ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিয়েনা সিটির কাউন্সিলর হলেন বাংলাদেশি নয়ন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০
  • / 113

৭১: অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ভোলার লালমোহন উপজেলার কৃতী সন্তান মাহমুদুর রহমান নয়ন।

রোববার অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টির মনোনয়নে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। নয়ন পেশাগতভাবে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তার বাবা মো. মাহবুবুর রহমান লালমোহন বর্ণালি সড়কের বাসিন্ধা। তিনি অস্ট্রিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইউরো সমাচার পত্রিকার সম্পাদক।

মাহমুদুর রহমান নয়ন নির্বাচিত হওয়ায় অস্ট্রিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।

নয়ন ১৯৯৫ সালে ভিয়েনায় জন্মগ্রহণ করেন। এক বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে ফেরেন। দেশে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন তিনি। এর পর আবার পরিবারের সঙ্গে ভিয়েনায় চলে যান।

সেখানে জার্মান ভাষায় তিনি লেখাপড়া করেন। হাইস্কুলে ফাইনাল পরীক্ষায় নয়ন প্রথম স্থান অর্জন করেন। স্কুলের পরিচালক নয়নকে মডেল হিসেবে ঘোষণা করে সংবর্ধনা দেন। পরে নয়ন ভিয়েনার একটি নামকরা কলেজে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করেন।

ওই কলেজেও পর পর দুবার ছাত্র সংসদের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন নয়ন। পরে নয়ন ব্রিটেনে গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করে আবার ভিয়েনা ফিরে আসেন। ভিয়েনা ফিরে এসে চাকরির পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতিতে যোগ দেন।

প্রবাসে বাংলাদেশি তরুণদের নিয়ে নয়ন বলেন, প্রবাসে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি তরুণরা নিজেদের কমিউনিটতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া জরুরি।

Tag :

শেয়ার করুন

ভিয়েনা সিটির কাউন্সিলর হলেন বাংলাদেশি নয়ন

আপডেট টাইম : ০৬:৪০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০

৭১: অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ভোলার লালমোহন উপজেলার কৃতী সন্তান মাহমুদুর রহমান নয়ন।

রোববার অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টির মনোনয়নে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। নয়ন পেশাগতভাবে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তার বাবা মো. মাহবুবুর রহমান লালমোহন বর্ণালি সড়কের বাসিন্ধা। তিনি অস্ট্রিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইউরো সমাচার পত্রিকার সম্পাদক।

মাহমুদুর রহমান নয়ন নির্বাচিত হওয়ায় অস্ট্রিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।

নয়ন ১৯৯৫ সালে ভিয়েনায় জন্মগ্রহণ করেন। এক বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে ফেরেন। দেশে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন তিনি। এর পর আবার পরিবারের সঙ্গে ভিয়েনায় চলে যান।

সেখানে জার্মান ভাষায় তিনি লেখাপড়া করেন। হাইস্কুলে ফাইনাল পরীক্ষায় নয়ন প্রথম স্থান অর্জন করেন। স্কুলের পরিচালক নয়নকে মডেল হিসেবে ঘোষণা করে সংবর্ধনা দেন। পরে নয়ন ভিয়েনার একটি নামকরা কলেজে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করেন।

ওই কলেজেও পর পর দুবার ছাত্র সংসদের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন নয়ন। পরে নয়ন ব্রিটেনে গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করে আবার ভিয়েনা ফিরে আসেন। ভিয়েনা ফিরে এসে চাকরির পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতিতে যোগ দেন।

প্রবাসে বাংলাদেশি তরুণদের নিয়ে নয়ন বলেন, প্রবাসে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি তরুণরা নিজেদের কমিউনিটতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া জরুরি।