ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যার বাবা দেশ স্বাধীন করে দিলো,সেই ছোট্ট শিশু রাসেলকে এই ভাবে জীবন দিতে হলো

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০
  • / 109

নিউজ লাইট ৭১ঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, শিশু শেখ রাসেলকে নিয়ে কথা উঠলে, তাকে নিয়ে কিছু বলতে গেলে কষ্টে বুক ফেটে যায়। যার বাবা দেশ স্বাধীন করে দিলো, যার মা সব সময় দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতেন, সেই ছোট্ট শিশু রাসেলকে এই ভাবে জীবন দিতে হলো। মানুষ কত বড় পাষণ্ড হলে এতো ছোট্ট শিশুকে হত্যা করতে পারে। এটা খুবই বেদনাদায়ক। 

বুধবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে শেখ রাসেল স্মৃতি বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।  

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধে গিয়ে আমরা কেউ বেঁচে ফিরবো কি না, জানা ছিল না। কিন্তু সেদিন আমাদের স্বপ্ন ছিল, বাংলার প্রতিটি মানুষ ভালো থাকবে। এজন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে একধাপ পিছপা হয়নি। এজন্য আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বে আমরা নানা ঘাত-প্রতিঘাত পাড়ি দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম।  

স্বাধীনতার কথা মনে পড়লে ভীষণ কষ্ট হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এতো কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করলাম। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের কথা শুনলে কষ্ট লাগে। 

বিজ্ঞান প্রতিটি মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে ইয়াফেস ওসমান বলেন, বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান ছাড়া চলা অসম্ভব। প্রতিটি মুহূর্তে মানুষ বিজ্ঞান নিয়ে জীবন পরিচালনা করছেন। এই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর প্রতিটি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। তবুও আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।  

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মনীর চৌধুরী সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পরমানবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ  মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান সমিতির সহ সভাপতি মুনির হোসেন প্রমুখ।

Tag :

শেয়ার করুন

যার বাবা দেশ স্বাধীন করে দিলো,সেই ছোট্ট শিশু রাসেলকে এই ভাবে জীবন দিতে হলো

আপডেট টাইম : ০৪:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০

নিউজ লাইট ৭১ঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, শিশু শেখ রাসেলকে নিয়ে কথা উঠলে, তাকে নিয়ে কিছু বলতে গেলে কষ্টে বুক ফেটে যায়। যার বাবা দেশ স্বাধীন করে দিলো, যার মা সব সময় দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতেন, সেই ছোট্ট শিশু রাসেলকে এই ভাবে জীবন দিতে হলো। মানুষ কত বড় পাষণ্ড হলে এতো ছোট্ট শিশুকে হত্যা করতে পারে। এটা খুবই বেদনাদায়ক। 

বুধবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে শেখ রাসেল স্মৃতি বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।  

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধে গিয়ে আমরা কেউ বেঁচে ফিরবো কি না, জানা ছিল না। কিন্তু সেদিন আমাদের স্বপ্ন ছিল, বাংলার প্রতিটি মানুষ ভালো থাকবে। এজন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে একধাপ পিছপা হয়নি। এজন্য আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বে আমরা নানা ঘাত-প্রতিঘাত পাড়ি দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম।  

স্বাধীনতার কথা মনে পড়লে ভীষণ কষ্ট হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এতো কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করলাম। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের কথা শুনলে কষ্ট লাগে। 

বিজ্ঞান প্রতিটি মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে ইয়াফেস ওসমান বলেন, বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান ছাড়া চলা অসম্ভব। প্রতিটি মুহূর্তে মানুষ বিজ্ঞান নিয়ে জীবন পরিচালনা করছেন। এই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর প্রতিটি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। তবুও আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।  

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মনীর চৌধুরী সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পরমানবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ  মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান সমিতির সহ সভাপতি মুনির হোসেন প্রমুখ।