ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমছে না পেঁয়াজ সবজির দাম

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯
  • / 131

কোনোভাবেই কমছে না পেঁয়াজের দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আর ভারতের পেঁয়াজ ৮৫ টাকা। সরবরাহ বেড়েছে শীতকালীন সবজির। যদিও দাম কিছুটা চড়া। এছাড়া সব ধরনের মাছ ও মসলার দামও বেড়েছে। পেঁয়াজ নিয়ে ভোগান্তি কমছেই না ভোক্তাদের। সরবরাহ বাড়ার পরও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বাতাসে শীতের আমেজ। তাই বাজারে সরবরাহ বাড়ছে শীতকালীন সবজির। ফুলকপি, টমেটো, শিমসহ প্রায় সব ধরনের সবজিই মিলছে কিছুটা চড়া দামে। তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, দাম আগের মতোই আছে।
এদিকে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে বেড়েছে জিরা, দারচিনিসহ অন্যান্য মসলার দাম। মসুর ও মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকা বেশি দরে। বাজারে সব ধরনের চাল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। পোলাওয়ের চালের দাম কমেছে পাঁচ টাকা। আগের সপ্তাহের বাড়তি দামে খাসি ও ছাগলের মাংস বিক্রি হলেও গরুর মাংস আছে আগের মতো। তবে ক্রেতাদের জন্য সুখবর হলো, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে কমেছে ১৬ টাকা।
এদিকে ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে খোলা এলসির ৫শ টন পেঁয়াজ ভারতে এখনও আটকে আছে বলে হিলির আমদানিকারকরা জানিয়েছেন। এছাড়া ২৯ সেপ্টেম্বর খোলা এলসির আরও সাড়ে ৩ হাজার টন পেঁয়াজের বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্য বাড়ার কারণে ২৯ সেপ্টেম্বর বিকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এতে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আটকে পড়ে। এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকের পর পুরনো এলসির ১ হাজার টন পেঁয়াজ ৪ অক্টোবর দেশে আসে। বাকি ৫শ টন পেঁয়াজ এখনও আটকে আছে।’ হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও শহীদ উদ্দিন বলেন, ভারত সরকার ২৯ সেপ্টেম্বর বিকালে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। সেদিনই প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টনের মতো পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। ভারতীয় রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, সেই সাড়ে ৩ হাজার টন পেঁয়াজের এলসির বিষয় নিয়ে ভারতের আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার রায়ের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশীদ বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি শেষে ১২ অক্টোবর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হলেও এখন পর্যন্ত তারা কোনো পেঁয়াজ রফতানি করেনি।’
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় তিন হাজার বস্তা পেঁয়াজ পচে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, খালাসে দেরি হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বন্দর কর্তৃপ বলছে, বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে ব্যবসায়ীরা কৌশল অবলম্বন করছেন।

Tag :

শেয়ার করুন

কমছে না পেঁয়াজ সবজির দাম

আপডেট টাইম : ০৯:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

কোনোভাবেই কমছে না পেঁয়াজের দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আর ভারতের পেঁয়াজ ৮৫ টাকা। সরবরাহ বেড়েছে শীতকালীন সবজির। যদিও দাম কিছুটা চড়া। এছাড়া সব ধরনের মাছ ও মসলার দামও বেড়েছে। পেঁয়াজ নিয়ে ভোগান্তি কমছেই না ভোক্তাদের। সরবরাহ বাড়ার পরও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বাতাসে শীতের আমেজ। তাই বাজারে সরবরাহ বাড়ছে শীতকালীন সবজির। ফুলকপি, টমেটো, শিমসহ প্রায় সব ধরনের সবজিই মিলছে কিছুটা চড়া দামে। তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, দাম আগের মতোই আছে।
এদিকে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে বেড়েছে জিরা, দারচিনিসহ অন্যান্য মসলার দাম। মসুর ও মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকা বেশি দরে। বাজারে সব ধরনের চাল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। পোলাওয়ের চালের দাম কমেছে পাঁচ টাকা। আগের সপ্তাহের বাড়তি দামে খাসি ও ছাগলের মাংস বিক্রি হলেও গরুর মাংস আছে আগের মতো। তবে ক্রেতাদের জন্য সুখবর হলো, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে কমেছে ১৬ টাকা।
এদিকে ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে খোলা এলসির ৫শ টন পেঁয়াজ ভারতে এখনও আটকে আছে বলে হিলির আমদানিকারকরা জানিয়েছেন। এছাড়া ২৯ সেপ্টেম্বর খোলা এলসির আরও সাড়ে ৩ হাজার টন পেঁয়াজের বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্য বাড়ার কারণে ২৯ সেপ্টেম্বর বিকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এতে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আটকে পড়ে। এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকের পর পুরনো এলসির ১ হাজার টন পেঁয়াজ ৪ অক্টোবর দেশে আসে। বাকি ৫শ টন পেঁয়াজ এখনও আটকে আছে।’ হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও শহীদ উদ্দিন বলেন, ভারত সরকার ২৯ সেপ্টেম্বর বিকালে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। সেদিনই প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টনের মতো পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। ভারতীয় রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, সেই সাড়ে ৩ হাজার টন পেঁয়াজের এলসির বিষয় নিয়ে ভারতের আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার রায়ের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশীদ বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি শেষে ১২ অক্টোবর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হলেও এখন পর্যন্ত তারা কোনো পেঁয়াজ রফতানি করেনি।’
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় তিন হাজার বস্তা পেঁয়াজ পচে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, খালাসে দেরি হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বন্দর কর্তৃপ বলছে, বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে ব্যবসায়ীরা কৌশল অবলম্বন করছেন।