ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতকাল মানেই চুলের অবস্থা খারাপ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:৪০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
  • / 89

৭১: শীতকাল মানেই চুলের অবস্থা খারাপ। রুক্ষতা, খুশকি, চুল পড়া সব মিলিয়ে সব থেকে বাজে সময় চুলের জন্য। কিন্তু তাই বলে যত্ন না নিলেই নয়। এভাবে চুল তো নষ্ট হতে দেয়া যায় না। তাই মানতে হবে কয়েকটি সহজ নিয়ম। শীতকালে চুলকে যতটা সম্ভব রুক্ষ হওয়া থেকে বাঁচাতে হবে।

প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিনই কিছু পুরনো চুল ঝরে যায়, একই সঙ্গে নতুন চুল গজায়। কিন্তু এই চুল পড়াটাই অনেকের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, যখন তা অতিরিক্ত হয়।

কেমিক্যালের ব্যবহারে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। অনেক সময় কিছু অসুখের কারণেও চুল পড়া বাড়ে। চুল পড়া কমানোর কিছু উপায় প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টাইমস-

চুল পড়া বন্ধ বা চুলের যত্ন নিতে অবশ্যই তেল দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো নারিকেল তেল। নারিকেল তেল চুলকে মসৃণ ও স্বাস্থ্যবান করে। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে, যা যেকোনো ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের আক্রমণ থেকে চুলকে রক্ষা করে।

পেঁয়াজের রস এবং মেথি বাটা চুলে ব্যবহার করলেও ভালো ফল মিলতে পারে। পেঁয়াজ ও মেথির মধ্যে থাকা উপাদান চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় এবং চুলকে ভিতরে থেকে মজবুত করে। পেঁয়াজ ভালো করে বেটে ১ মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। এবার পেঁয়াজের রস মেশানো পানি মাথায় লাগিয়ে ভালো করে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

শ্যাম্পুতে বিটরুট নির্যাস, তেঁতুলের বীজ আছে কি না, লক্ষ্য রাখুন। এই উপাদানগুলো চুলের কোনো ক্ষতি না করে কার্যকরভাবে মাথার তালু পরিষ্কার করে। সরাসরি শুকনো চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। তেল দিয়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল কেবল উজ্জ্বলই হয় না, এটি চুলের গোড়াকে মজবুত করে ও চুলকে মসৃণ করে। তবে অবশ্যই চুলের ধরন বুঝে কন্ডিশনার বেছে নিতে হবে। বিটরুট নির্যাস, অ্যাকুয়া, প্রো ভিটামিন বি-৫ সমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।

গরম পানি মাথার তালুর গুরুতর ক্ষতি করে, এতে চুল পড়ে ও চুল দুর্বল হয়ে যায়। তাই চুলে কখনোই গরম পানি ব্যবহার করবেন না। খারাপ খাদ্যাভ্যাস চুল পড়ার অন্যতম কারণ। এজন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। ভিটামিন ই যুক্ত খাবার, সামুদ্রিক মাছ ডিম, দুধ চুলের জন্য খুবই উপকারী।

ঘৃতকুমারী, আমলকি, শিকাকাই, নিমের গুঁড়া একই পরিমাণে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে দিতে হবে। সপ্তাহে একবার এটির ব্যবহার চুল পড়া কমাবে। এছাড়া ডিম, মেথির গুঁড়া ও টক দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে দেওয়া যেতে পারে। সপ্তাহে দুদিন এই প্যাক ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত হয়।

Tag :

শেয়ার করুন

শীতকাল মানেই চুলের অবস্থা খারাপ

আপডেট টাইম : ০২:৪০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০

৭১: শীতকাল মানেই চুলের অবস্থা খারাপ। রুক্ষতা, খুশকি, চুল পড়া সব মিলিয়ে সব থেকে বাজে সময় চুলের জন্য। কিন্তু তাই বলে যত্ন না নিলেই নয়। এভাবে চুল তো নষ্ট হতে দেয়া যায় না। তাই মানতে হবে কয়েকটি সহজ নিয়ম। শীতকালে চুলকে যতটা সম্ভব রুক্ষ হওয়া থেকে বাঁচাতে হবে।

প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিনই কিছু পুরনো চুল ঝরে যায়, একই সঙ্গে নতুন চুল গজায়। কিন্তু এই চুল পড়াটাই অনেকের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, যখন তা অতিরিক্ত হয়।

কেমিক্যালের ব্যবহারে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। অনেক সময় কিছু অসুখের কারণেও চুল পড়া বাড়ে। চুল পড়া কমানোর কিছু উপায় প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টাইমস-

চুল পড়া বন্ধ বা চুলের যত্ন নিতে অবশ্যই তেল দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো নারিকেল তেল। নারিকেল তেল চুলকে মসৃণ ও স্বাস্থ্যবান করে। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে, যা যেকোনো ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের আক্রমণ থেকে চুলকে রক্ষা করে।

পেঁয়াজের রস এবং মেথি বাটা চুলে ব্যবহার করলেও ভালো ফল মিলতে পারে। পেঁয়াজ ও মেথির মধ্যে থাকা উপাদান চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় এবং চুলকে ভিতরে থেকে মজবুত করে। পেঁয়াজ ভালো করে বেটে ১ মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। এবার পেঁয়াজের রস মেশানো পানি মাথায় লাগিয়ে ভালো করে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

শ্যাম্পুতে বিটরুট নির্যাস, তেঁতুলের বীজ আছে কি না, লক্ষ্য রাখুন। এই উপাদানগুলো চুলের কোনো ক্ষতি না করে কার্যকরভাবে মাথার তালু পরিষ্কার করে। সরাসরি শুকনো চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। তেল দিয়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল কেবল উজ্জ্বলই হয় না, এটি চুলের গোড়াকে মজবুত করে ও চুলকে মসৃণ করে। তবে অবশ্যই চুলের ধরন বুঝে কন্ডিশনার বেছে নিতে হবে। বিটরুট নির্যাস, অ্যাকুয়া, প্রো ভিটামিন বি-৫ সমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।

গরম পানি মাথার তালুর গুরুতর ক্ষতি করে, এতে চুল পড়ে ও চুল দুর্বল হয়ে যায়। তাই চুলে কখনোই গরম পানি ব্যবহার করবেন না। খারাপ খাদ্যাভ্যাস চুল পড়ার অন্যতম কারণ। এজন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। ভিটামিন ই যুক্ত খাবার, সামুদ্রিক মাছ ডিম, দুধ চুলের জন্য খুবই উপকারী।

ঘৃতকুমারী, আমলকি, শিকাকাই, নিমের গুঁড়া একই পরিমাণে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে দিতে হবে। সপ্তাহে একবার এটির ব্যবহার চুল পড়া কমাবে। এছাড়া ডিম, মেথির গুঁড়া ও টক দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে দেওয়া যেতে পারে। সপ্তাহে দুদিন এই প্যাক ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত হয়।