ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘চ্যালেঞ্জ’ টি-টোয়েন্টি।

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০
  • / 75

৭১: ক্রিকেটকে মাঠে ফেরানোর প্রথম চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কোনো জুট ঝামেলা ছাড়াই বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ সম্পন্ন হয়েছে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোনো খেলোয়াড় করোনা আক্রান্ত হননি। এটি ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট কর্তাদের জন্য বিশাল প্রাপ্তি। করোনাকালেও যে বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলা চালানো সম্ভব এটি যেন তারই উদাহরণ হয়ে উঠেছে। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে ক্রিকেট মাঠে নামানোটা যেমন প্রাপ্তি তেমনি হতাশাও রয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কণ্ঠেই প্রকাশ পেয়েছে সেই হতাশা। আর তা হচ্ছে সম্পন্ন হওয়া টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স।

পাপন বলেন, ‘নিয়মিত যেসব খেলোয়াড়দের কাছে আমরা রান আশা করেছিলাম সেটা হয়নি। অবশ্য হয়নি হয়নি করেও মুশফিক তো করেছে। লিটন শেষ ম্যাচে গিয়ে রান পেয়েছে, ছন্দে ফিরেছে। ইতিবাচক দিক হলো নতুন অনেকে ভালো করছে। এজন্য আমি কিছু পুরস্কার যুক্ত করেছি। যারা পুরস্কার পেয়েছে তাদের বাইরেও কিছু খেলোয়াড় আছে যাদের আমাদের পুরস্কৃত করা উচিত।’

নতুন খেলোয়াড়ের সন্ধান মেলায় বোর্ড সভাপতি বেজায় খুশি। তিনি জানান, ‘এখন আর খেলোয়াড় নেই তা বলতে পারব না। নির্বাচকরা এখন দল কীভাবে বানায় সেটাই ভাবছিলাম। পেস বোলিং আমাদের বড় দুর্বলতা ছিল। এই প্রথম একটা টুর্নামেন্ট দেখলাম যেখানে পেসাররা ভালো করেছে।’

বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন করোনাকালের এই চ্যালেঞ্জ শেষে নতুন চ্যালেঞ্জের ভাবনায় রয়েছেন। আর তা হচ্ছে পাঁচ দল নিয়ে আয়োজন করতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি লিগ। তিনি জানান, মাঠে ক্রিকেট ফেরানো চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন নতুন চ্যালেঞ্জ আসন্ন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।

এ নিয়ে বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘পরের ধাপ যেটা- আমরা একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করতে চাইছি। এটা ছিল তিন দলের, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে পাঁচ দলের। এখন পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত হল স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়েই এটা আয়োজন করার। পাঁচ দল নিয়ে করায় আরও বেশ কিছু ছেলে খেলার সুযোগ পাবে, আরও প্রায় ৩০ জন খেলায় আসবে। এটা চ্যালেঞ্জিং হবে। অনেকেই বলেছে তিন দল করতেই তো জান শেষ। এটা কঠিন, কিন্তু আমরা এই চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছি।’

এটা ঠিক বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ আয়োজনে সবসময় তটস্থ থাকতে হয়েছে বোর্ডকে। শেষপর্যন্ত সফলভাবে টুর্নামেন্ট সম্পন্ন করায় সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পাপন। তবে এই টুর্নামেন্ট দিয়ে আগামী দিনের ক্রিকেটের জন্য মানসিকভাবে ক্রিকেটাররা প্রস্তুত হতে পেরেছেন বলে আশাবাদ তার।

পাপনের মতে, ‘সবসময় মনের ভিতর ভয় ছিল যে এই টুর্নামেন্ট হতে গিয়ে যদি কোনো ছেলে আক্রান্ত হয়- তখন কী হবে, দায়দায়িত্ব কে নেবে! এজন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখার চেষ্টা করেছি, বায়োবাবল মেনে চলেছি। এর উদ্দেশ্য হলোÑআমাদের এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আনতে পারব কিনা, আমরা গিয়ে বাইরে খেলতে পারব কিনা, কারণ সব দেশে একইকম নিয়ম থাকবে। ওদের খাপ খাওয়ানোর জন্যই এটা করেছি। খেলোয়াড়রা কষ্ট করেছে। কারণ হোটেলের ফ্লোর থেকেই তো এরা বের হতে পারত না। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সবাই। সবকিছুর জন্য পুরো ম্যানজেমেন্টকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’

বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫ নভেম্বরই শুরু হবে পঞ্চদলীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। তবে তা বিসিবির তত্ত্বাবধানে হবে নাকি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষণে, সেই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ মুহূর্তে এই টুর্নামেন্টে বিদেশি খেলোয়াড় আনার পরিকল্পনা নেই বোর্ডের।

Tag :

শেয়ার করুন

‘চ্যালেঞ্জ’ টি-টোয়েন্টি।

আপডেট টাইম : ০৫:১৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০

৭১: ক্রিকেটকে মাঠে ফেরানোর প্রথম চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কোনো জুট ঝামেলা ছাড়াই বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ সম্পন্ন হয়েছে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোনো খেলোয়াড় করোনা আক্রান্ত হননি। এটি ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট কর্তাদের জন্য বিশাল প্রাপ্তি। করোনাকালেও যে বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলা চালানো সম্ভব এটি যেন তারই উদাহরণ হয়ে উঠেছে। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে ক্রিকেট মাঠে নামানোটা যেমন প্রাপ্তি তেমনি হতাশাও রয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কণ্ঠেই প্রকাশ পেয়েছে সেই হতাশা। আর তা হচ্ছে সম্পন্ন হওয়া টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স।

পাপন বলেন, ‘নিয়মিত যেসব খেলোয়াড়দের কাছে আমরা রান আশা করেছিলাম সেটা হয়নি। অবশ্য হয়নি হয়নি করেও মুশফিক তো করেছে। লিটন শেষ ম্যাচে গিয়ে রান পেয়েছে, ছন্দে ফিরেছে। ইতিবাচক দিক হলো নতুন অনেকে ভালো করছে। এজন্য আমি কিছু পুরস্কার যুক্ত করেছি। যারা পুরস্কার পেয়েছে তাদের বাইরেও কিছু খেলোয়াড় আছে যাদের আমাদের পুরস্কৃত করা উচিত।’

নতুন খেলোয়াড়ের সন্ধান মেলায় বোর্ড সভাপতি বেজায় খুশি। তিনি জানান, ‘এখন আর খেলোয়াড় নেই তা বলতে পারব না। নির্বাচকরা এখন দল কীভাবে বানায় সেটাই ভাবছিলাম। পেস বোলিং আমাদের বড় দুর্বলতা ছিল। এই প্রথম একটা টুর্নামেন্ট দেখলাম যেখানে পেসাররা ভালো করেছে।’

বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন করোনাকালের এই চ্যালেঞ্জ শেষে নতুন চ্যালেঞ্জের ভাবনায় রয়েছেন। আর তা হচ্ছে পাঁচ দল নিয়ে আয়োজন করতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি লিগ। তিনি জানান, মাঠে ক্রিকেট ফেরানো চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন নতুন চ্যালেঞ্জ আসন্ন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।

এ নিয়ে বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘পরের ধাপ যেটা- আমরা একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করতে চাইছি। এটা ছিল তিন দলের, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে পাঁচ দলের। এখন পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত হল স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়েই এটা আয়োজন করার। পাঁচ দল নিয়ে করায় আরও বেশ কিছু ছেলে খেলার সুযোগ পাবে, আরও প্রায় ৩০ জন খেলায় আসবে। এটা চ্যালেঞ্জিং হবে। অনেকেই বলেছে তিন দল করতেই তো জান শেষ। এটা কঠিন, কিন্তু আমরা এই চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছি।’

এটা ঠিক বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ আয়োজনে সবসময় তটস্থ থাকতে হয়েছে বোর্ডকে। শেষপর্যন্ত সফলভাবে টুর্নামেন্ট সম্পন্ন করায় সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পাপন। তবে এই টুর্নামেন্ট দিয়ে আগামী দিনের ক্রিকেটের জন্য মানসিকভাবে ক্রিকেটাররা প্রস্তুত হতে পেরেছেন বলে আশাবাদ তার।

পাপনের মতে, ‘সবসময় মনের ভিতর ভয় ছিল যে এই টুর্নামেন্ট হতে গিয়ে যদি কোনো ছেলে আক্রান্ত হয়- তখন কী হবে, দায়দায়িত্ব কে নেবে! এজন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখার চেষ্টা করেছি, বায়োবাবল মেনে চলেছি। এর উদ্দেশ্য হলোÑআমাদের এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আনতে পারব কিনা, আমরা গিয়ে বাইরে খেলতে পারব কিনা, কারণ সব দেশে একইকম নিয়ম থাকবে। ওদের খাপ খাওয়ানোর জন্যই এটা করেছি। খেলোয়াড়রা কষ্ট করেছে। কারণ হোটেলের ফ্লোর থেকেই তো এরা বের হতে পারত না। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সবাই। সবকিছুর জন্য পুরো ম্যানজেমেন্টকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’

বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫ নভেম্বরই শুরু হবে পঞ্চদলীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। তবে তা বিসিবির তত্ত্বাবধানে হবে নাকি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষণে, সেই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ মুহূর্তে এই টুর্নামেন্টে বিদেশি খেলোয়াড় আনার পরিকল্পনা নেই বোর্ডের।