ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোল্ডেন মনিরকে ১৪ দিনের রিমান্ড

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৬:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০
  • / 93

রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বিদেশি মুদ্রা রাখার অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে ১৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর ছিদ্দিক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এ সময় আসামি মনির আদালতে হাজির ছিলেন।

এর আগে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় মনিরের সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইয়াসীন মিয়া। এ সময় রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে  আদালত দুই মামলায়  সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে দুই মামলায় রিমান্ড একই সঙ্গে চলবে বলেও নির্দেশ দেন।

এর আগে, রোববার (২২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বাড্ডা থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে দুই মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বিদেশি মুদ্রা রাখার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। শুক্রবার রাতে মেরুল বাড্ডার ১৩ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাড়ির ঘেরাও করা হয়।  শনিবার সকালে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়। অভিযানের সময় মনিরের বাসা থেকে মাদক, অস্ত্র ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মনিরের বাসা থেকে ৫০১ ইউএস ডলার, ৫০০ চাইনিজ ইয়েন, ৫২০ রুপি, ১ হাজার সিঙ্গাপুরের ডলার, ২ লাখ ৮০ হাজার জাপানি ইয়েন, ৯২ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, ২০ হাজার ৫০০ সৌদি রিয়াল, হংকংয়ের ১০ ডলার, ১০ ইউএই দিরহাম উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৬৬০ থাই বাথ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মূল্যমান ৮ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৬ টাকা। তাছাড়া ৬০০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গোল্ডেন মনিরের বাসার নিচ থেকে দুটি প্রাডো গাড়ি পাওয়া গেছে। দুটি গাড়ির কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি মনির বা তার পরিবার। দুটির মধ্যে একটি প্রাডো গাড়ি মনির ব্যবহার করতেন, আর অন্যটি তার পরিবার ব্যবহার করতো। তাছাড়া অটোকার সিলেকশন থেকে মনিরের মালিকানাধীন তিনটি অবৈধ গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

গোল্ডেন মনিরকে ১৪ দিনের রিমান্ড

আপডেট টাইম : ০৫:১৬:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০

রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বিদেশি মুদ্রা রাখার অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে ১৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর ছিদ্দিক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এ সময় আসামি মনির আদালতে হাজির ছিলেন।

এর আগে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় মনিরের সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইয়াসীন মিয়া। এ সময় রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে  আদালত দুই মামলায়  সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে দুই মামলায় রিমান্ড একই সঙ্গে চলবে বলেও নির্দেশ দেন।

এর আগে, রোববার (২২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বাড্ডা থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে দুই মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বিদেশি মুদ্রা রাখার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। শুক্রবার রাতে মেরুল বাড্ডার ১৩ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাড়ির ঘেরাও করা হয়।  শনিবার সকালে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়। অভিযানের সময় মনিরের বাসা থেকে মাদক, অস্ত্র ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মনিরের বাসা থেকে ৫০১ ইউএস ডলার, ৫০০ চাইনিজ ইয়েন, ৫২০ রুপি, ১ হাজার সিঙ্গাপুরের ডলার, ২ লাখ ৮০ হাজার জাপানি ইয়েন, ৯২ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, ২০ হাজার ৫০০ সৌদি রিয়াল, হংকংয়ের ১০ ডলার, ১০ ইউএই দিরহাম উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৬৬০ থাই বাথ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মূল্যমান ৮ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৬ টাকা। তাছাড়া ৬০০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গোল্ডেন মনিরের বাসার নিচ থেকে দুটি প্রাডো গাড়ি পাওয়া গেছে। দুটি গাড়ির কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি মনির বা তার পরিবার। দুটির মধ্যে একটি প্রাডো গাড়ি মনির ব্যবহার করতেন, আর অন্যটি তার পরিবার ব্যবহার করতো। তাছাড়া অটোকার সিলেকশন থেকে মনিরের মালিকানাধীন তিনটি অবৈধ গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১