ঢাকা ০১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন রুবেল হোসেন।

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০১:৪০:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
  • / 71

৭১: দুর্দান্ত বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন রুবেল হোসেন। আগের দুই ম্যাচে তিনটি করে উইকেটের পর এবার তার শিকার চারটি। প্রেসিডেন্ট’স কাপে প্রথমবার খেলতে নেমে দলের বিপর্যয়ে লড়িয়ে ফিফটি উপহার দিলেন ইয়াসির আলি চৌধুরি ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

এই টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচে সোমবার তামিম ইকবাল একাদশ ৫০ ওভারে করেছে আট উইকেটে ২২১ রান। ফাইনাল খেলতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে মাহমুদউল্লাহ একাদশকে।

উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামেন তামিমরা। টুর্নামেন্টের পাঁচ ম্যাচে প্রথমবার টস জিতে ব্যাটিং নিল কোনো দল। কিন্তু একের পর এক আত্মঘাতী শটে সেই সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলেন তারা। একেকজন যেনো প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন, কে কতটা বাজে শট খেলতে পারেন। দুই তামিমের জুটি আগের দুই ম্যাচে টিকতে পারেনি দুই ওভারও।

এই ম্যাচে দুই ওভার টিকে তৃতীয় ওভারেই শেষ। রুবেলের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলে তানজিদ তামিম তুলে দেন স্লিপে নাঈম শেখের হাতে। তামিম ইকবাল যে বলে আউট হলেন, আবু হায়দারের সেই ডেলিভারি না খেললে হয়তো ওয়াইড হতো। অনেক কষ্টে বলে ব্যাট ছুঁইয়ে তামিম ক্যাচ দেন পয়েন্টে। এনামুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুনও একই পথের পথিক। রুবেলের বেশ বাইরের বল শর্ট কাভারে তুলে দেন এনামুল, কিপারের গ্লাভসে মিঠুন।

সেই বিপর্যয় থেকে ইয়াসির ও অঙ্কনের জুটি উদ্ধার করে দলকে। আবু হায়দারের বলে দারুণ এক অন ড্রাইভে চার মেরে শুরু করেন ইয়াসির। এরপর রান পেতে ভুগেছেন অনেকক্ষণ। কিন্তু হাল না ছেড়ে লড়ে গেছেন।

শুরুতে টাইমিং ঠিকঠাক না হলেও লড়াই করে গেছেন অঙ্কনও। সময়ের সঙ্গে থিতু হয়ে এক-দুই করে রান নিতে শুরু করেন দুজন। সুযোগ পেলে খেলেন বড় শট। মেহেদী হাসান মিরাজকে লং অন ও লং অফ দিয়ে দুটি ছক্কায় ওড়ান অঙ্কন, মাহমুদউল্লাহকে ওয়াইড লং অন দিয়ে ইয়াসির।

ফিফটির পর ইয়াসির রানের গতি বাড়াতে শুরু করেছিলেন আরও। দৃষ্টিনন্দন দুটি ইনসাইড আউটে বাউন্ডারিও মারেন। বড় কিছুর জন্য যখন তাকে মনে হচ্ছিল তৈরি, তখনই রান আউট হয়ে যান ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নিতে গিয়ে। অঙ্কন ফিফটি স্পর্শ করেন ১০৩ বলে। রান-বলের ওই ব্যবধান আর পরে কমাতে পারেননি তিনি। রুবেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন স্কয়ার লেগে।

মোসাদ্দেক হোসেন ও সাইফ উদ্দিনের জন্য তখন ঝড় তোলার মঞ্চ প্রস্তুত। কিন্তু ছন্দ পেতে একটু সময় নেন দুজনই। সাইফ পরে দুর্দান্ত কিছু শট খেলেন, ইবাদতকে ছক্কায় ওড়ান পুল শটে। শেষ দুই ওভারে গিয়ে দ্রুত রান বাড়ান মোসাদ্দেক।

ইবাদতের করা শেষ ওভারে আউট হন দুজনই। ২৯ বলে ৩৮ করেন সাইফ, ৩৯ বলে ৪০ মোসাদ্দেক।

Tag :

শেয়ার করুন

বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন রুবেল হোসেন।

আপডেট টাইম : ০১:৪০:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০

৭১: দুর্দান্ত বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন রুবেল হোসেন। আগের দুই ম্যাচে তিনটি করে উইকেটের পর এবার তার শিকার চারটি। প্রেসিডেন্ট’স কাপে প্রথমবার খেলতে নেমে দলের বিপর্যয়ে লড়িয়ে ফিফটি উপহার দিলেন ইয়াসির আলি চৌধুরি ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

এই টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচে সোমবার তামিম ইকবাল একাদশ ৫০ ওভারে করেছে আট উইকেটে ২২১ রান। ফাইনাল খেলতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে মাহমুদউল্লাহ একাদশকে।

উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামেন তামিমরা। টুর্নামেন্টের পাঁচ ম্যাচে প্রথমবার টস জিতে ব্যাটিং নিল কোনো দল। কিন্তু একের পর এক আত্মঘাতী শটে সেই সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলেন তারা। একেকজন যেনো প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন, কে কতটা বাজে শট খেলতে পারেন। দুই তামিমের জুটি আগের দুই ম্যাচে টিকতে পারেনি দুই ওভারও।

এই ম্যাচে দুই ওভার টিকে তৃতীয় ওভারেই শেষ। রুবেলের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলে তানজিদ তামিম তুলে দেন স্লিপে নাঈম শেখের হাতে। তামিম ইকবাল যে বলে আউট হলেন, আবু হায়দারের সেই ডেলিভারি না খেললে হয়তো ওয়াইড হতো। অনেক কষ্টে বলে ব্যাট ছুঁইয়ে তামিম ক্যাচ দেন পয়েন্টে। এনামুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুনও একই পথের পথিক। রুবেলের বেশ বাইরের বল শর্ট কাভারে তুলে দেন এনামুল, কিপারের গ্লাভসে মিঠুন।

সেই বিপর্যয় থেকে ইয়াসির ও অঙ্কনের জুটি উদ্ধার করে দলকে। আবু হায়দারের বলে দারুণ এক অন ড্রাইভে চার মেরে শুরু করেন ইয়াসির। এরপর রান পেতে ভুগেছেন অনেকক্ষণ। কিন্তু হাল না ছেড়ে লড়ে গেছেন।

শুরুতে টাইমিং ঠিকঠাক না হলেও লড়াই করে গেছেন অঙ্কনও। সময়ের সঙ্গে থিতু হয়ে এক-দুই করে রান নিতে শুরু করেন দুজন। সুযোগ পেলে খেলেন বড় শট। মেহেদী হাসান মিরাজকে লং অন ও লং অফ দিয়ে দুটি ছক্কায় ওড়ান অঙ্কন, মাহমুদউল্লাহকে ওয়াইড লং অন দিয়ে ইয়াসির।

ফিফটির পর ইয়াসির রানের গতি বাড়াতে শুরু করেছিলেন আরও। দৃষ্টিনন্দন দুটি ইনসাইড আউটে বাউন্ডারিও মারেন। বড় কিছুর জন্য যখন তাকে মনে হচ্ছিল তৈরি, তখনই রান আউট হয়ে যান ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নিতে গিয়ে। অঙ্কন ফিফটি স্পর্শ করেন ১০৩ বলে। রান-বলের ওই ব্যবধান আর পরে কমাতে পারেননি তিনি। রুবেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন স্কয়ার লেগে।

মোসাদ্দেক হোসেন ও সাইফ উদ্দিনের জন্য তখন ঝড় তোলার মঞ্চ প্রস্তুত। কিন্তু ছন্দ পেতে একটু সময় নেন দুজনই। সাইফ পরে দুর্দান্ত কিছু শট খেলেন, ইবাদতকে ছক্কায় ওড়ান পুল শটে। শেষ দুই ওভারে গিয়ে দ্রুত রান বাড়ান মোসাদ্দেক।

ইবাদতের করা শেষ ওভারে আউট হন দুজনই। ২৯ বলে ৩৮ করেন সাইফ, ৩৯ বলে ৪০ মোসাদ্দেক।