ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডা. মামুনের জামিন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০
  • / 77

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলায় গ্রেফতার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন রোববার (২২ নভেম্বর) জামিন পেয়েছেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম সোহেল জামিন আবেদন করেন। 

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর সকালে মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালের পাশে নিজ বাসার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই ডা. মামুনের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এএসপি আনিসুল মানসিক সমস্যায় ভোগায় গত ৯ নভেম্বর দুপুরে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন পরিবার।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, মাইন্ড এইড হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, ওয়ার্ড বয় সজীব চৌধুরী, তানিফ মোল্লা ও অসীম চন্দ্র পাল এবং কিচেন সেফ মাসুদ খান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এছাড়াও হাসপাতালের মালিক ফাতেমা খাতুন, সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, লিটন আহাম্মদ ও সাইফুল ইসলাম পলাশকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, পারিবারিক ঝামেলার কারণে আনিসুল মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। ঘটনার পর হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে তাকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, হাসপাতালে ঢোকার পরই আনিসুল করিমকে ৬ থেকে ৭ জন টেনে-হেঁচড়ে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। হাসাপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মাথার দিকে থাকা দুইজন হাতের কনুই দিয়ে আনিসুল করিমকে আঘাত করছিলেন। এ সময় একটি কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুল করিমের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর তাকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি।

এ ঘটনায় সেই দিন রাতে প্রথমে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। পরে আরও একজনকে আটক করা হয়।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

ডা. মামুনের জামিন

আপডেট টাইম : ০৬:০৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলায় গ্রেফতার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন রোববার (২২ নভেম্বর) জামিন পেয়েছেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম সোহেল জামিন আবেদন করেন। 

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর সকালে মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালের পাশে নিজ বাসার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই ডা. মামুনের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এএসপি আনিসুল মানসিক সমস্যায় ভোগায় গত ৯ নভেম্বর দুপুরে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন পরিবার।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, মাইন্ড এইড হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, ওয়ার্ড বয় সজীব চৌধুরী, তানিফ মোল্লা ও অসীম চন্দ্র পাল এবং কিচেন সেফ মাসুদ খান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এছাড়াও হাসপাতালের মালিক ফাতেমা খাতুন, সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, লিটন আহাম্মদ ও সাইফুল ইসলাম পলাশকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, পারিবারিক ঝামেলার কারণে আনিসুল মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। ঘটনার পর হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে তাকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, হাসপাতালে ঢোকার পরই আনিসুল করিমকে ৬ থেকে ৭ জন টেনে-হেঁচড়ে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। হাসাপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মাথার দিকে থাকা দুইজন হাতের কনুই দিয়ে আনিসুল করিমকে আঘাত করছিলেন। এ সময় একটি কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুল করিমের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর তাকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি।

এ ঘটনায় সেই দিন রাতে প্রথমে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। পরে আরও একজনকে আটক করা হয়।

নিউজ লাইট ৭১