এখানে কেউ রাজনৈতিক নেতা হতে আসে না। আখানে আসে শিল্পীরা। সব জায়গায় রাজনীতি হয় না। এখানে সুন্দর গানের কথা হবে সুন্দর গল্পের কথা হবে। এখন তো গান গল্পের কথা হয় না। এখন শুধু পলিটিকসের কথাই হয়। এখানে এখন মারামারি কাটাকাটি এই সেই গত দুই বছর ধরে এসবই হচ্ছে।’ 

আপনি কেন ভোট দিতে এসেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে শাকিব বলেন, ‘আমি নিজেকে মনে করি যে আমি চলচ্চিত্রের লোক। এই সংগঠনের আমি দুই বছর প্রেসিডেন্ট ছিলাম। বহু শিল্পীরাই আছে, অনেক ভাই আছে, অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীরা আছে যারা  যারা মুখিয়ে থাকে তারা বলে ভাই আপনি না আসলে ভোট দিতে যাবো না কিংবা বলে ভাই এটা এমন হচ্ছে ওরকম হচ্ছে কমপ্লেইনের কিছু জায়গা তো থাকে। সিনিয়রদের মধ্যে অনেককেই তো অনেক সময় পায় না। ধরেন এক সময় রাজ্জাক আঙ্কেল ছিলেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ধরেন ফারুক ভাই আছেন, কিন্তু এখন উনি ব্যস্ত, আলমগীর সাহেব আছেন। যাকেই পায় সিনিয়র লেভেলের কমপ্লেনগুলো জানায়। অনেকেই বলেন আসেন এই হচ্ছে, ওই হচ্ছে। বিষয়টা আপনি দেখেন- এজন্যই আমাদের আসা।’

যেহেতু ভোট দিয়েছেন সেহেতু প্রত্যাশা তো থাকবেই, নির্বাচিত কমিটির কাছে প্রত্যাশা কী? প্রশ্নের জবাবে শাকিব সেই পূর্বের কথাগুলোই বললেন। বললেন, ‘এই সংগঠন দিয়ে আমূল পরিবর্তন সম্ভব না। চলচ্চিত্র নিয়ে আমাদের যদি কোনো দাবি থাকে তাহলে সেটা তো আমরা তথ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বলবো, মাননীইয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বলবো। কিন্তু এই নির্বাচন নিইয়ে এতো সিরিয়াস হবার কিছু নেই। তবে হ্যাঁ সবাই আগের মট সুন্দর করে, মিলেমিশে থাকুক এটাই চাই। যেই পাশ করে আসুক সবাই ভাই ভাই, কেউ রাজনীতিবিদ না, রাজনীতিবিদ হওয়ার চেষ্টা করাটাও বৃথা।’

অন্যান্য দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রসঙ্গে এনে শাকিব বলেন, ‘এটা অপ্রিয় হলেও সত্য। আমি দেশে-বিদেশে কাজ করেছি। সেখানে কিন্তু এসোশিয়েশন এতো সক্রিয় না। গোটা ভারতে একটাই সংগঠন ইমপা। আপনারা কি কখনো শুনেছেন হলিউডের শিল্পীরা পিকনিকে যায়, কিংবা বলিউডের শিল্পীরা? শাহরুখ খান কিংবা অমিতাভ বচ্চন ভোটে দাঁড়িয়েছেন শিল্পীরা ভোট দিতে যাচ্ছেন কখনো শুনেছেন? বলিউডের কোনো পিকনিক আছে? এসোশিয়েশনগুলো হয়েছে একটা আনন্দের জন্য, একটা পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য, নিজেদের উন্নয়নের জন্য সংগঠন করেছেন।’ 

শাকিব খান সাংবাদিকদের দায়ী করে বলেন, ‘গতবারও দেখেছি, এবারও দেখছি বাংলাদেশের যত টিভি ক্যামেরা আছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লাইভ করছে, যত প্রেস মিডিয়া আছে, এই সংবাদ প্রচার করছে। স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষের এই নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সবার কিউরিসিটি আছে, আর সেই অর্থে সারাক্ষণ টিভিতে দেখাচ্ছে। মনে হয় পুর দেশের মধ্যে একটা উৎসব চলছে। যার যার পছন্দের তারকারা এই হচ্ছে ওই হচ্ছে। সেখানে এই জায়গাটাকে ক্যাশ (সুযোগ কাজে লাগিয়ে) করে যেহেতু একটা দিন দেশের মানুষের দৃষ্টি একদিকে, সেহেতু কিছু নোংরা পলিটিকস ঢুকে গেছে। তারা এসে ইলেকশন করবে তারা এসে প্রার্থী হবে,ম তাদের ওপর দেশের মানুষের চোখ থাকবে দেশের মানুষ তাদের চিনবে। কাজে চিনুক আর না কাজে চিনুক- অকাজে তো ঠিকই দেখল।’