ধর্ষণের এক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে মামলার বাদীর বিয়ে
- আপডেট টাইম : ০৫:৪৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০
- / 87
৭১: বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের এক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে মামলার বাদীর বিয়ের আয়োজন করতে কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
কারা ফটকেই এ বিয়ের আয়োজন করতে রাজশাহী কারাগারের তত্ত্বাধায়ককে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আসামি দিলীপ খালকোর জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
উভয়পক্ষের সম্মতিতে আদালত এ আদেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
ভুক্তভোগীর পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন দাখিল করেন আইনজীবী এস এম শাহেদ চৌধুরী।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দিলীপ খালকোর সঙ্গে তার এক কাজিনের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েটির সঙ্গে তার দৈহিক সম্পর্ক তৈরি হয়।
২০১১ সালে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিন্তু দিলীপ বিয়ে করতে রাজি হননি। গ্রাম্য সালিশ হলেও তিনি সিদ্ধান্তে অনঢ় ছিলেন। এর মধ্যে মেয়েটি বাচ্চাও প্রসব করে।
ওই বছরের ২৫ অক্টোবর গোদাগাড়ী থানায় খালকোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন মেয়েটি। ২০১২ সালের ১২ জুন রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
ওই আদেশে বলা হয়, দুই জনের সন্তান তার মায়ের স্বজনদের তত্ত্বাবধানে থাকবে। তার বাবার নাম হবে দিলীপ খালকো।
রায়ে বলা হয়, যখন শারীরিক সম্পর্ক হয়, তখন মেয়েটির বয়স ছিল ১৪ বছর।
আইন অনুযায়ী, অপ্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে যে কোনো যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ।
রায়ের পর থেকে দিলীপ কারাবন্দি। জামিন পেতে তিনি আবেদন করেন হাইকোর্টে। এতে বলা হয়, তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি।
বিষয়টি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে কারা তত্ত্ববধায়ককে বিয়ের আয়োজন করতে বলেন।
এই বিয়ের পর ৩০ দিনের মধ্যে লিখিত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তবেই আসামির জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করবে আদালত।